1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পূর্ণ গতিতে আর্জেন্টিনা, এশিয়ার আশা দক্ষিণ কোরিয়া

২৩ জুন ২০১০

ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা কি এবার বিশ্বকাপ নিয়েই ঘরে ফিরবে? মঙ্গলবার গ্রিসকে হারানোর পর এখন বেশিরভাগ ফুটবল দর্শকদের এই প্রশ্ন৷ অন্যদিকে আফ্রিকা না পারলেও এশিয়ার আশা হয়ে দক্ষিণ কোরিয়া দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে গেল৷

https://p.dw.com/p/O0TD
বল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন মেসিছবি: AP

মঙ্গলবার আর্জেন্টিনা বনাম গ্রিসের ম্যাচের ফলাফল ২-০৷ তবে এটা ৪-০ কিংবা ৫-০ হলেও হতে পারতো৷ কিন্তু তা হয়নি, আর তাই ম্যাচের হিরো আর্জেন্টিনার মেসি নন, গ্রিসের গোলরক্ষক আলেক্সান্দ্রোস জোরভাস৷ আর্জেন্টিনার নিশ্চিত গোলের একের পর এক সুযোগ ঠেকিয়ে দিয়েছেন এই ২৭ বছর বয়সি গোলরক্ষক৷ দুর্ভাগ্যের ব্যাপার যে এবারের আসরের অন্যতম সেরা এই গোলকিপারের নৈপুণ্য দেখার সুযোগ আর হবে না৷ কারণ ২০০৪ সালের ইউরো কাপ চ্যাম্পিয়ন গ্রিসের বিশ্বকাপ গতকাল শেষ হয়ে গেছে৷ এর আগে ১৬ বছর আগে বিশ্বকাপে গ্রিসের মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা৷ সেবার ম্যারাডোনা ছিলেন দলের অধিনায়ক, আর এবার কোচ৷

Griechenland Argentinien WM Fußball Weltmeisterschaft Flash-Galerie
গোল করার পর আর্জেন্টিনার মার্টিন ডেমিশেলিসছবি: AP

আগেই দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হয়ে গেছে, তাই গতকাল দলে সাতটি পরিবর্তন এনেছিলেন ম্যারাডোনা৷ কিন্তু মেসিকে রেখেছেন এবং অধিনায়কের দায়িত্বও ছিল কাল তাঁর ওপর৷ সেটি যে বেশ ভালোভাবেই পালন করেছেন তিনি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷ প্রথমার্ধে কোন গোলের দেখা পায়নি আর্জেন্টিনা, যদিও একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে গেছে তারা গ্রিসের পেনাল্টি বক্সে৷ কিন্তু বাধা হয়ে দাড়িয়েছিলেন গ্রিক গোলকিপার জোরভাস৷ দ্বিতীয়ার্ধে আরও ধারালো হয়ে ওঠে মেসিদের আক্রমণভাগ৷ বিশেষ করে নিশ্চিত কয়েকটি সুযোগ জোরভাস ঠেকিয়ে দিলে মনে হচ্ছিল ড্রর মাধ্যমেই বুঝি খেলা শেষ হবে৷ শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি৷ ৭৭ মিনিটে কর্নার থেকে গোলপোস্টের একেবারে সামনে বল পেয়ে যান মার্টিন ডেমিশেলিস৷ তাঁর শট জড়িয়ে যায় জালে৷ খেলার নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে বদলী হিসেবে নামা স্ট্রাইকার মার্টিন পালেরমো দ্বিতীয় গোলটি করেন৷ ৩৬ বছর বয়স্ক স্ট্রাইকারের এটাই বিশ্বকাপে প্রথম গোল৷

Fußball WM 2010 Südafrika - Südkorea gegen Argentinien Flash-Galerie
গ্যালারিতে দক্ষিণ কোরিয়ার লাস্যময়ী সমর্থকেরাছবি: AP

অন্যদিকে একই গ্রুপের নাইজেরিয়া বনাম দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছে৷ ম্যাচের রেজাল্টের জন্য কোরীয়দের যতটা কৃতিত্ব, তার চেয়ে নাইজেরীয় খেলোয়াড়দের ব্যর্থতাই দায়ী৷ মাত্র ১২ মিনিটেই কালু উচের গোলে এগিয়ে যায় সুপার ইগলরা৷ কিন্তু তা ধরে রাখতে পারেনি৷ ৩৮ মিনিটের মাথায় ফ্রি কিক থেকে বল পেয়ে সমতা ফেরান লি জুং সু৷ এর মাত্র চার মিনিট পরেই ফ্রি কিক থেকে দুর্দান্ত গোল করে দলকে এগিয়ে নেন পার্ক চু ইয়ং৷ ৬২ মিনিটের মাথায় গোলের নিশ্চিত সুযোগ নষ্ট করেন নাইজেরিয়ার ইয়াকুবু আইয়েগবেনি৷ মাত্র চার মিটার দুরে খালি পোস্ট পেয়ে বল বাইরে মারেন তিনি৷ তবে ৬৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান তিনি৷ এরপর একের পর এক আক্রমণ করে গেলেও আর গোলের দেখা পায়নি নাইজেরিয়া৷ তার ওপর তাদের একটি শট বারে লেগে ফিরে আসাটাকে দুর্ভাগ্যই বলতে হয়৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই