1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ফাস্ট ফুড' ছেড়ে ধীরে খাওয়া শিখুন

১৩ জুন ২০১০

‘ফাস্ট ফুড' নয় – ‘স্লো ফুড' জীবনধারার পথে চললে খাদ্য সত্যি উপভোগ করা যায়৷ ইটালির এক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই জীবনধারার বিভিন্ন দিক শেখানো হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/Npcc
‘স্লো ফুড’ আন্দোলনের প্রতীক

মানুষের হাতে আজ সময় বড় কম৷ সবকিছু দ্রুত সেরে ফেলতে হবে – এটাই যেন জীবনের মূলমন্ত্র হয়ে উঠেছে৷ এমনকি খাবার-দাবারও চাই দ্রুত৷ তাই চারিদিকে গজিয়ে উঠেছে অসংখ্য ‘ফাস্ট ফুড'এর দোকান৷

SAymbolbild Hamburger, Burger, Fast Food McDonalds cheeseburger
‘ফাস্ট ফুড’ আমাদের জীবনযাত্রা বদলে দিলেও সত্যি কতটা উপভোগ করছি আমরা?

না, সবাই এই প্রবণতায় খুশি নয়৷ অন্তত খাওয়ার ক্ষেত্রে সময় নিয়ে খাদ্য উপভোগ করার সুযোগ ছাড়তে চায় না অনেকেই৷ তাই শুরু হয়েছে ‘স্লো ফুড' আন্দোলন৷ শুধু এই জীবনধারা উপভোগ করা নয়, গোটা বিষয়টিকে এক শিক্ষাক্রমের মধ্যে স্থান দেওয়া হয়েছে ইটালির ব্রা শহরের এক অভিনব বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ প্রায় ৬ বছর আগে ‘ইউনিভার্সিটি অফ গ্যাস্ট্রোনমিক সাইন্সেস' পত্তন করা হয়েছিল৷ শুধু দেহের খিদের তাগিদে খাওয়া নয়, খাদ্যের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সংস্কৃতি, আবেগ ও মানবিক বৈশিষ্ট্য৷ ‘স্লো ফুড' আন্দোলনের এই মূলমন্ত্রকে বৈজ্ঞানিক পর্যায়ে নিয়ে এসেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়৷

তবে ইটালির ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে মোটেই রান্না শেখানো হয় না৷ নামী রেস্তোরাঁর ‘শেফ' বা পাচক হতে চাইলে ব্রা হবে ভুল ঠিকানা৷ কীভাবে প্রতিটি স্তরে উচ্চ মানের খাদ্য নিশ্চিত করা যায়, তা সেবিষয়ে জ্ঞান অর্জন করেন ছাত্রছাত্রীরা৷ খাদ্য উৎপাদন, খাদ্যের বিপণন, খাদ্যের বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে খাদ্যের ইতিহাস, বিশ্লেষণ – পাঠ্যক্রমের তালিকা বেশ দীর্ঘ৷

সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক মন্দার ফলে অনেকেই খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের কথা ভাবছেন৷ হাজার-হাজার মাইল দূর থেকে খাদ্য আমদানী না করে স্থানীয় পর্যায়ে খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়ে সুলভে উচ্চ মানের খাদ্যের যোগান দেওয়া সম্ভব – এই ধারণা ক্রমশঃ আরও দৃঢ় হচ্ছে৷ অতএব ‘স্লো ফুড' জীবনধারার সাফল্যের সম্ভাবনা বেশ উজ্জ্বল৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম