1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিইসি কি নিরপেক্ষ?

৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে৷ কেউ কেউ দাবি করছেন, তিনি আওয়ামী লীগ ঘরানার এবং বিএনপির আমলে শাস্তি পাওয়া সরকারি কর্মকর্তা৷ নুরুল হুদা অবশ্য তা অস্বীকার করেছেন৷

https://p.dw.com/p/2XAWo
Bangladesch - Neues Bürogebäude zur Wahlkomission
ছবি: bdnews24.com

খান মোহাম্মদ নুরুল হুদাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ঘোষণা করে চমক সৃষ্টি করে সার্চ কমিটি৷ যদিও তাঁর নাম প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের দেয়া তালিকায় ছিল না, তারপরও সার্চ কমিটি মনে করেছে, তিনিই এই দায়িত্বশীল পদের জন্য উপযুক্ত৷ হুদার এই নিয়োগের পর তাৎক্ষণিক আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়াও জানাতে পারেনি বাংলাদেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি৷

তবে দলটি যে নুরুল হুদাকে নিয়ে রীতিমতো গবেষণা করছে, তার নজির পাওয়া গেলে ফেসবুকে৷ নিজেকে দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা দাবি করা মাহদি আমিন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘(নুরুল হুদা) বিএনপির ১৯৯১-১৯৯৬ সরকারের সময় ফরিদপুর ও কুমিল্লায় জেলা প্রশাসক ছিলেন৷ তবে ১৯৯৬ সালে সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগকে সহযোগিতার লক্ষ্যে প্রত্যক্ষভাবে কুমিল্লায় ‘জনতার মঞ্চ' প্রতিষ্ঠা করেন৷’’

মাহদি আমিনের দাবি, ‘‘সেই সময় জনতার মঞ্চের নেতা-সংগঠক হিসাবে যে ১০ জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে বিএনপি মামলা করেছিল তিনি তাদের একজন৷ ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর ধারাবাহিক পদোন্নতি হলেও পোস্টিং না পেয়ে তিনি ওএসডি থাকেন৷ ওএসডি অবস্থাতেই ২০০৬ সালে রেগুলার অবসরে যান৷ আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে সরকার গঠন করলে তিনি পূর্ববর্তী আনুগত্যের পুরস্কারস্বরূপ সরাসরি ভূতাপেক্ষ সচিব হন৷’’

মাহদি আমিনের এই ফেসবুক স্ট্যাটাসের পর জনতার মঞ্চের সঙ্গে নুরুল হুদার সম্পর্ক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়৷ বিষয়টি মূলধারার গণমাধ্যমে তুলে এনেছে দৈনিক প্রথম আলো৷ পত্রিকাটিতে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে নুরুল হুদা জনতার মঞ্চের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করলেও বিএনপি আমলে তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর কথা স্বীকার করেন৷ তাছাড়া ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথাও জানিয়েছেন তিনি৷

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া নুরুল হুদা অবশ্য অতীত ভুলে নিরপক্ষেভাবে কাজ করার আশ্বাসও দিয়েছেন৷ প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘‘‘আমি পেছনের দিকে তাকাতে চাই না৷ কারও প্রতি রাগ বা অনুরাগের বশবর্তী হব না৷ আমি নিরপেক্ষভাবে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকব৷’’

এদিকে, সাংবাদিক শরিফুল হাসান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হুদাকে অভিনন্দন৷ তিনি মুক্তিযোদ্ধা, শুধু এই কারণেই স্বাধীনতাবিরোধী আর তাদের মিত্রশক্তিরা তাকে পছন্দ করবে না৷ তাতে কিছু যায় আসে না৷’’

সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী

প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নুরুল হুদার নিয়োগকে আপনি কিভাবে দেখছেন? লিখুন মন্তব্যে৷