প্রথম দফায় আসাম বিধানসভায় ৬২টি আসনে ভোট
৪ এপ্রিল ২০১১এ মাসে আসাম থেকে শুরু হয় পাঁচটি রাজ্যের ভোট পর্ব৷ আসামের ১২৬টি বিধানসভা আসনের প্রথম দফায় আজ ভোট হয় ১৩টি জেলার ৬২টি আসনে মোটামুটি নির্বিঘ্নে৷ ভোট পড়ে ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশের মত৷ প্রথম দফার ভোটে আজ প্রার্থী ছিলেন ৪৮৫জন৷ তারমধ্যে মহিলা ৩৮জন৷ কংগ্রেস ও বিজেপি সবকটি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে৷ অহম গণপরিষদ এজিপি দিয়েছে ৫১টি আসনে৷ গত দুটি নির্বাচনেই সরকার গঠন করেছিল কংগ্রেস৷ এবার জিততে পারলে সেটা হবে কংগ্রেসের হ্যাট্রিক৷ তবে বিশ্লেষকদের মতে, এবারে তলে তলে বইছে একটা সরকার বিরোধী হাওয়া৷ কিন্তু সেটা কাজে লাগাতে গেলে বিরোধী দলগুলির মধ্যে যে ঐক্য দরকার ছিল, সেটা দানা বাঁধেনি৷ রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল অহম গণপরিষদ গাটছড়া বাঁধেনি বিজেপির সঙ্গে৷ আসামে তৃণমূল কংগ্রেস এবং এইউডিএফ কংগ্রেসের মুসলিম ভোট কাটতে পারে৷
এবারে তেমন বড় কোনো নির্বাচনী ইস্যু নেই৷ কংগ্রেস উন্নয়নকে ইস্যু করলেও বিজেপি ও এজিপি দুর্নীতিকে ইস্যু করেছে৷ পুলিশে ভর্তি নিয়ে দুর্নীতি, ঘুষ, হত্যাকাণ্ড, এক হাজার কোটি টাকার তছরুপের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত ইত্যাদি৷
বিচ্ছিন্নতাবাদি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির দৌরাত্ম অন্যান্যবারের চেয়ে কম৷ কারণ আলফা জঙ্গি গোষ্ঠী সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনা বসেছে৷ তবে পরেশ বড়ুয়ার আলফা শাখা বনধ ডাকে এবং প্রধানমন্ত্রী ড.মনমোহন সিং-এর নির্বাচনী সভা বয়কটের ডাক দেয়৷ গুয়াহাটির রাজীবভবনে বিস্ফোরণ ঘটায়৷ তাই কোনরকম ঝুঁকি না নিয়ে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়৷ আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশকে সাহায্য করতে ৪৪৬ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়৷ স্পর্শকাতর এবং অতি স্পর্শকাতর এলাকায় নজরদারি বাড়াতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়৷ দরকার মতো সেনা বাহিনীকে তৈরি রাখা হয়৷ প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র এবং গুলিবারুদ উদ্ধার করেছে পুলিশ৷
আজকের ভোটে যাঁদের রাজনৈতিক ভাগ্য নির্ধারিত হলো, তাঁদের মধ্যে আছেন তিতাবর কেন্দ্রের প্রার্থী রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গোগৈই, তেজপুর থেকে অহম গণপরিষদের শীর্ষ নেতা বৃন্দাবন গোস্বামী, বেহালি কেন্দ্রে রাজ্য বিজেপি সভাপতি রঞ্জিত দত্তপ্রমুখ৷ দ্বিতীয় দফার ভোট ১১ই এপ্রিল৷
২০০৬-এর নির্বাচনে এই ৬২টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস দখল করেছিল ৩৭টি আসন, বিজেপি ১০টি এবং অহম গণপরিষদ ৭টি৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ