1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্যারিসের পর্নো সিনেমা

১০ আগস্ট ২০১৪

ইন্টারনেটের কল্যাণে পর্নো ছবি এখন যখন-তখন, যেখানে খুশি দেখা যায়৷ মোবাইল, ট্যাবলেট, কম্পিউটার সব মাধ্যমেই সব ধরনের পর্নো সহজলভ্য৷ আর এই সহজলভ্যতা সিনেমা হল মালিকদের বিপাকে ফেলেছে৷ তবে প্যারিসের এক হলের কথা আলাদা৷

https://p.dw.com/p/1CrrW
Kino Le Beverley
হলটির বর্তমান মালিক মোরিস লারশছবি: STEPHANE DE SAKUTIN/AFP/Getty Images

একসময় প্যারিসের অনেক প্রেক্ষাগৃহেই পর্নো ছবি প্রদর্শন করা হতো৷ সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অনেক হলই বন্ধ হয়ে গেছে৷ ব্যতিক্রমী ‘ল্য বেভারলি'৷ এখন প্যারিসে একমাত্র অনুমোদিত পর্নো সিনেমা হল এটি৷ মজার বিষয় হচ্ছে, হলটিতে এখনো প্রতি সপ্তাহে সাতশ'র মানুষ পর্নো ছবি দেখেন৷ এবং তাঁরা সবাই প্রায় নিয়মিত৷

গত শতকের সত্তরের দশক থেকে ৩৫ মিমি ফিল্মের ছবি প্রদর্শন করা হচ্ছে ল্য বেভারলিতে৷ হলটির বর্তমান মালিক মোরিস লারশ এটির সঙ্গে যুক্ত আছেন গত ত্রিশ বছর ধরে৷ দর্শকদের প্রায় সবাই পরিচিত তাঁর৷ তিনি বলেন, ‘‘অনেক দর্শককে আমি এখানে আসার পর থেকে দেখছি৷ ৩০ বছর ধরে নিয়মিত তাঁরা এখানে আসছেন৷ তাঁদের কর্মজীবন থেকে শুরু করে অবসর জীবন – সবই জানা আমার৷''

একনিষ্ঠ এই দর্শকরা ল্য বেভারলির ভবিষ্যত নিয়েও উদ্বিগ্ন৷ প্যারিসের কেন্দ্রের এক গলিতে অবস্থিত হলটির আশেপাশের আরো কয়েকটি হলে একসময় পর্নো সিনেমা দেখানো হতো৷ সেগুলো সব বন্ধ হয়ে গেছে৷ এমনকি কয়েক বছর আগেও সপ্তাহে হাজার খানেক মানুষ ল্য বেভারলিতে ভিড় করতো৷ এখন সেটা কমে দাঁড়িয়েছে সাতশোতে৷ তাই দর্শকদের এমন উদ্বেগ স্বাভাবিক৷

মোরিস লারশের কাছে অবশ্য ব্যবসাটা বড় কথা নয়৷ বরং একনিষ্ঠ দর্শকদের সঙ্গে তার কাছেও ভালো লাগে৷ তাই নিজে অবসরে যাওয়ার আগ অবধি এই হলের দরজা বন্ধ হবে না বলে জানান তিনি৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘‘আমার দর্শকরাও একে অপরকে অনেক দিন থেকে চেনেন৷ তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে৷''

ল্য বেভারলিতে একত্রে ১২০ জনের বসার ব্যবস্থা রয়েছে৷ হলটিতে সবচেয়ে বেশি ভিড় হয় দুপুরের শোতে৷ কারণ ব্যাখ্যা করে লারেকো বলেন, আমার দর্শকরা ঠিক রাতের বেলায় দৌড়ে মেট্রো ধরার বয়সের নয়৷ তাঁরা বরং ধীরেসুস্থে এখানে আসেন, ছবি দেখেন, তারপর ফিরে যান৷

বেভারলির দর্শকদের গড় বয়স ষাটের কাছাকাছি৷ হলের বর্তমান টিকিট মূল্য জনপ্রিয় ১২ ইউরো করে৷ গত ছয়বছর ধরে টিকিটের দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি৷ দর্শকরাও এতে সন্তুষ্ট৷

মোরিস লারশ নিজে অবশ্য পর্নো ছবি তেমন দেখেন না৷ গোটা জীবনে হাতে গোনা দুই-তিনবার এরকম ছবি দেখেছেন তিনি৷ সিনেমা হলে এই ব্যবসার কোনো ভবিষ্যত নেই৷ সেটা জানেন তিনি৷ তবুও অনুগত দর্শকদের জন্য হলটি চালু রেখেছেন তিনি৷ তাই যতদিন তিনি আছেন, ততদিন চলবে ল্য বেভারলি৷

এআই/ডিজি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য