1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রশ্ন করলেই কেটে দেবো নাক!

১১ এপ্রিল ২০১৬

নারী নির্যাতন বিষয়ক একটি আইন নিয়ে সমালোচনার মুখে রয়েছে আফগানিস্তান৷ এবার এক সংসদ সদস্যকে আইনটির কার্যকারিতা ও ধর্ষণ নিয়ে প্রশ্ন করতে গিয়ে নাক হারানোর হুমকির মুখে পড়েছেন এক সাংবাদিক৷

https://p.dw.com/p/1ITHD
আফগানিস্তানের একটি গ্রাফিতি
ছবি: dapd

‘ভাইস নিউজ'-এর হয়ে আফগানিস্তানের সাংসদ নাজির আহমাদ হানাফির সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন ইসোবেল ইয়ুং৷ সংসদ সদস্য হানাফির সামনে সরাসরিই প্রশ্ন রেখেছিলেন তিনি৷ বলেছিলেন, ‘এই আইন যদি পাশ হয়, তবে নারীদের পক্ষে বিচার পাওয়া হয়ত অসম্ভব হয়ে উঠবে, এটা কি আপনি বিশ্বাস করেন?' প্রশ্ন শুনে তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠেন সাংসদ৷ এমনধারা প্রশ্ন করলে নাকি ইয়ুং-এর নাকটাই কেটে দেবেন উনি৷

আপাতদৃষ্টিতে নারী নির্যাতনবিরোধী এই আইনটি বেশ প্রগতিশীল৷ এতে শুধু ধর্ষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধেই শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়নি, বাল্যবিবাহ, জোর করে বিয়ে দেওয়া, নারী ব্যবসা ইত্যাদিও শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য করা হয়েছে৷

মুশকিলটা হলো, ঐ আইনে বলা হয় যে, অভিযুক্ত নির্যাতনকারীর বিরুদ্ধে পরিবারের কোনো সদস্য সাক্ষী দিতে পারবে না৷ অথচ আফগান নারীরা প্রধানত পরিবারের ভেতরেই নির্যাতনের শিকার হন৷ বলা বাহুল্য, এই আইনের ফলে তালেবানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর আফগানিস্তানে বাল্য বিবাহ, ধর্ষণ ও পারিবারিক নির্যাতন বন্ধে যেসব অগ্রগতি হয়েছে, সেগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে৷ তাই আইনটি সংশোধনের জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো প্রথম থেকেই আফগানিস্তানকে চাপ দিয়ে আসছে৷ তারপরও অবশ্য সাংসদ নাজির আহমাদ হানাফিরা এই আইনের কোনো সংশোধন চান না৷

উল্টে যাঁরা এ নিয়ে প্রশ্ন করেন তাঁদের ব্যতিব্যস্ত বা একঘরে করার চেষ্টা করেন, তাঁদের ‘নাক কেটে দেবো' বলে হুমকি দিতেও পিছ-পা হন না তাঁরা৷ ঠিক এমনটাই ঘটেছে ইসোবেলের ক্ষেত্রে৷

এমন একটা আইনে পরিবর্তন না এলে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার মামলায় অপরাধীকে সাজা দেয়া যে একরকম অসম্ভব – সে কথা আফগান সরকারকে বোঝাবে কে?

ডিজি/এসিবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান