1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফিলিপ রোয়েসলার মুক্ত গণতন্ত্রীদের প্রধান হতে চলেছেন

৫ এপ্রিল ২০১১

২০০৯ সাল যাবৎ ম্যার্কেল মন্ত্রীসভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী৷ সম্প্রতি দু’টি প্রাদেশিক নির্বাচনে ভরাডুবির পর এফডিপি দেলের ভিতর থেকেই দলনেতা গিডো ভেস্টারভেলে’কে সরানোর কথা চলেছিল৷ এবার তাঁর উত্তরসুরীও নির্দিষ্ট হল৷

https://p.dw.com/p/10np8
ফিলিপ রোয়েসলারছবি: AP

এবার রস্টকে দলীয় সম্মেলনে বিধিমাফিক রোয়েসলারকে দলীয় প্রধান নির্বাচন করতে হবে৷ তবে বড় কথা হচ্ছে, রোয়েসলার এবার নিজেই জানিয়েছেন যে, তিনি দলনেতা পদে প্রার্থী হতে চলেছেন৷ এছাড়া তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীও থাকবেন৷ এবং ম্যার্কেল মন্ত্রীসভায় ভেস্টারভেলের পরিবর্তে উপ-চ্যান্সেলর হিসেবে গণ্য হবেন৷

মানুষ ফিলিপ রোয়েসলার

ওনার জন্ম ভিয়েতনামে, বাবা-মা দু'জনেই ভিয়েতনামী ছিলেন৷ ন'মাস বয়সের অনাথ শিশু হিসেবে রোয়েসলার জার্মানিতে আসেন, ১৯৭৩ সালে৷ এক জার্মান দম্পতি তাঁকে দত্তক নিয়েছিলেন৷ রোয়েসলারের দত্তক পিতা জার্মান সামরিক বাহিনীর অফিসার৷ রোয়েসলারও স্কুল শেষ করে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন, এবং সেখানে থাকা অবস্থাতেই ডাক্তারি পড়ে ডাক্তার হন৷ স্ত্রীও ডাক্তার৷ যমজ শিশুসন্তানের পিতা৷

রাজনীতিক ফিলিপ রোয়েসলার

কোনো ভড়ং নেই, কোনো আত্মগরিমা নেই, দলের সদস্যদের কাছে রোয়েসলার হচ্ছেন বিশ্বাসযোগ্যতার প্রতীক৷ দলের নেতৃমণ্ডলীকেও কোনোদিন রেখেঢেকে কথা বলেননি৷ মুক্ত গণতন্ত্রীদের যেমন উচ্চবিত্তদের করহ্রাস করানোর দল হিসেবে একটা বদনাম আছে, রোয়েসলার তা উল্টে দিয়ে বলেছেন, সমাজের সব স্তরের মানুষদের মধ্যে সংহতিও উদারপন্থী চিন্তাধারার একটা অংশ৷


স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে সাফল্য

স্বাস্থ্যবীমা ব্যবস্থার সংস্কার অবশ্যই তার মধ্যে পড়বে, যদিও তার একটি ফল হয়েছে এই যে, প্রদেয় কিস্তির পরিমাণ বেড়েছে, যা'তে সকলে সন্তুষ্ট নন৷ দ্বিতীয়ত স্বাস্থ্যবীমার ফলে জার্মানিতে ওষুধপত্রের দাম এবং হাসপাতালের খরচ আকাশে উঠেছিল : তাকেও কিছুটা টেনে নামিয়েছেন রোয়েসলার৷ তবে অসম শক্তিশালী আন্তর্জাতিক ভেষজ কোম্পানিগুলির মোহড়া নেওয়ার সাহস যে তার আছে, সেটা প্রমাণ করে দিয়েছেন৷

ভেস্টারভেলের উত্তরাধিকার

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেও ভেস্টারভেলে জার্মান পুনর্মিলনের এক স্থপতি, মুক্ত গণতন্ত্রী রাজনীতিক হান্স-ডিট্রিশ গেনশারের ধারে-কাছে আসতে পারেননি৷ জার্মান সরকারের একাধিক সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তও তার জন্য দায়ী : আণবিক চুল্লিগুলির মেয়াদ বাড়ানো, ওদিকে লিবিয়ায় পশ্চিমা অভিযানের ক্ষেত্রেও জার্মানির বিচ্ছিন্ন থাকা, এর ফল বিশেষ ভালো হয়নি৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ