1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফিলিপাইনে পরিবেশ বান্ধব পরিবহণ ই-জিপনি

২ মে ২০১০

ফিলিপাইনের ঐতিহ্যবাহী জিপনি রূপান্তরিত হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব পরিবহণে৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মার্কিন সৈন্যরা যেসব সামরিক যানবাহন ফেলে গিয়েছিল সেগুলো থেকেই তৈরি করা হয়েছিল এসব জিপনি৷

https://p.dw.com/p/NCRE
রাজধানী ম্যানিলা (ফাইল ছবি)ছবি: picture-alliance / dpa

এগুলোই এতদিন ধরে শোভা পাচ্ছে ফিলিপাইনের পথে-ঘাটে৷ কিন্তু ভারি মুশকিল হচ্ছে এই বাহনগুলোর ঘন কালো ধোঁয়া আর বিকট আওয়াজ৷ এমনকি পরিবেশগত দিক থেকে সাম্প্রতিক সময়ে এগুলোকে গণ্য করা হয় ধংসোন্মাদ হিসেবে৷

কারণ ডিজেল চালিত এসব মিনি-বাসের ইঞ্জিন থেকে বের হওয়া অতিরিক্ত ধোঁয়া দেশটির শহর-নগরের বায়ু দূষণ করছে অধিক মাত্রায়৷ ফলে এটি শহুরে মানুষদের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ সেকথাই বললেন ম্যানিলা ভিত্তিক সংস্থা ইন্সটিটিউট ফর ক্লাইমেট অ্যান্ড সাসটেইনেবল সিটিজ - আইসিএসসি'র পরিচালক রেড কন্সটান্টিনো, ‘‘পুরনো জিপনিগুলো সব ডিজেল চালিত এবং খুব অনুপযোগী৷ এগুলো অধিক দূষণ ছড়ায়৷''

তাই কন্সটান্টিনোসহ বেশ কিছু রাজনীতিক এবং উন্নয়ন সংস্থার প্রচেষ্টায় এখন ফিলিপাইনের পথে নামানো হয়েছে ই-জিপনিজ৷ এগুলো পরিবেশ বান্ধব বাহন৷ কারণ ধোঁয়ার কোন বালাই নেই৷ বিদ্যুৎ চালিত এসব পরিবহণের প্রত্যেকটিতে ১২ জন করে যাত্রী বহন করা যায়৷ ছয় থেকে আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ চার্জ দিলে এসব ই-জিপনিজ ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে প্রায় ৭০ কিলোমিটার পথ চলতে পারে৷ অন্তত এগুলোর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফিলিপাইন ইউটিলিটি ভেহিকল সেকথাই বলছে৷ ইতিমধ্যে মেট্রো ম্যানিলার বাণিজ্যিক এবং অনেকটা গুছানো নগরী মাকাটির দু'টি রুটে চালু করা হয়েছে এই ই-জিপনিগুলোকে৷

এ প্রসঙ্গে মাকাটির মেয়র জেজোমার বিনায়ি বলেন, ‘‘ই-জিপনিগুলোর কারণে আমরা অন্তত ধোঁয়ার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি এবং বায়ু দূষণের সমস্যা সমাধানের একটি পথ খুঁজে পেয়েছি৷ অবশ্য মাকাটি নগরীতে বর্তমানে চলাচলকারী ই-জিপনির সংখ্যা মাত্র ১৫ টি৷ যেখানে গোটা মেট্রো ম্যানিলায় লাইসেন্সধারী পুরনো জিপনি চলাচল করে ৬০ হাজার৷ ফলে এতোগুলো পুরনো জিপনির মধ্যে মাত্র ১৫ টি ই-জিপনি কতটা পরিবেশ বাঁচাবে সেব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহ প্রকাশ করছে বিশ্লেষক মহল৷ তবে ভবিষ্যতের জন্য ই-জিপনিগুলো পরিবেশ বান্ধব বাহনের নমুনা হিসেবেই কাজ করছে বলে মনে করেন কন্সটান্টিনো৷

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ধীরে ধীরে পুরনো ক্ষতিকর পরিবহণের স্থলে সর্বত্র পরিবেশ বান্ধব বৈদ্যুতিক যানবাহন চালু করা৷ দেশটির পালাওয়ান দ্বীপের রাজধানী পুয়ের্টো প্রিন্সেসা শহরেও পরিবেশ বান্ধব যানবাহন চালু করার পথে বেশ এগিয়ে গেছে৷ তবে এই শহরটিতে চালু থাকা গ্যাসোলিন চালিত চার হাজার তিন চাকার যানের স্থলে ই-ট্রাইকস নামের বাহন চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানান কন্সটান্টিনো৷ এছাড়া জীবাশ্ম-জ্বালানির বদলে বরং জৈব গ্যাস চালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে ২৪ লাখ ডলার ব্যয়ে এক মেগাওয়াট জৈব গ্যাস কারখানা স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে পুয়ের্টো প্রিন্সেসা শহরে৷

প্রতিবেদক: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম