পুঁজিবাজারে দীর্ঘস্থায়ী মন্দা, বিনিয়োগকারীদের হতাশা
১২ মে ২০১১দৈনিক জনকণ্ঠের শিরোনাম ছিল: মহামন্দা৷ দেখলে মনে হতে পারে, যেন কোনো মহামারি! সেই মহামারিতে প্রাণ যাচ্ছে তথাকথিত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের৷ অন্যদিকে কারও তা নিয়ে মাথাব্যথা নেই, অন্তত সেই অভিযোগ বিনিয়োগকারীদের৷
পুঁজিবাজারে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি একটানা ধসের পর কিছুটা স্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছিল৷ সেটা সরকারের কিছু ইতিবাচক ঘোষণার ফলে৷ কিন্তু এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে শেয়ারবাজার আবার পতনের ধারায় ফিরে এসেছে৷ জনকণ্ঠের ভাষায়: অধিকাংশ কোম্পানির দর স্মরণকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে৷ ফলে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হতে চলেছেন লাখ লাখ বিনিয়োগকারী৷
এই বিনিয়োগকারীরা কারা? যারা মার্জিন ঋণ নিয়ে শেয়ার ব্যবসা করেন, তারা৷ আবার যারা হয়তো বাবার পেনশনের টাকা নিয়ে শেয়ার কেনেন, তারাও৷ জনকণ্ঠ বিও হিসাবধারীদের পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে, প্রায় ৩৩ লাখ৷ তাদের মধ্যে ১১ লাখ নিয়মিত লেনদেনে সক্রিয়৷ প্রথম আলো লিখছে: ‘বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আর্থিক সংকট নয়, বাজারে সমস্যা এখন আস্থার অভাব৷ আস্থার এই সংকট না কাটলে বাজারও ফিরবে না ইতিবাচক ধারায়৷'
ওদিকে গ্রীষ্মের তাপমাত্রা চল্লিশ ছাড়াচ্ছে না বলেও অনেকে চিন্তায় পড়েছেন৷ জনকণ্ঠের কাছে যা জলবায়ুতে ব্যাপক পরিবর্তনের প্রমাণ৷ তাদের প্রতিবেদন শুরুই হয়েছে ‘উষ্ণায়নের প্রভাব', এই কথাগুলো দিয়ে৷ তার পরেই এসেছে ‘বায়ুমণ্ডলে অস্থিরতা'র প্রসঙ্গ, ভারতের আবহাওয়াবিদরাও যে'কথা বলেছেন৷ সমকালও তার প্রতিবেদন শুরু করেছে এইভাবে: ‘জলবায়ু পরিবর্তনের সুদূরপ্রসারী প্রভাব নিয়ে তুমুল আলোচনার মধ্যে নীরবেই চরিত্র বদল করেছে আবহাওয়া৷' এবং শেষে পরিবেশ আন্দোলনের সভাপতি ড. আবদুল মতিনের উদ্ধৃতি দিয়েছে, যিনি এই ‘এরাটিক ক্লাইমেট' বা‘আবহাওয়ার খেয়ালিপনা'কে জলবায়ু পরিবর্তনের লক্ষণ হিসেবে দেখছেন৷ তবে তিনি বলেছেন যে, এর জন্য যে এখনই বড় ক্ষতি হবে, এমন নয়৷
গ্রন্থনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন