1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রিন্টের রেকর্ড নিয়ে আকাশে উড়তে চায় ‘কাইটস’

২০ মে ২০১০

বেশি সময় বাকি নেই৷ বাজারে এলো বলে ‘কাইটস’৷ অনেকদিন পরে ঋতিকের ছবি৷ কিন্তু, প্রথমেই বাজার ধরতে সে ছবির প্রিন্ট করানো হয়েছে রেকর্ড পরিমাণে৷ ছবির সাফল্য নিয়েও রয়েছে টুকটাক সন্দেহ৷

https://p.dw.com/p/NSLx
কাইটস ছবির প্রচারে ঋতিক, এফ এম স্টেশনেছবি: UNi

একদিকে সুপারস্টার ঋতিক অনেকদিন পরে পর্দায়৷ আর অন্যদিকে রয়েছেন স্প্যানিশ অভিনেত্রী বারবারা মোরি৷ ফলে হিন্দী তো বটেই, ইংরেজি এমনকি ল্যাটিন অ্যামেরিকার বাজার ধরতে স্প্যানিশ ভাষাতেও ডাব করা হয়েছে ‘কাইটস'৷ প্রচার তো শুরু হয়ে গেছে সেই কবে থেকেই৷ অবশেষে আর মাত্র কয়েক ঘন্টার অপেক্ষা৷ শুক্রবারেই মুক্তি পাবে ‘কাইটস'৷ কিন্তু ছবিটা কী আদৌ সফল হবে? সে প্রশ্নের ওড়াউড়ি শুরু হয়েছে ইতিউতি৷

কারণও আছে৷ বলিউড এখন যে রাস্তাটা নিয়েছে তা হল, প্রথম তিনদিনেই দর্শককে টেনে আনো সিনেমাহলে৷ তাতেই বক্স অফিসের প্রথম খরাটা কেটে যায়৷ বোঝা যায়, ছবি উতরোল নাকি মুখ থুবড়ে পড়ল! তো, ‘কাইটস'-এর ক্ষেত্রে সেই একই কায়দা করতে গিয়ে একটা রেকর্ডই করে ফেলেছে ছবিটা৷ সেটা হল প্রিন্টের রেকর্ড৷ এর আগে ২০০০ প্রিন্ট নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল শাহরুখ খানের ‘মাই নেম ইজ খান'৷ সেটাই ছিল রেকর্ড৷ ‘কাইটস'-এর ক্ষেত্রে নেওয়া হয়েছে ২৩০০ প্রিন্ট৷ যাতে কোথাও কোন খটকা আর না থাকে৷

Flash-Galerie Afghanistan Land und Leute Bollywood in Kabul
দর্শক টানতে ‘কাইটস’ খেলছে বেশি প্রিন্টের খেলাছবি: AP

কিন্তু কেন এত প্রিন্ট? যাতে একসঙ্গে ২৩০০ সিনেমাহলে ছবি চালু হয়ে যায়৷ সেটা হলে ছবিটা সাপ না ব্যাঙ কি হয়েছে, তা বোঝার আগেই এত বেশি সংখ্যক দর্শক ছবির টিকিট কেটে ফেলবেন যে প্রযোজকের টাকার অনেকটাই উঠে আসবে ওই প্রথম তিনদিনেই৷ তারপর যদি ছবি মার খায়ও, তেমন ক্ষতি নেই৷

মার খাবে কেন? মানে, মার খাওয়ার প্রশ্ন উঠছেই বা কেন? উঠছে, কারণ, ছবির কলাকুশলীদের একাংশ জনান্তিকে বলেছেন, ছবিতে বিস্তর টাকা ঢালা হয়েছে বটে, কিন্তু বস্তু তেমন নেই৷ তাছাড়া, প্রযুক্তিগত কিছু খুচখাচ গলদও নাকি রয়ে গেছে৷ অতএব, এখন বাকিটা শুধুই সময়ের অপেক্ষা, আর সেইসঙ্গে জনগণের পছন্দ অপছন্দের খেলা৷ শেষ পর্যন্ত কোথায় পৌঁছায় ‘কাইটস' দেখাই যাক৷ ঘুড়ি আকাশে উড়লে তো ভালোই৷ কিন্তু, মাঝপথে গোঁত্তা খেয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়লে কী হবে, সেদিকে তাকিয়ে তো আর প্রযোজক তাঁর পয়সা জলে দিতে পারেন না, অতএব প্রচারের বিপুল হাইপ করে, ২৩০০ সিনেমাহলে ছবি পাঠিয়ে দিয়ে এইসব থেকেই তুলতে হবে ফায়দা৷

আর সেই ফায়দা তুলতে সময়টা মাত্র তিনদিন৷ কারণ, ছবি যদি গোঁত্তা খায়, তাহলে সোমবার থেকেই হলে মাছি উড়বে৷ ‘কাইটস' -এর আর উড়তে হবে না৷

প্রতিবেদন : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা : ফাহমিদা সুলতানা