1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফখরুদ্দিন-মইনকে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির তলব

১৮ এপ্রিল ২০১১

সেনা সমর্থিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ফখরুদ্দিন আহমদ এবং সাবেক সেনা প্রধান মইন ইউ আহমেদের লিখিত বক্তব্যে সন্তুষ্ট হতে পারেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি৷

https://p.dw.com/p/10vOk
সাবেক সেনা প্রধান মইন ইউ আহমেদছবি: DW / Samir Kumar Dey

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-সেনা সংঘর্ষ এবং শিক্ষক নির্যাতনের ব্যাপারে তাদের আবারো সংসদীয় কমিটিতে হাজির হতে নোটিশ দেয়া হয়েছে৷ ৫ই জুন হাজির হতে বলা হয়েছে তাদের৷

আজ শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর কমিটির প্রধান রাশেদ খান মেনন এমপি জানান, ফখরুদ্দিন আহমদ এবং প্রধান মইন ইউ আহমেদ ২০০৭ সালে আগষ্টে ঢাকা বিশ্ববাদ্যালয়ের ছাত্র সংঘর্ষের ব্যাপারে যে লিখিত বক্তব্য পাঠিয়েছেন তা পূর্ণাঙ্গ নয়৷ কারণ তারা ২০, ২১ ও ২২ আগষ্টের ঘটনাপ্রবাহ বর্ণানা করেছেন৷ এরপর যে শিক্ষক ও ছাত্র নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে তা তারা এড়িয়ে গেছেন৷ এক সদস্যের তদন্ত কমিটি ওই ৩ দিনের ঘটনা তদন্ত করেছে৷ পরবর্তী ঘটনা তদন্ত করেনি৷ তারা লিখিত বক্তব্যে তাদের দায়িত্ব এড়িয়ে গেছেন৷

Dr Fakhruddin Ahmed Bangladesch Wahlen 2008
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ফখরুদ্দিন আহমদছবি: Mutafiz Mamun

কমটি মনে করে, এই ধরনের দু:খজনক ঘটনা যাতে আর ঘটতে না পারে তাই আগষ্টের ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রয়োজন৷ এই কারণে কমিটি ফখরুদ্দিন আহমদ এবং প্রধান মইন ইউ আহমেদকে কমিটির সামনে হাজির হতে আবারো নোটিশ দিচ্ছে৷ এর বাইরে যেসব ব়্যাব কর্মকর্তা ছাত্র-শিক্ষক নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাদেরও হাজির হতে নোটিশ দেয়া হয়েছে৷ আগামি ৫ই জুন তাদেরও হাজির হতে হবে৷

দ্বিতীয় দফা নোটিশের পরও তারা যদি হাজির না হন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে মেনন বলেন, তারা মনে করেন সংসদীয় কমিটির সামনে হাজির হয়ে তাদের সংসদকে সম্মান দেখান উচিত৷ তারপরও হাজির না হলে বৈঠক করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে৷

এদিকে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ আজ এক অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তৃতায় ফখরুদ্দিন আহমদ এবং সাবেক সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদকে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান৷ উল্লেখ্য, তারা দু'জনই দেশের বাইরে আছেন৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক