1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নেপালের নির্বাচন

গাব্রিয়েল ডমিনিগেস/এসবি১৯ নভেম্বর ২০১৩

মঙ্গলবার নেপালে সাধারণ নির্বাচন৷ রাজতন্ত্রের অবসানের এতগুলি বছর পরেও স্থিতিশীল গণতন্ত্র সে দেশে এখনো দূর অস্ত রয়ে গেছে৷

https://p.dw.com/p/1AKOm
Chairman of the Unified Communist Party of Nepal (Maoist), Pushpa Kamal Dahal, also known as Prachanda, (C) takes part in an election campaign at Kritipur, in Kathmandu October 29, 2013. Nepal will hold Constituent Assembly elections on November 19, 2013. REUTERS/Bikash Karki (NEPAL - Tags: POLITICS ELECTIONS)
ছবি: Reuters

নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে বটে, কিন্তু সব দলের সম্মতি ছাড়াই৷ অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনের আওতায় নয়, সর্বদলীয় এক তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে পরে নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে বিরোধী ৩৩টি দলের জোট৷ প্রতিবাদ হিসেবে তারা সারা দেশে পরিবহন বন্ধের যে কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, তাকে কেন্দ্র করে ঘটে চলেছে একের পর এক হিংসাত্মক ঘটনা৷ হরতালে জর্জরিত গোটা দেশ৷

দুই দশক আগে রাজা বীরেন্দ্র বীর বিক্রম শাহর নেতৃত্বে রাজতন্ত্রের শাসনের অবসানের পর নেপালে শান্তি আসেনি৷ মাওবাদী বিদ্রোহীদের সংগ্রামে দেশের বিস্তীর্ণ অংশ কার্যত অচল হয়ে পড়ে৷ ২০০৬ সালে সরকার ও মাওবাদীদের মধ্যে বোঝাপড়া হয়৷ সব দলের অংশগ্রহণে নতুন প্রতিনিধিসভার সদস্যদের নির্বাচন করে নতুন সংবিধান রচনার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়৷ ২০০৮ সালে সেই প্রতিনিধিসভা গঠিত হলেও ঐকমত্যের অভাবের কারণে চার বছর পর তা ভেঙে দেয়া হয়৷ রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটাতে ২০১৩ সালের শুরুতে দেশের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে এক তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, যার কাজ ছিল ১৯শে নভেম্বরের নির্বাচনের আয়োজন করা৷

নেপালের প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ মঙ্গলবার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে সংসদে ৬০১টি আসনে সদস্যদের স্থির করার সুযোগ পাচ্ছেন৷ নতুন এই সংসদেরও কাজ হবে সংবিধান রচনা করা৷ ১০০টিরও বেশি দল এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, যাদের মধ্যে দেশের তিনটি প্রধান দলও রয়েছে৷ এরা হলো সংযুক্ত মার্ক্সবাদী ও লেনিনবাদী দল, নেপালি কংগ্রেস এবং মাওবাদীরা৷ কিন্তু অতীতেও বেশ কিছু মৌলিক প্রশ্নকে কেন্দ্র করে এই তিন দলের মতপার্থক্য কাটবে কি না, তা বলা কঠিন৷ বিশেষ করে প্রস্তাবিত ফেডারেল কাঠামো, নতুন রাজ্য গঠন, কেন্দ্র-রাজ্যের ক্ষমতার বণ্টন নিয়ে ঐকমত্যের অভাব রয়েছে৷ ইউনাইটেড কমিউনিস্ট ও মাওবাদীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো প্রেসিডেন্ট-কেন্দ্রিক ব্যবস্থা চাইছে৷ মার্ক্সবাদী ও লেনিনবাদীরা চাইছে ফ্রান্সের মতো প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী-কেন্দ্রিক কাঠামো৷ আঞ্চলিক দলগুলি শক্তিশালী রাজ্য সরকার দেখতে চায়৷ এই অবস্থায় কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল মাওয়িস্ট-এর নেতৃত্বে বেশ কিছু দল নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য