1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সবচেয়ে ছোট বাড়ি

উলরিকে ড্যোর / এআই৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

দুটি বহুতল ভবনের মাঝখানের ফাঁকা জায়গায় বসবাসের কথা ভেবেছেন কখনো? অনেকেরই কাছে হয়তো এটি অসম্ভব মনে হবে৷ কিন্তু এই অসম্ভবকেই সম্ভব করেছেন পোল্যান্ডের এক স্থপতি৷

https://p.dw.com/p/1B4eB
ছবি: picture alliance/PAP

পোলিশ স্থপতি ইয়াকুব চেসনি ব্যতিক্রমী এক বাড়ি বানিয়েছেন৷ চার বছর আগে দুই বহুতল ভবনের মধ্যকার এই ফাঁকা জায়গা তাঁর চোখে পড়ে৷ তাঁর মতে, গাড়ি ঢোকানোর জন্য এই জায়গা বেশ কম, তবে বাড়ির জন্য যথেষ্ট৷

২০১২ সালে সেই ছোট জায়গায় ১ দশমিক ২২ মিটার প্রস্থের এই আবাস তৈরি করেন তিনি, যা সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে পাতলা বাড়ি৷ স্থপতি ইয়াকুব চেসনি বলেন, ‘‘এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল৷ এত সরু কিছু আমি আগে কখনো বানাইনি৷''

বাড়িটিতে প্রবেশের পথে দু'টি ভবনের মধ্যকার ফাঁক মাত্র ৭২ সেন্টিমিটার৷ তা সত্ত্বেও বাসার মধ্যে বসবাসের জন্য আধুনিক সব উপকরণই রয়েছে৷ ইসরায়েলি লেখক এটগার কেরেট সাড়ে ১৪ বর্গ মিটারের এই বাড়ির বাসিন্দা৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি এখানে আসার আগে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম৷ মনের মধ্যে আবদ্ধস্থানে থাকার আতঙ্ক তৈরি হচ্ছিল৷ মনে হচ্ছিল, জায়গাটা খুব অন্ধকারাচ্ছন্ন হবে৷ আর আমার অবস্থা হবে টিনের কৌটায় আটক সার্ডিন মাছের মতো৷ কিন্তু এখানে আসার পর আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি এবং আলোরও কোন অভাব নেই৷''

পোলিশ আইন অনুযায়ী এই বাড়িটি অবশ্য বাসস্থান হিসেবে স্বীকৃতি পাবার উপযুক্ত নয়৷ এটির পরিচিতি তাই শিল্পস্থাপনা৷ তবে আইন যাই বলুক, ‘কেরেট হাউস'-এ নকশা তৈরিতে ৩৫ বছর বয়সি চেসনির বেশি সময় লাগেনি৷

এটগার কেরেট নিয়মিত তেল আভিভ এবং ওয়ারশ-র মধ্যে যাতায়াত করতে চান৷ তাই তিনি না থাকলে ‘‘কেরেট হাউস'' শিল্পীদের বাসস্থান হিসেবে ব্যবহার করা হবে৷ এই প্রসঙ্গে কেরেট বলেন, ‘‘আমি এখানে পাকাপাকিভাবে বসবাসের কথা কল্পনাও করতে পারিনা৷ তবে এটাকে কাজের ক্ষেত্র মনে করতে পারি৷ যেমন দিনে কয়েক ঘণ্টা এখানে বসে লেখালেখি, চিন্তাভাবনা সম্ভব৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য