1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফিরে আসছে পুরানো গেমস

আন্টিয়ে বিন্ডার/এসবি১৫ জুন ২০১৫

এককালে ছোট্ট যন্ত্রের রঙিন পর্দায় নানা রকম শব্দের ঝনঝনানি শুনলে বোঝা যেত, ভিডিও গেম খেলা হচ্ছে৷ আজ কম্পিউটার ও মোবাইল ফোনের দৌলতে অসংখ্য গেম সবার নখদর্পণে৷ কিন্তু পুরনো গেম-এর আকর্ষণ মোটেই কমেনি৷

https://p.dw.com/p/1FhEA
Jo-Mei Berliner Entwickler von Computerspielen
ছবি: DW

বার্লিনে ‘গেমসউইক' প্রদর্শনীতে এটাই সেরা আকর্ষণ৷ রেট্রো গেমস – বেশিরভাগই ৩০ বছরের বেশি পুরানো৷ অত্যন্ত সহজ বিন্যাস, গ্রাফিক্স-ও সেই মান্ধাতার আমলের৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও পুরো শক্তি দিয়ে এই গেমস খেলা চলছে৷ বার্লিনের দুই গেমস ডেভেলপার রিয়াদ জেমেলি ও ইয়োহানেস ক্রিস্টমান-ও বিষয়টি লক্ষ্য করছেন৷ তাঁরাও এই ক্ল্যাসিক গেম দেখে মুগ্ধ৷ ক্রিস্টমান বলেন, ‘‘ঠিক পুরানো আসবাবের মতো৷ মনে হয়, বিশাল বড় অথবা ভীষণ ভারি – তাই আজ আর এমন জিনিস বসার ঘরে রাখবো না৷ কিন্তু এমন নিপুণ হাতে তৈরি জিনিস দেখলে মুগ্ধও হতে হয় বৈকি৷''

এক বছর আগে এই দুই ডেভেলপার চাকরি ছেড়ে নিজেদের স্টুডিও খোলেন৷ তাঁদের প্রথম গেম-এর নাম ‘দ্য কিউরিয়াস এক্সপিডিশন'৷ মাত্র কয়েক মাস আগের হলেও দেখলে মনে হবে নব্বইয়ের দশকে তৈরি৷ ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রেক্ষাপটে তৈরি এই গেম-এ খেলোয়াড় নিজেই অভিযান পরিচালনা করছেন৷ দূরের দেশ আবিষ্কার করার সময় নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন৷ যেমন নতুন সংস্কৃতির সঙ্গে যোগাযোগ অথবা প্রাকৃতিক বিপর্যয়৷

সেকেলে ধাঁচে গ্রাফিক্স তৈরি করেছেন ইয়োহানেস ক্রিস্টমান৷ ল্যান্ডস্কেপ সৃষ্টি করতে সামান্য কিছু পিক্সেলই যথেষ্ট৷ দেখতে এমন সহজ সরল হওয়ার কারণে এই গেম-এর কিছু সুবিধাও রয়েছে৷ ক্রিস্টমান বলেন, ‘‘আমাদের গেম সহজে সেকেলে হবে না, কারণ অ্যান্টিকের উপর ভিত্তি করেই তো এটি তৈরি হয়েছে৷ আমাদের আশা, ৫ থেকে ১০ বছর পরেও এই গেম খেলা যাবে৷ অন্যদিকে আজ যে সব আধুনিক গেম বাজারে আসছে, ৬ মাস পরেই সে সব পুরানো হয়ে যাচ্ছে৷ তার উপর আমাদের গেমে গ্রাফিক্স কম৷ আমাদের আশা এর ফলে গেমারের কল্পনাশক্তি আরও উর্বর হয়ে উঠবে৷''

গেম-এর কনসেপ্টের উপরেও ক্ল্যাসিক যুগের প্রভাব রয়েছে৷ পুরানো অ্যাডভেঞ্চার গেমস-এর মতো এ ক্ষেত্রেও অনেক টেক্সট ও জটিল টাস্ক রয়েছে৷ একজন চরিত্রের মৃত্যু হলে আবার প্রথম থেকে খেলা শুরু করতে হয়৷ আগের গেম-এর পয়েন্ট সেভ-ও হয় না৷ রিয়াদ জেমেলি বলেন, ‘‘গেমটা বেশ গোলমেলে৷ কয়েক ঘণ্টা ধরে হিমশিম খেতে হতে পারে৷ অনেকটা আগেকার কঠিন গেম-গুলির মতো৷ খেলার মধ্যে এভাবে ডুবে যাওয়া বেশ রোমাঞ্চের ব্যাপার – এমনকি হেরে গেলেও৷ আমাদের গেম-এ নানাভাবে হেরে যাওয়া সম্ভব, সেটাই বিশাল রোমাঞ্চের বিষয়৷''

যে সব গেম ২০ বছরের বেশি পুরানো, সেগুলিকে সাধারণত ‘রেট্রো' বলা হয়৷ বাণিজ্যিক কম্পিউটার গেম-গুলির মধ্যে ১৯৭২ সালের ‘পং'-কে সেরা হিসেবে ধরা হয়৷ এর কিছুকাল পরে বাজারে এসেছিল ‘স্পেস ইনভেডার্স'৷ সেটা ছিল কম্পিউটার গেমস জগতে বড় অগ্রগতি৷ ১৯৮৩ সালে ‘মারিও' নামের চরিত্র আত্মপ্রকাশ করে৷ গোটা বিশ্বে ‘জাম্প এন রান' গেমস জনপ্রিয় হয়ে ওঠে৷

তারপর আসে প্রথম অ্যাডভেঞ্চার গেম-গুলি৷ ১৯৯০ সালের জনপ্রিয় গেম ‘মাংকি আইল্যান্ড'-এর চমকপ্রদ গ্রাফিক্স বিশেষ নজর কেড়েছিল৷ আজও অনেক গেম স্টুডিও সেই ধারা বজায় রেখেছে৷

২০০৯ সালের ‘মাইনক্রাফট'-ও এমন প্রভাব রেখেছে৷ প্রায় ৫ কোটি ৬০ লক্ষ কপি বিক্রি করে এটি দুনিয়ার সবচেয়ে সফল গেমগুলির অন্যতম হিসেবে পরিচিত৷ এই গেম অনেকের কাছে ছোটবেলার স্মৃতি জাগিয়ে তোলে৷ কম্পিউটার গেম বিশেষজ্ঞ আন্দ্রেয়াস লাঙে বলেন, ‘‘প্রথম দিকের কম্পিউটার গেম-গুলি এমন একটা সময়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল, যখন সার্বিকভাবে কম্পিউটার প্রযুক্তি ছড়িয়ে পড়ছিল৷ প্রাথমিক যুগের কম্পিউটারের কারণেই এই গ্রাফিক্স জনপ্রিয় হয়েছিল৷ আজ আমরা ফিরে তাকিয়ে বুঝতে পারি, সেটা কতটা জরুরি ছিল৷ এটা তো একটা ডিজিটাল বিপ্লব, যা তখন শুরু হয়েছিল৷ তাই এই রেট্রো-গ্রাফিক্স শুধু দারুণ সব গেম-এর নয়, সামগ্রিকভাবে কম্পিউটার প্রযুক্তিরও প্রতীক৷

শিল্পকলার জগতেও এই সব রেট্রো গেমস তাদের জায়গা করে নিয়েছে৷ বার্লিন গেম উইকে পর্দায় এইট বিট গ্রাফিক্স দেখানো হচ্ছে৷ প্রদর্শনীতে ‘গেমবয়' সত্যি নজর কাড়ছে৷ অথবা নিনটেন্ডো চরিত্রগুলি৷ এ সব ভবিষ্যতের আকাঙ্ক্ষা বাড়িয়ে দেয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান