1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পেশি সংকোচনে কী করবেন

৬ মার্চ ২০১১

ঘুমিয়ে আছেন৷ আচমকা ব্যাথায় ঘুম ভেঙে গেল৷ মনে হলো আপনার পায়ে কে যেন হেঁচকা টান দিয়েছে৷ খিঁচুনি লাগছে৷ এই অভিজ্ঞতার সঙ্গে কম বেশি সবাই পরিচিত৷ কেননা, যে কারো ক্ষেত্রে যখন তখন এই ঘটনা ঘটতে পারে৷

https://p.dw.com/p/10U5X
খেলাধুলার সময় শরীরে পানিশূণ্যতা ও রক্তে খনিজ উপাদানের অভাবে পেশি সংকোচন হতে পারেছবি: picture alliance/chromorange

যারা বিশেষ করে খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত এবং যাদের বেশ বয়স হয়েছে, তাদের বেলায় পেশি সংকোচনের এই ঘটনাটি বেশি দেখা যায়৷ বেশিরভাগক্ষেত্রে দীর্ঘসময় বিশ্রামের পর কিংবা কঠোর পরিশ্রমের পর পেশি সংকোচন দেখা যায়৷

জার্মানির ‘হালে ইউনিভার্সিটি হসপিটাল' এর নিউরোলজিক্যাল ক্লিনিকের পরিচালক স্টেফেন সিয়াৎর্স বলেন,‘‘হাইপোথাইরয়েডিজম বা পেশির মধ্যে এক ধরণের প্রদাহের লক্ষণ হতে পারে পেশির সংকোচন৷'' তিনি আরও বলেন, পেশির সংকোচনের মধ্যে আসলে অনিশ্চিত কোনো লক্ষণ লুকিয়ে থাকে৷ সিয়াৎর্স বলেন, এই সমস্যার জন্য যে সবসময় চিকিৎসার প্রয়োজন হয় তা নয়৷ তবে একজন চিকিৎসককে দেখিয়ে নেওয়া ভালো যে আপনার পেশির খিঁচুনি আসলে কোন্ ধরণের৷ বিশেষ করে যদি দীর্ঘসময় ধরে এই সমস্যায় ভুগতে থাকেন এবং তা আপনার প্রাত্যহিক জীবনধারাকে ব্যাহত করে তাহলে ডাক্তারের কাছে পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত৷

‘অ্যাসোসিয়েশন অফ বার্লিন স্পোর্টস ফিজিশিয়ানস' এর সহসভাপতি ডিটার বোয়েনিং বলেন, আসলে কী কারণে পেশির সংকোচন হয় তা পরিষ্কার নয়৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খেলাধুলার সময় শরীরে পানিশূণ্যতা এবং রক্তে খনিজ ও অন্যান্য উপাদানের অভাবে এটি দেখা যায়৷

ব্যাপারটা আরও সহজ করে ব্যাখ্যা করলেন বোয়েনিং৷ বলেন, স্নায়ুর মধ্যে এক ধরণের জড়তা সৃষ্টি হয় সেটা পেশিতে সঞ্চালিত হয়৷ এরফলে দ্রুত সংকোচন ও প্রসারণ ঘটে৷ যার ফলে চোট অনুভূত হয়৷ তীব্র ব্যাথাটা মূলত পেশি তন্তুর দ্রুত সঞ্চালন থেকেই সৃষ্টি হয়৷ তাঁর মতে শারীরিক কসরতের সময় শরীরের উপর যে চাপ পড়ে সেটা দূর করতেই এটা ঘটে থাকে৷

জার্মানির ‘ফেডারেল অ্যাসোসিয়েশন অফ সেলফ এমপ্লোয়েড ফিজিওথেরাপিস্টস' এর প্রধান উটে রেপশ্লেগার বলেন, পেশির টান থেকে বাঁচতে খেলাধুলার আগে কিছুক্ষণ শরীরকে ওয়ার্মিং আপ বা সতেজ করে নেওয়া দরকার৷ এছাড়া শরীরের উপর অতিরিক্ত চাপ না দেওয়াই উচিত৷ মালিশ অথবা শরীর চর্চার মাধ্যমেও পেশি সম্প্রসারণ ঘটিয়ে এটা থেকে প্রতিকার পাওয়া যেতে পারে৷ দীর্ঘমেয়াদে এটার হাত থেকে বাঁচতে মোটামুটি নিজেকে সবল রাখা, সহনশীলতা ও সমন্বয়সাধনের প্রশিক্ষণ নেওয়া উচিত৷ পেশিকে শিথিল করার জন্য গরম পানিতে স্নানের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি৷ বলেছেন, একটু উষ্ণ ভেজা তোয়ালে দিয়ে পেশি মালিশ করলে সবচেয়ে উপকার পাওয়া যাবে৷ আক্রান্ত জায়গায় গরম পানি ভরা বোতল দিয়ে ভাপ দেওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি৷

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্যারাসিটামল এবং অ্যাসপিরিন এইক্ষেত্রে তেমন কোনো কাজ দেয়না৷ আর ম্যাগনেশিয়াম এবং ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেতে দেয়ার তেমন একটা পক্ষপাতী নন তাঁরা৷ বরং বলছেন,অতিরিক্ত ওষুধ সেবন যকৃতের ক্ষতিই ডেকে আনবে৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক