1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে নাগা নেতা মুইভার মণিপুর সফর বাতিল

৮ মে ২০১০

নতুন দিল্লির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে মণিপুর ও নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রীদের আলোচনার পর তাঁদের মিলিত আবেদনে সাড়া দিয়ে এন.এস সি এন (আই এম) নেতা মুইভা তাঁর মণিপুর সফর স্থগিত রাখলেন শান্তির খাতিরে৷

https://p.dw.com/p/NJMy
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের সঙ্গে মুইভা (ফাইল চিত্র)ছবি: UNI

নাগাল্যান্ড-মণিপুর সীমান্ত এলাকা আপাতত শান্ত, কিন্তু থমথমে৷

মণিপুরের নাগা অধ্যুষিত এলাকা সোমদাল গ্রামে তাঁর জন্মস্থানে নাগা নেতা এন এস সি এন (আই এম)-এর জেনারেল সেক্রেটারি টি. মুইভা যাবার চেষ্টা করলে মণিপুর-নাগাল্যান্ড সীমান্তে তাঁকে বাধা দেয় মণিপুর নিরাপত্তা বাহিনী৷ সংঘর্ষ হয় মুইভার সমর্থক ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে৷ গুলিতে মারা যায় তিন জন, আহত জনা পঞ্চাশেক৷ পরিস্থিতি হয়ে ওঠে অগ্নিগর্ভ৷ সফর বাতিলের পর সেখানকার বর্তমান পরিস্থিতি এবং কেন মণিপুর সরকার এই সফর নিষিদ্ধ করেছেন, সে সম্পর্কে দিল্লির মণিপুর সরকারের মুখপাত্র মেঘা চন্দ্র সিং ডয়েচে ভেলেকে বলেন, মণিপুর-নাগাল্যান্ড সীমান্ত প্রবেশ পথ মাও এলাকার পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে৷ নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন আছে৷ নাগারা পুনরায় জেলা পরিষদ আইন সংশোধনের দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখে প্রায় মাসাধিক কাল৷ এই জাতীয় সড়ক মণিপুরের জীবনরেখা৷ ফলে মণিপুরিদের দুর্ভোগের একশেষ৷ স্বভাবতই মণিপুরিরা ক্ষুব্ধ৷ এ অবস্থায় মুইভাকে মণিপুরে ঢুকতে দিলে সাম্প্রদায়িক হিংসা বাড়তো৷ মণিপুর সরকারের মতে,এটা মুইভার মণিপুর বিভাজনের চক্রান্ত৷

অন্যদিকে, নাগাল্যান্ডে এবং দিল্লিতে মুইভা সমর্থকরা পুলিশের গুলি চালনার তীব্র নিন্দা করে বলেছে, মুইভাকে তাঁর জন্মস্থানে যেতে না দেওয়াটা মানবিক অধিকার লঙ্ঘন৷ দিল্লিতে প্রায় ৫০০ নাগা ছাত্র মণিপুর ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখায় এবং ভাঙচুর চালায়৷

উল্লেখ্য, এন এস সি এম (আই এম) উত্তর-পূর্ব ভারতের সবথেকে পুরানো ও শক্তিশালী নাগা বিদ্রোহী গোষ্ঠী৷ এদের দাবি, আসাম, মণিপুর ও অরুণাচল প্রদেশের নাগা অধ্যুষিত এলাকা নিয়ে বৃহত্তর নাগাল্যান্ড গঠন – যেটা ঐ সব রাজ্য খারিজ করে দেয়৷ হালে নতুন দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে মুইভার নেতৃত্বাধীন বিচ্ছিন্নতাবাদি এন এস সি এম (আই এম ) গোষ্ঠীর কয়েক দফা বৈঠক হয়, কিন্তু সমাধানসূত্র আটকে যায় পৃথক রাষ্ট্রের দাবিতে – কেন্দ্র বৃহত্তর স্ব-শাসনে রাজী হওয়া সত্ত্বেও৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন