1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রিসাইক্লিং – আপসাইক্লিং

৩১ মে ২০১৩

জার্মানির মতো ‘বাই অ্যান্ড থ্রো' সমাজে পুরানো জিনিসের ব্যবহার তেমন দেখা যায় না৷ অথচ সেই জার্মানিতেই, সৃজনশীলতা কাজে লাগিয়ে পুরানো আসবাবপত্রগুলিকে নতুন রূপে তুলে ধরছেন এক শিল্পী৷

https://p.dw.com/p/18htW
ছবি: DW

মানফ্রেড ভাইশার্ট পুরানো আসবাবপত্রের হাল ফেরান৷ তবে বাতিল এই কাঠ আগের অবস্থায় ফেরানো সম্ভব না হলেও তিনি তা দিয়ে নতুন ডিজাইনের কিছু বানাতে পারেন৷ একে বলে ‘আপসাইক্লিং'৷ তিনি বললেন, এটা বেশ সুন্দর, বিরলও বটে৷ যে দিয়েছে, সে মেলায় স্টল তৈরি করে৷

ফেলে দেওয়া জিনিস একসময় এত সুন্দর হয়ে উঠতে পারে৷ বছর তিনেক আগে সহকর্মী রিকে স্টার-এর সঙ্গে তিনি এই কাজ শুরু করেছিলেন৷ এত কাঠ যেভাবে ফেলে দেওয়া হয়, তা দেখে দুজনেই দুঃখ পেয়েছিলেন৷ সেই চিন্তা থেকেই ব্যবসা শুরু হয়৷ ভাইশার্ট বলেন, ‘‘যন্ত্রপাতি বা বাদ্যযন্ত্র পরিবহনের জন্য মজবুত কাঠের বাক্স তৈরির সময় এই সব অংশ পড়ে থাকে৷ এক নির্মাতাকে চিনি, যিনি এমন ‘ফ্লাইট কেস' তৈরি করেন৷ আবর্জনা ফেলতে তাঁকে অনেক খরচ করতে হয়৷ তিনি আমাদের বললেন, এসব দিয়ে সুন্দর কিছু তৈরি করতে পারলে নিয়ে যাও৷''

Bild_3 Sideboard aus Ölkanistern
পুরানো থেকে নতুনছবি: DW/Marcel Joos

দু'জনেরই মাথায় তখন সুন্দর একটা পরিকল্পনা এসে গেল৷ তবে তার জন্য বেশ কিছু উপায় বের করতে হয়েছে৷ সমস্যা হলো, দুই ডিজাইনার ছোটখাটো কাঠের টুকরো পান৷ সে সব দিয়ে বড় আসবাবপত্র তৈরি করা বেশ কঠিন৷ তবে তাঁরা সেই অসাধ্য সাধন করেছেন৷ বিভিন্ন মেলায় এখন তাঁদের পণ্য বিক্রি হয়৷ সেখানে শুধু যে এমন ‘আপসাইক্লিং' আসবাবপত্র পাওয়া যায়, তাই নয়৷ আছে সাইকেলের পুরানো টায়ার দিয়ে হাতের গহনা৷ পুরানো পাকানো খবরের কাগজ দিয়ে তৈরি হয় চেয়ারের বসার অংশ৷ দমকলের পাইপ থেকে কোমরের বেল্ট৷

চায়ের খালি বস্তা দিয়ে কাঁধে ঝোলানোর ব্যাগ৷ আসলে ‘আপসাইক্লিং' হলো ‘রিসাইক্লিং'-এর নতুন রূপ৷ এতে আবর্জনার একটা গতি হয়৷ একেই বলে ‘টেকসই' আচরণ৷ টেকসই ডিজাইন সংস্থার ব্যার্নড ড্রাসার বলেন, ‘‘টেকসই উন্নয়ন ও ইকোলজি যখন মূলমন্ত্র হয়ে উঠছে, তখন ডিজাইনই বা বাদ যাবে কেন! ডিজাইনারের কাছেও এটা একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে৷ আজ তাদের মাথা খাটিয়ে পথ খুঁজতে হচ্ছে৷''

তবে এমন টেকসই উদ্যোগ এখনো সবার নজর কাড়ে না৷ রিকে স্টার ও মানফ্রেড ভাইশার্ট-এর তৈরি আসবাবপত্রের ক্রেতার সংখ্যা এখনো হাতে-গোনা৷ রিকে স্টার বলেন, ‘‘তারা অদ্ভুত সব প্রশ্ন করে৷ বলে, এটা আবার কী? এসব দিয়ে কী হবে? যখন বলি, ফেলে দেওয়া জিনিস কাজে লাগিয়ে এসব তৈরি করা হয়েছে, তখন তারা বেশ পছন্দ করেন৷''

যেমন ড্রয়ার-ভরা আসবাব৷ তৈরি হয়েছে ফেলনা জিনিস দিয়ে, কিন্তু বিক্রি করলে যা পাওয়া যায়, তার দাম অনেক গুণ বেশি৷ যা বাকি রয়ে গেল, তা হয়ত পরের মেলায় বিক্রি হবে৷

এসবি/ডিজি