1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশের অর্থনীতি

সমীর কুমার দে, ঢাকা২৩ অক্টোবর ২০১৫

বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে৷ প্রতিবছর ২০ লাখ মানুষ মধ্যবিত্ত হচ্ছেন৷ বর্তমানে মধ্যবিত্তের সংখ্যা এক কোটি ২০ লাখ, যা মোট জনসংখ্যার ৭ ভাগ৷

https://p.dw.com/p/1GtBM
Werbung im Internet
ছবি: Getty Images

[No title]

এভাবে মধ্যবিত্ত বাড়তে থাকলে ২০২৫ সাল নাগাদ উচ্চ ও মধ্যবিত্ত মানুষের সংখ্যা দাঁড়াবে ৩ কোটি ৪০ লাখে৷ গত এক দশকে স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধ ও কর্মজীবী মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী, ঊর্ধ্বমুখী ও গতিশীল হয়েছে৷

ম্যানেজমেন্ট কনসালটিং ফার্ম ‘বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ' বা বিসিজি এর সেন্টার ফর কাস্টমার ইনসাইটের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে৷ বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়৷ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এসডি এশিয়া

বিসিজি দুই হাজারের বেশি বাংলাদেশি ভোক্তার ওপর জরিপ করে এবং তাদের ভোগের ধরণ সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ ও গবেষণা করে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে৷ এতে বলা হয়, উচ্চ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ভোক্তারা ভবিষ্যতের ব্যাপারে খুবই আশাবাদী, বিদেশি ব্র্যান্ডকে মূল্যায়ন করছে এবং প্রযুক্তিগত সুবিধা গ্রহণের ক্ষেত্রে এগিয়ে আসছে৷ এসব কারণে এখানে ভোগ্যপণ্যের বাজার বিশ্বের উদীয়মান ও খুবই সম্ভাবনাময় হিসাবে দেখা হচ্ছে৷

বিসিজির বাংলাদেশে কোনো কার্যালয় নেই৷ এসডি এশিয়া নামের প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমেই তারা প্রাথমিক কাজগুলো করছেন৷ এসডি এশিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও প্রতিষ্ঠাতা মোস্তাফিজুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘প্রতিবেদনে মূলত ৬টি পয়েন্ট এসেছে৷ বাংলাদেশের মানুষ ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে ভয় পান৷ এখানে তাদের মধ্যে এক ধরনের ভীতি আছে, ঋণ নিলে কীভাবে পরিশোধ করতে হবে৷ আবার অনলাইনের তথ্যকে তারা অনেক বেশি বিশ্বাস করেন৷ সেখানে প্রিন্ট বা অন্য কোনো মিডিয়ার চেয়ে দ্বিগুনেরও বেশি বিশ্বাস করেন অনলাইনের তথ্যকে৷ অনলাইনে কেনাকাটা করতেও তারা অনেক স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন৷''

প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদনটির সহ-রচয়িতা জারিফ মুনির বলেন, বাংলাদেশের বাজার এশিয়ার অন্যান্য দেশের বাজারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গতিশীল, কিন্তু এখন পর্যন্ত তা বেশিরভাগ বহুজাতিক ভোগ্যপণ্য প্রতিষ্ঠানের নজরে আসেনি৷ যেসব প্রতিষ্ঠান এ বাজারে অবস্থান নিতে আসবে, তারা একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরির সুযোগ পাবে৷

গবেষণায় মধ্যবিত্ত শ্রেণির মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারের বিষয়টি তুলে ধরে বলা হয়েছে, এই শ্রেণির ৬৮ শতাংশ ভোক্তার হাতে ইন্টারনেটযুক্ত স্মার্টফোন রয়েছে৷ নগদ অর্থের চেয়ে মোবাইল ব্যবহার করে পণ্যের মূল্য পরিশোধে এ শ্রেণির ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে৷ ৮১ শতাংশ মধ্যবিত্ত অনলাইনে পাওয়া তথ্যকেই বিশ্বাসযোগ্য হিসেবে মনে করেন৷

ওই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস, বেসিস এর সভাপতি শামীম আহসান৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, এই প্রতিবেদন বাংলাদেশের ভোগ্যপণ্যের বাজারের জন্য অনেক উপকারে আসবে৷ বিদেশিরা এদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসলে দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাবে৷ দেশের টেলিকম খাতের ৯৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে বিদেশি কোম্পানিগুলো৷ আর অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ৭০ শতাংশই বিদেশি কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রণে৷ এক্ষেত্রে দেশিয় উদ্যোক্তাদের আরো বেশি করে এগিয়ে আসতে হবে৷ একইসঙ্গে প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে হলে দেশীয় উদ্যোক্তাদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে৷

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার ৭ শতাংশ বা ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ মধ্যবিত্ত শ্রেণিতে আছেন৷ ভিয়েতনামে এমন মধ্যবিত্ত শ্রেণি দেশটির মোট জনসংখ্যার ২১ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ায় ৩৮ শতাংশ ও থাইল্যান্ডে ৫৯ শতাংশ৷ আশাবাদী হওয়ার মতো বিষয় হচ্ছে, জনসংখ্যার অনুপাতে এখনো কম হলেও বাংলাদেশে প্রতিবছর সাড়ে ১০ শতাংশ হারে মধ্যবিত্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে৷ স্থিতিশীল অর্থনৈতিক অগ্রগতির কারণে মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশে ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, মিয়ানমারের মতো দেশগুলোর চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ৷ ভোক্তা হিসেবে বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণি সম্পর্কে বলা হয়েছে, গবেষণায় অংশ নেওয়া ৮১ শতাংশ মনে করেন তাদের পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল৷

আপনি কি ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে ভয় পান? মতামত জানান নীচে মন্তব্যের ঘরে..

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য