1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন

২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫

বাংলাদেশে ‘ক্রসফায়ার’ বা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধে কী করা যেতে পারে? ব়্যাবের মতো বিশেষ বাহিনী প্রয়োজনই বা কতটা? ফেসবুক, টুইটারে ডয়চে ভেলের এ সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন অনেকে৷ চলুন জানা যাক তাঁদের মতামত৷

https://p.dw.com/p/1GSq1
Opfer des Rapid Action Battalion (RAB) in Bangladesh
ছবি: DW

‘ক্রসফায়ার' নিয়ে বলতে গিয়ে বাংলাদেশের সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কয়েকজন পাঠক৷ তাঁদের একজন মোহাম্মদ আলতাফ৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘বর্তমানে বাংলাদেশের যে করুণ অবস্থা, তাতে হাতি থেকে শুরু করে পিঁপড়া পর্যন্ত অবৈধ কাজ করতে সাহস পাচ্ছে৷ কারণ বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার৷ যেখানে সরকারই অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আছে, সেখানে তো সবাই সুযোগ নিবেই৷''

আরেক পাঠক মো. সাইফুল ইসলাম মনে করেন, ‘‘‘নির্বাচিত সরকার' ক্ষমতায় আসলে এধরনের পরিস্থিতি থাকবে না৷ কেন না নির্বাচিত ‘‘সরকার কোনো বাহিনীর উপর নির্ভরশীল নয়৷''

সরকারের পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীদের অবস্থান কী হওয়া উচিত তা-ও জানিয়েছেন পাঠকরা৷ এসএম জালাল উদ্দিন লিখেছেন, ‘‘সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীরা কোনো দল বা গোষ্ঠীর দালালি না করলে, আইন নিরপেক্ষভাবে আইনের গতিতে চললে ক্রসফায়ার থাকবে না৷''

ডয়চে ভেলের আরেক পাঠক মনে করেন সরকারি পদে থাকলে এবং সেই পদ থেকে অবসরের পরও যেন রাজনীতি করা না যায় সেই ব্যবস্থা করা উচিত৷ ফজল মাহমুদ লিখেছেন, ‘‘সরকারি পদে থাকলে যেমন রাজনীতি করা যায় না, তেমনি অবসর গ্রহণের পরও রাজনীতি করতে পারবে না আইন করা উচিত৷ তাহলে গাছের খেয়ে তলারটা টোকাতে পারবে না, আমলা ভূমিকা বন্ধ হবে৷ রাজনীতিবিদ ও রাজনীতিকে নিরপক্ষভাবে দেশ ও জনগণের হতে হবে৷ তাহলেই বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ হবে৷''

পাঠক তাপস শিকদার অবশ্য মনে করেন, ‘ভালো মানুষের' ক্রসফায়ার হয় না৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘নূন্যতম ১-২টা খুন না করলে তো খুনি হিসাবে আত্মপ্রকাশই ঘটে না, আর এদের ১-৫ নং গ্রুপ থাকে, গ্রুপের প্রধানকে ধরলে তার বিরুদ্ধে কে সাক্ষী দিতে যাবে! প্রধানকে বাঁচাতে বাকি গ্রুপগুলো কি সাক্ষীর চৌদ্দগুষ্ঠির কোনো অস্তিত্ব রাখবে?''

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার না করা জরুরি বলে মনে করেন এম এইচ রিপন৷ ডয়চে ভেলের এই পাঠক লিখেছেন, ‘‘দেশে যত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আছে, তাদেরকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার না করে যদি দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে নিয়োজিত করে এবং তারা যত কর্মকাণ্ড করবে তা যেন সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হয়৷ পরিশেষে তাদেরকে রাজনীতির কালো ছায়া থেকে দূরে রাখতে পারলে তবেই বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ হবে বলে আমি মনে করি৷''

আপনি কি এ সব মতামতের সঙ্গে একমত পোষণ করছেন? নাকি জানাতে চান আপনার মন্তব্য? এই পাতার নীচে রয়েছে মন্তব্য লেখার সুযোগ৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান