1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্যারিস ট্যাক্সি

কাটিয়া লিয়র্শ/এসি৪ নভেম্বর ২০১৪

প্যারিসে যাওয়ার, প্যারিস ঘুরে দেখার স্বপ্ন তো দেখে সারা পৃথিবীর লোক৷ কিন্তু প্যারিসে ট্যাক্সি চালানো? বিরাট শহর, লক্ষ লক্ষ মানুষ, পর্যটক; ভালো লোক, মন্দ লোক; ট্যাক্সি কিন্তু চলে দিনে-রাতে৷

https://p.dw.com/p/1DgRb
Taxi Symbolbild
ছবি: Brian Jackson/Fotolia.com

বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর শহরগুলোর মধ্যে পড়ে প্যারিস৷ ট্যাক্সি থেকেও এই শহরের দর্শনীয় স্থানগুলো উপভোগ করা যায়৷ কিন্তু ২২ লাখ মানুষের মহানগরীতে গাড়ি চালাতে গেলে, শক্ত স্নায়ুর প্রয়োজন৷ নাদিয়া আলিলি গত ন'বছর ধরে ফ্রান্সের রাজধানীতে ট্যাক্সি চালাচ্ছেন৷ তিনি বলেন:

‘‘প্রচুর ধৈর্য থাকা দরকার, নয়ত বেশিদিন এ কাজ করা যায় না৷ এখানে বড় বেশি চাপ, বড় বেশি স্ট্রেস, বড় বেশি ট্র্যাফিক৷ সেই সঙ্গে আবার যাত্রীরা রয়েছেন, যাঁরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গন্তব্যে পৌঁছাতে চান৷''

Taxifahrer Streik wegen Handy-Apps 11.06.2014 Paris
২২ লাখ মানুষের মহানগরী প্যারিসে গাড়ি চালাতে শক্ত স্নায়ুর প্রয়োজনছবি: Reuters

শুধু ওয়েটিং চার্জই নয়

সতেরো হাজার তিনশো'র বেশি ট্যাক্সি প্রতিদিন দু'লাখের বেশি ট্রিপ দেয়, যাত্রীদের প্যারিসের কোণায়-কোণায় পৌঁছে দিতে৷ ভাড়া: ১০ কিলোমিটার যেতে ১৩ ইউরো, গড়ে ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতোই৷ তবে প্যারিসে সেই সঙ্গে যোগ হয় ওয়েটিং চার্জ, কেননা সর্বত্র যানজট: কাজেই অধিকাংশ যাত্রীর কাছে মিটারে যে ভাড়া ওঠে, তা বেশি বলেই মনে হয়৷ তাছাড়া প্যারিসের ট্যাক্সিচালকদের ভাবসাব খুব একটা অমায়িক নয়৷ এক মার্কিন টুরিস্ট বললেন:

‘‘অ্যামেরিকায় যেরকম, এখানকার ট্যাক্সি ড্রাইভাররা ততটা ফ্রেন্ডলি নয়৷ আমাদের সাথে কথা বলেনি, শুধু নিজের মনে কথা বলেছে৷ আজকের ট্যাক্সি ড্রাইভারটাও সেই রকম৷ আমরা মোবাইল ফোনে ঠিকানা দেখাতে, একটি কথা না বলে সেখানে পৌঁছে দিল৷ আমরাও নেমে গেলাম৷ ব্যাস, ঐ পর্যন্ত৷''

নাদিয়া আলিলি প্যরিসের ট্যাক্সিচালকদের বদনামের কথা জানেন৷ তাঁর বক্তব্য হলো:

‘‘আমার মনে হয়, ট্যাক্সিচালকরা আগে বিশেষ কেয়ার করতেন না – গ্রাহকরা কী ভাবছে না ভাবছে, গাড়ি পরিষ্কার না ময়লা, নিজের জামাকাপড় পরিষ্কার না ময়লা, এ সব ব্যাপারে৷ কিন্তু প্রতিযোগিতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হয়েছে৷''

পুরুষালি দুনিয়া

বলতে কি, প্যারিসের ট্যাক্সিগুলো কোনো বিশেষ মডেলের গাড়ি নয়৷ নাদিয়া আলিলি একটি কালো টয়োটা চালান – দিনে ১১ ঘণ্টা করে৷ ট্যাক্সিচালকদের পুরুষালি দুনিয়ায় নারী হিসেবে তিনি নিজের জায়গা করে নিয়েছেন:

‘‘দিনে অন্তত দু'বার করে শুনি: এই প্রথম একজন মহিলা ট্যাক্সি ড্রাইভার দেখলাম৷ আমাদের পেশায় অনেকেই বেশি ‘মাচো' ভাব দেখায়৷ তা কী করে ম্যানেজ করতে হয়, সেটা শিখতে হয়৷ ওদেরও আমার মতো মহিলা ড্রাইভারদের মেনে নিতে হবে৷ আর গ্রাহকরা তো মহিলা ড্রাইভার পেলে খুব খুশি৷''

ট্যাক্সি ড্রাইভারের কাজটা খুবই ‘স্ট্রেনুয়াস'৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও নাদিয়ার এই স্বাধীনতা ভালো লাগে:

‘‘আমি নিজেই আমার ট্যাক্সির মালিক এবং আমার কোনো বাঁধাধরা কোনো কাজের সময় নেই৷ নানা ধরনের মানুষের সঙ্গে দেখা হওয়াটাও ভালো লাগে: সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে মন্ত্রী৷ একবার তো নাম-করা সাবেক টেনিস খেলোয়াড় ইয়ানিক নোয়া-র সঙ্গে দেখা হয়েছিল৷''

সন্ধ্যায় প্যারিস জমজমাট৷ ট্যাক্সি খোঁজেন বহু মানুষ৷ তবুও নাদিয়া দিনেই ট্যাক্সি চালাতে ভালোবাসেন:

‘‘রাত আর দিনের যাত্রী একরকম নয়৷ দিনের বেলা বিজনেসম্যান আর টুরিস্টরা ট্যাক্সি চড়েন৷ রাতে যাঁরা নাইট ক্লাবে অথবা ডিস্কোয় যাচ্ছেন, তাঁরা আর সেই সঙ্গে নানা ধরনের লোক৷ ভালো লোকও হতে পারে, আবার খারাপ লোকও হতে পারে৷ কাজেই রাতে অত ট্যাক্সি চলে না৷ অনেক ট্যাক্সিচালক রাতে ট্যাক্সি চালাতে ভয় পান৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান