1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পোলিও নির্মূল অভিযানের জন্য পুরস্কৃত দীপক

৫ ডিসেম্বর ২০১০

রোটারি ক্লাব সারা বিশ্ব থেকে পোলিও নির্মূল করার অভিযানে সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে আসছে৷ ভারতে এই কাজ সফলভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন দীপক কুমার৷ তারই স্বীকৃতি হিসেবে সম্প্রতি তিনি পেলেন জার্মানির পশ্চিমের যোগাযোগ একাডেমীর পদক৷

https://p.dw.com/p/QQ26
পোলিও নির্মূলে সাফল্য দেখাচ্ছে ভারত (ফাইল ফটো)ছবি: UNI

যোগাযোগ অ্যাকাডেমির পদকটি যার নামে, তিনি ছিলেন কোলন শহরের নামি প্রকাশনা পরিবারের শীর্ষ ব্যক্তি কুর্ট নেভেন দুমন্ট৷ এই অ্যাকাডেমি গঠনের ব্যাপারেও তিনি ছিলেন অন্যতম পথিকৃৎ৷ ১৯৭৬ সাল থেকে দেয়া হচ্ছে এই পদক৷ এবারের পদক পেলেন নতুন দিল্লির দীপক কুমার আর রোটারি ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি একেহার্ড পান্ডেল৷ পোলিয়ো নির্মূল অভিযানের মূলমন্ত্রের উল্লেখ করে কোলনের ‘স্টাট-আনসাইগার' পত্রিকা লিখছে: ইংরেজি তিনটি অক্ষর - আইসিই অর্থাৎ আইস৷ ইনফর্মেশন, কমিউনিকেশন ও এজুকেশন - তথ্য,যোগাযোগ আর শিক্ষা৷ এই হল বাচ্চাদের পোলিও'র টিকা খাইয়ে দেয়ার বিশ্যব্যাপী অভিযানের মূলমন্ত্র৷ রোটারি ক্লাব এই অভিযান চালিয়ে আসছে ১৯৮৫ সাল থেকে৷ আর ভারতে যেসব সাহায্যকর্মী এই কাজটি অক্লান্তভাবে করে যাচ্ছেন দীপক কুমার তাঁদের পথপ্রদর্শক৷

ভারতে পোলিও রোগের সমস্যার কথা উল্লেখ করে কোলনের দৈনিক স্টাট-আনসাইগার পত্রিকা আরো লিখছে: বিশ্বের যে চারটি দেশে পোলিও এখনও নির্মূল হয়নি, ভারত তারই একটি৷ পোলিও নির্মূল অভিযান সেখানে তথ্য ছড়িয়ে দেয়ার ওপর জোর দিয়ে থাকে৷ শরণ নেয় আলাপ-আলোচনার, প্লাকার্ড, রেডিও ও টেলিশনের স্পট, মোবাইল ভিডিও কার এবং পথনাটকের৷ জার্মানিতে যেহেতু বেশির ভাগ শিশু জন্ম নেয় কোন ক্লিনিকে, তাই পোলিও'র টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করাটা সহজ৷ দীপক কাপুর জানাচ্ছেন, ভারতের উত্তর প্রদেশে স্বেচ্ছাসেবী সাহায্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে জিজ্ঞাসা করেন, কোথায় সদ্য সদ্য কোন শিশুর জন্ম হয়েছে কিনা৷ উপমহাদেশে স্বাস্থ্যরক্ষার ব্যবস্থা অপেক্ষাকৃত দুর্বল হবার কারণে সংক্রমণের আশঙ্কা আরো বেশি৷ তাই বাবামাদের এবং ছেলেমেয়েদের পোলিও'র টিকা নেয়ার দিনক্ষণটা প্রায়ই মনে করিয়ে দিতে হয়৷ নির্মূল অভিযানের সঙ্গে তাঁর যুক্ত হওয়ার সময় ভারতে দিনে ৫০০টি নতুন পোলিও সংক্রমণের ঘটনা ঘটতো৷ চলতি বছর ১১মাসে এই সংখ্যা নেমে এসেছে দাঁড়িয়েছে ৪০৷ এ এক সাফল্য বৈকি৷ দীপক কাপুরের কাছে এই সাফল্যের চাবিকাঠি হল ‘‘আবেগ এবং ধৈর্য''৷

ভাষান্তর: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়