1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ফুটবলেই নৈতিকতা বেশি'

২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪

ডোপিং, ম্যাচ ফিক্সিংসহ নানা দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারি সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন ফিফা সংস্কারের মাধ্যমে নৈতিকতার বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বলে দাবি করেছেন খোদ ফিফা-র প্রধান সেপ ব্লাটার৷

https://p.dw.com/p/1DFma
FIFA-Präsident Blatter
ছবি: picture-alliance/dpa/ E.Leanza

নিন্দুকেরা বলেন, খেলাধুলার জগতে আজকাল ‘এথিক্স' বা নৈতিকতা নিয়ে কেউ আর তেমন মাথা ঘামায় না৷ টাকার জোরেই সব কিছু হাসিল করা যায়৷ ডোপিং, ম্যাচ ফিক্সিং ইত্যাদি দুর্নীতির নানা দৃষ্টান্ত এই ধারণাকে আরও জোরদার করে৷ অথচ বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠন নৈতিক মানদণ্ড বজায় রাখতে কমিটি গঠন সহ নানা পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে৷

ফুটবল জগতেও দুর্নীতির ঘটনা বিরল নয়৷ এমনকি খোদ ফিফা-র মধ্যেই বার বার দুর্নীতির অভিযোগ উঠে চলেছে৷ সেই আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান সেপ ব্লাটার শুক্রবার দাবি করলেন, যে ফিফা অন্য যে কোনো ক্রীড়া সংগঠনের তুলনায় নৈতিক মানদণ্ডের বিষয়টিকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়৷ এমনকি একে দৃষ্টান্তমূলক হিসেবেও তুলে ধরেন তিনি৷ ক্রীড়াক্ষেত্রে নৈতিকতা সংক্রান্ত শীর্ষ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন তিনি৷

সেপ ব্লাটার অনেকের কাছেই বিতর্কিত এক কর্মকর্তা৷ তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি দুর্নীতির কোনো অভিযোগ না থাকলেও তাঁর আমলে ক্ষমতা ও অর্থের গুরুত্ব নিয়ে অনেক প্রশ্ন ওঠে৷ ব্লাটার পরোক্ষভাবে অতীতের দুর্বলতা মেনে নিয়ে বলেন, সংস্কারের মাধ্যমে ফিফা এক্ষেত্রে অনেক উন্নতি করেছে৷ দু-দুটি চেম্বার গঠন করা হয়েছে, যার সভাপতিও নিরপেক্ষ৷ এমনকি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি বা আইওসি-রও এমন কাঠামো নেই, বলেন ব্লাটার৷ তিনি আরও মনে করিয়ে দেন, ২০১১ সাল থেকে ফিফার দুই এথিক্স চেম্বার প্রকৃত অর্থেই স্বাধীন৷ কংগ্রেস সরাসরি তাদের নির্বাচিত করে৷ প্রথম চেম্বার অভিযোগের তদন্ত করে, দ্বিতীয়টি শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয়৷

ব্লাটার অবশ্য স্বীকার করেন যে, গোটা বিশ্বে ফুটবল যে মাত্রা লাভ করেছে, তার ফলে সবদিকে নজর রাখা কঠিন৷ ২০৯টি জাতীয় ফুটবল ফেডারেশন, প্রায় ৩০ কোটি সক্রিয় সদস্য, খেলোয়াড়, কোচ, তাদের পরিবার – সব মিলিয়ে প্রায় ১২০ কোটি মানুষ ফুটবলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত৷ এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ, বলেন ব্লাটার৷

উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে ফিফার একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে৷ কয়েকজনের শাস্তি হয়েছে, বাকিদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে৷ এমনকি ২০১১ সালে ফিফার শীর্ষ পদের প্রতিদ্বন্দ্বী মহম্মদ বিন হামাম-কে চিরকালের জন্য ফিফা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে৷ অর্থের বিনিময়ে ভোট কেনার অভিযোগ আনা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে৷

বর্তমানে ফিফার এথিক্স কমিটি ২০১৮ ও ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজক বাছাইয়ের বিষয়টি তদন্ত করছে৷ যথাক্রমে রাশিয়া ও কাতার এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য