1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পোল্যান্ডে ‘গণতন্ত্রের ভিত্তি

১২ মার্চ ২০১৬

কাউন্সিল অফ ইউরোপ মানবাধিকার গোষ্ঠীর ভেনিস কমিশন শুক্রবার এই মত দেয়৷ পটভূমিতে রয়েছে, পোল্যান্ডের রক্ষণশীল ‘পিস' সরকারের একাধিক বিতর্কিত সংস্কার, বিশেষ করে সাংবিধানিক ট্রাইব্যুনালকে কেন্দ্র করে৷

https://p.dw.com/p/1IBrf
Warschau Anti-Regierungsproteste
ছবি: Getty Images/AFP/J. Skarzynski

সাংবিধানিক ট্রাইব্যুনাল হলো বস্তুত পোল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত৷ রক্ষণশীল আইন ও ন্যায়বিচার দল বা পিআইএস গত বছরের অক্টোবর মাসের সংসদীয় নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করার পর পরই সাংবিধানিক ট্রাইব্যুনালের কর্মপদ্ধতি বদলানোর চেষ্টা করে৷ সংশ্লিষ্ট সংস্কার অনুযায়ী ট্রাইব্যুনালের ১৫ জন বিচারকের দুই-তৃতীয়াংশের ঐকমত্য ছাড়া কোনো রায় দেওয়া চলবে না৷ এছাড়া ট্রাইব্যুনালকে কালানুক্রমিকভাবে মামলার বিচার করতে হবে, কোনো মামলাকে অগ্রাধিকার দিলে চলবে না৷ বিরোধীদের চোখে এই দু'টি সূত্রই ট্রাইব্যুনালকে পুরোপুরি অকেজো করে তুলতে যথেষ্ট৷ এছাড়া ‘পিস' দল পূর্ববর্তী সরকারের মনোনীত তিনজন বিচারককে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করার ফলে ট্রাইব্যুনালে বর্তমানে বস্তুত ১২ জন বিচারক – কেননা ‘পিস' সরকারের মনোনীত তিনজন বিচারককে আসন দিতে রাজি হয়নি ট্রাইব্যুনাল৷

ট্রাইব্যুনাল তাদের গত মঙ্গলবার ও বুধবারের বৈঠকে স্থির করে যে, সরকারের আনীত নতুন সংস্কারগুলি অসংবিধানিক৷ ওদিকে সরকারের মতে ট্রাইব্যুনালের কোরাম না থাকার ফলে তার কোনো সিদ্ধান্ত নেবারই অধিকার নেই৷ নতুন আইন অনুযায়ী কোরামের জন্য ১২ জন বিচারকের পরিবর্তে প্যানেলে ১৩ জন বিচারক থাকা উচিত ছিল৷ ওদিকে ‘কড' বা কেওডি, অর্থাৎ গণতন্ত্র প্রতিরক্ষা কমিটির ডাকে সারা দেশ জুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে উঠেছে৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বেয়াটা সিডুও-র রক্ষণশীল সরকার তা-তে পিছপা হতে রাজি নন৷

Polen Warschau Verfassungsgerichtshof Richter Andrzej Rzeplinski
ট্রাইব্যুনাল স্থির করে যে, সরকারের আনীত নতুন সংস্কারগুলি অসংবিধানিকছবি: picture-alliance/dpa/P. Supernak

পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিটোল্ড ভাজিকোভস্কি গত ডিসেম্বরেই এ-বিষয়ে কাউন্সিল অফ ইউরোপ মানবাধিকার গোষ্ঠীর মতামত জানতে চান – কেননা ততদিনে পোল্যান্ডের ঘটনাবলী নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, উভয় স্থানেই উদ্বেগ দেখা দিয়েছে৷ শুক্রবার কাউন্সিল অফ ইউরোপের উপদেষ্টা কমিটি তাদের মূল্যায়ন জ্ঞাপন করেছে৷ কমিশন বলছে, পোলিশ সরকার যদি সাংবিধানিক ট্রাইব্যুনালকে ‘‘পঙ্গু'' করে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ চালিয়ে যান, তাহলে তা ‘‘গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের ভিত্তিকে দুর্বল করবে''৷

কমিশনের মন্তব্যের যে খসড়া ইতিপূর্বে ফাঁস হয়েছিল, তার চেয়ে এ ভাষ্য অনেক বেশি নরম: দৃশ্যত সিডুও সরকারকে বিতর্কিত সংস্কার প্রত্যাহার করার সময় দেওয়া হচ্ছে৷ অবশ্য পোলিশ রাজনীতিতে প্রধানমন্ত্রী বেয়াটা সিডুও-র চাইতে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলেন তাঁর পার্টিপ্রধান ইয়ারোসুয়াভ কাচিনস্কি, যিনি ইতিপূর্বে স্পষ্ট ঘোষণা করেছেন, ‘‘আমরা নিজেরাই বিভিন্ন পোলিশ প্রশ্ন ও পোলিশ সমস্যার সমাধান করব....আমরা কোনো উপনিবেশ হবো না''৷

পোল্যান্ডে এখন যে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় রক্ষণশীলতার হাওয়া চলেছে, অতীতের সলিডারিটি আন্দোলনের নায়ক লেচ ভাউয়েজা অবধি তার ঢেউ পৌঁছেছে৷ এই ধারা যদি চলতে থাকে, তাহলে তা যেমন পোল্যান্ড, তেমনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভ্যন্তরে টানাপোড়েন ও বৈপরীত্য সৃষ্টি করতে পারে৷

এসি/ডিজি (এপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য