1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফেলানী হত্যার বিষয়টি এখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে

২০ জানুয়ারি ২০১১

সীমান্তে বিএসএফ’এর গুলিতে বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানীর মৃত্যুর ঘটনা এখন দৃশ্যত উভয় দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে৷ অপরদিকে সূচকে সার্কিট ব্রেকার দেওয়ার পরপরই শেয়ার বাজারে লেনদেন বন্ধে বিক্ষোভ৷

https://p.dw.com/p/zzrI
সীমান্তের কাঁটাতারে আটকা পড়ে ফেলানীছবি: AP

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে ‘ফেলানী হত্যার ঘটনায় ভারতের অনুতাপ'-এর কথা বলা হয়েছে৷ পরে ‘অনুতাপ ও সমবেদনা'৷ কিন্তু প্রথম আলো, কি কালের কণ্ঠে কিন্তু ‘দুঃখপ্রকাশের' কথাই বলা হয়েছে৷ বস্তুত সাংবাদিকরা ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব শম্ভু সিং'কে সরাসরি প্রশ্ন করেন, ভারত দুঃখপ্রকাশ করেছে কি না৷ দু'টি পত্রিকার বিবরণেই রয়েছে যে, সিং তাঁর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গোপাল কে পিল্লাই'এর ঢাকায় উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে উত্তর দিতে তাঁর অপারগতা ব্যক্ত করেছেন৷ অতঃপর শুরু হয় দুই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক, ঢাকার শেরাটন হোটেলে৷ তারই কোনো ফাঁকে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুস সোবহান সিকদার নাকি সাংবাদিকদের বলেন, ফেলানী হত্যার জন্য ভারত দুঃখ প্রকাশ করে গুলি না চালানোর আশ্বাস দিয়েছে৷ এটা হল কালের কণ্ঠ'র খবর৷ ভারতীয় পক্ষ নাকি সংশ্লিষ্ট বিএসএফ সদস্যের বিরুদ্ধে নেওয়া ব্যবস্থার কথাও আজ বৃহস্পতিবার জানাতে পারে৷

ওদিকে এসইসি তো নানা ধরণের পদক্ষেপ নিয়েও সামাল দিতে পারছে না পুঁজি বাজার৷ অসুবিধেটা কোথায়, সেটা দৃষ্টিকোণের উপর নির্ভর করে৷ বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীদের মতে পুঁজি বাজারে একটি পরিকল্পিত চক্রের সঙ্গে ডিএসই'র যোগসাজশ রয়েছে - এটা রয়েছে ইত্তেফাকের বিবরণে৷ এমনকি ইত্তেফাকের একটি পৃথক প্রতিবেদনের শীর্ষকই হল: ‘শেয়ার বাজারের ফায়দা লুটছে একটি চক্র'৷ শেয়ার বাজারের সাম্প্রতিক অস্থিরতা ও ধসের জন্য অনেকে যে বাংলাদেশ ব্যাংককেও দায়ী করছে, তা'ও রয়েছে সেই প্রতিবেদনে৷ বাজারের এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ‘অনেকটাই নির্বিকার ছিলেন', সে অভিযোগও উল্লেখ করা হয়েছে সমকালের বিবরণে৷ অর্থমন্ত্রীর বাসভবনে বাংলাদেশ ব্যাংক ও এসইসি'র সঙ্গে বৈঠকে নাকি বাংলাদেশ ব্যাংক বাজার পতনের জন্য এসইসি'কেই দায়ী করে, এই হল প্রথম আলোর খবর৷ অপরদিকে ডিএসই'র ব্রিফিং'এ কিন্তু প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সতিপতি মৈত্র বলেছেন যে, যাদের হাতে ভালো কোম্পানির শেয়ার আছে, তাদের আতঙ্কে বিক্রি করা ঠিক হবে না৷ এটা জানাচ্ছে জনকণ্ঠ৷

নড়াইলে হরতাল শুধু নড়াইল এক্সপ্রেস বাদ পড়ল বলে৷ দেশ জুড়েই আলোড়ন৷ যে কোনো পত্রপত্রিকা খুললেই দেখা যাবে, বিশ্বকাপের দল ঘোষণার চেয়ে আসলে মাশরাফির বাদ পড়াটাই আসল খবর৷ নিজের নাম দেখতে না পেয়ে মাশরাফির কেঁদে ফেলার খবর ইত্তেফাক সহ নানা পত্রিকায়৷ চোখ মুছতে মুছতে তিনি নাকি পরের বিশ্বকাপের টার্গেটের কথা বলেছেন৷ মাশরাফি বাদ পড়া নিয়ে সমালোচনার ঝড়ের মধ্যে প্রধান নির্বাচক রফিকুল কিছুটা ক্রিকেটের যুক্তি দেখানোর চেষ্টা করেছেন৷ বলেছেন, বিশ্বকাপ শুরু হবে ফেব্রুয়ারি'তে, বেশির ভাগে খেলা হবে বাংলাদেশে৷ কাজেই তিনজনের বেশি পেসারের দরকার নেই৷ এটা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের খবর৷ ‘এমনিতে সব ম্যাচে দুই জন পেসার খেলাই৷ একজন থাকবেন বাড়তি হিসেবে,' বলেছেন রফিকুল আলম, রয়েছে ইত্তেফাকের বিবরণে৷

গ্রন্থনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়