1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফিলিপিন্সে শুরু হলো জলবায়ু বিনিয়োগ তহবিলের বৈঠক

১৭ মার্চ ২০১০

এশীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি কাটাতে প্রয়োজনীয় তহবিলের যোগানে করণীয় নিয়ে আলোচনা করতে ফিলিপিন্সে শুরু হয়েছে উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা এবং জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের এক বিশেষ বৈঠক৷

https://p.dw.com/p/MUl5
ছবি: CORBIS

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এই সভার আয়োজন করেছে৷ ১৫ মার্চ শুরু হওযা এই বিশেষ বৈঠকটি চলবে আগামী ১৯ মার্চ পর্যন্ত৷ ক্ষতিকারক গ্রিন হাউজ গ্যাসের ব্যবহার কমানো এবং জলবায়ু পরিবর্তনে এই মুহূর্তে কত অর্থের প্রয়োজন, সেই বিষয়টিই আলোচিত হচ্ছে এই বৈঠকে৷

ইতিমধ্যেই কোপেনহেগেন বৈঠকে ঠিক করা ৩০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ তহবিলের ১৫ ভাগ দাবি করেছে বাংলাদেশ৷ এর কারণ হিসাবে তারা বলছে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷

ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংস্থা এই তহবিল গঠনে অর্থ দেবার ঘোষণা দিতে শুরু করেছে৷ বাংলাদেশের পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, কোপেনহেগেনে ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ৩০ বিলিয়ন ডলারের একটি বৈশ্বিক তহবিল গঠনের ধারাবাহিকতায় ২০২০ সাল নাগাদ ১০০ বিলিয়ন ডলারের তহবিল গঠনের যে ঐকমত্য হয়েছে এই তহবিল এখন বাস্তবায়ন হবে, তা আমরা আশা করতে পারি৷ বাংলাদেশ যেহেতু সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ, এই তহবিল থেকে আমরা যেন প্রয়োজনীয় অর্থ পেতে পারি, সেভাবেই সরকারের প্রকল্পগুলো প্রণয়ন করা হচ্ছে৷ বাংলাদেশের প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞরাও ফিলিপিন্স বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন৷

এডিবি জানিয়েছে, এশীয় অঞ্চলের জন্য এই তহবিল গঠনে ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়ে গেছে৷ নতুন এই তহবিলের নাম দেয়া হয়েছে জলবায়ু বিনিয়োগ তহবিল৷ এডিবির ভাইস-প্রেসিডেন্ট উরসুলা শেফার প্রিউস এ বিষয়ে বলেন, কোপেনহেগেন সম্মেলনের গৃহীত আলোচনার পর এই তহবিল গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়৷ আশা করা যাচ্ছে, ২০১২ সালের আগেই এই তহবিলের অর্থ ক্ষতিগ্রস্ত এশীয় দেশগুলোকে সরবরাহ করা যাবে৷ তিনি বলেন, এই তহবিল গঠন করা হচ্ছে, উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক দূরত্ব কমিয়ে আনা৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী