1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মহাকাশের ময়লা পরিষ্কার!

১৫ মার্চ ২০১৪

মহাকাশে অনেকদিন থেকেই ময়লা জমছে৷ কখনো সেগুলো পরিষ্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়নি৷ ফলে এত জঞ্জাল জমে গেছে যে, বিজ্ঞানীরা তা নিয়ে এখন চিন্তিত হয়ে পড়েছেন৷ চিন্তার কিন্তু অনেকগুলো কারণও আছে৷

https://p.dw.com/p/1BPm2
Alexander Gerst
ছবি: picture-alliance/dpa

চিন্তার কারণ – ময়লার মধ্যে স্ক্রু, বল্টু থেকে শুরু করে রয়েছে রকেটের ভেঙে যাওয়া বড় বড় টুকরা৷ বিজ্ঞানীদের হিসেবে সংখ্যাটা হবে প্রায় তিন লক্ষ৷ আর কক্ষপথে সেগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছে দ্রুতগতিতে৷ ফলে মহাকাশে থেকে স্যাটেলাইটগুলোর সঙ্গে ঐ জঞ্জালগুলোর যে-কোনো সময় সংঘর্ষ বাধার আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা৷ আর সে কারণেই যত দ্রুত সম্ভব আবর্জনা পরিষ্কারের দাবি উঠেছে৷

জার্মান বিজ্ঞানীরা মহাকাশের ময়লা সরাতে লেজার রশ্মিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন৷ একই বিষয়ে গবেষণা করছেন অস্ট্রেলিয়ার একদল বিজ্ঞানীও৷

অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ‘রিসার্চ স্কুল অফ অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স'-এর পরিচালক ম্যাথু কোলেস মনে করছেন, আগামী ১০ বছরের মধ্যে লেজার রশ্মি দিয়ে মহাকাশের আবর্জনা পরিষ্কার সম্ভব হতে পারে৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা সম্ভব হওয়া গুরুত্বপূর্ণ, কেননা তা না হলে আগামী কয়েক দশকের মধ্যেই ময়লার সঙ্গে স্যাটেলাইটের সংঘর্ষ লাগার ঘটনা ঘটা শুরু হবে৷''

ইতিমধ্যে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার সঙ্গে চুক্তি করেছে অস্ট্রেলিয়া৷ এর আওতায় ‘মাউন্ট স্ট্রমলো অবজারভেটরি'-তে ইনফ্রা-রেড লেজার সম্বলিত টেলিস্কোপ দিয়ে আবর্জনার অবস্থান নির্ধারণের কাজ চলছে৷

এছাড়া বিজ্ঞানী দল অস্ট্রেলিয়া সরকার থেকে ২০ মিলিয়ন ডলার এবং ব্যক্তিগত বিনিয়োগ থেকে আরও ৪০ মিলিয়ন ডলার পাচ্ছে৷ এই অর্থ দিয়ে লেজারের ক্ষমতা বাড়ানোর গবেষণা করা হবে যেন সেই লেজার দিয়ে মহাকাশের আবর্জনা শনাক্ত করে সেগুলো পুড়িয়ে ফেলা যায়৷

কিন্তু জঞ্জাল সরাতে গিয়ে এই লেজার কি স্যাটেলাইটকে আক্রমণ করে ফেলতে পারে না? এমন আশঙ্কার উত্তরে কোলেস বলেন, ‘‘চালু স্যাটেলাইটে আঘাত করার কোনো ঝুঁকি নেই৷ আমরা ময়লাকে নিখুঁতভাবে চিহ্নিত করতে পারি৷''

জেডএইচ/ডিজি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য