1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফেসবুককে জরিমানা করার ব্যবস্থা করলো জার্মানি

৩০ জুন ২০১৭

ঘৃণা ছড়ায় এমন মন্তব্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মুছতে ব্যর্থ হলে সামাজিক মাধ্যমগুলোকে ৫০ মিলিয়ন পর্যন্ত জরিমানা করার সুযোগ রেখে শুক্রবার জার্মান সংসদে একটি আইন পাস হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/2fgks
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Berg

ফলে ‘রিপোর্ট’ করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ‘হেট স্পিচ’ না মুছলে এবং সর্বোচ্চ সাত দিনের মধ্যে অন্যান্য আপত্তিকর কন্টেন্ট ব্লক না করলে এই জরিমানার মুখে পড়বে ফেসবুক, টুইটারের মতো সামাজিক মাধ্যমগুলো৷

এই আইনের আওতায় হেট স্পিচ ছড়ানো ব্যক্তির পরিচয় জানাতে বাধ্য থাকবে সামাজিক মাধ্যমগুলো৷ এছাড়া শাস্তিযোগ্য কন্টেন্ট সম্পর্কে অভিযোগ জানানোর প্রক্রিয়াও সহজ করতে বলা হয়েছে৷

ইউরোপের মধ্যে জার্মানি প্রথম দেশ হিসেবে অনলাইন হেট স্পিচের বিরুদ্ধে এমন আইন করলো৷

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ইউরোপে শরণার্থীদের ঢল নামলে অনলাইনে বিদেশিদের প্রতি হেট স্পিচ, অর্থাৎ ঘৃণাবাচক মন্তব্য অনেক বেড়ে যায়৷ বিষয়টি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছালে জার্মান সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে সেসব প্রতিরোধে আরো উদ্যোগী হবার আহ্বান জানায়৷

কিন্তু জার্মান সরকার এক পর্যায়ে বুঝতে পারে, আইন পরিপন্থি কন্টেন্ট মুছে ফেলতে যথেষ্ট তৎপরতা দেখাচ্ছে না ফেসবুক এবং টুইটারের মতো জনপ্রিয় অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো৷ বিচারমন্ত্রী হাইকো মাস বলেন, ‘‘মিথ্যা তথ্য ও উত্তেজনা ছড়ায় এমন সব বক্তব্য প্রসারে সহায়তার হাত থেকে সামাজিক মাধ্যমগুলো নিজেদের মুক্ত করতে পারেনি৷’’

Infografik Percentage of social media hate speech deleted after user reports

মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ ও ইন্টারনেট কোম্পানিগুলো মনে করছে, এই আইনের কারণে সেন্সরশিপ প্রক্রিয়া বেসরকারীকরণ হওয়ার ঝুঁকিতে পড়তে পারে৷ বাক স্বাধীনতার উপর বেশ প্রভাব পড়ারও আশংকা করছেন তাঁরা৷

উল্লেখ্য, মানহানি, অপরাধে জড়িয়ে পড়তে কাউকে উসকানি দেয়া, সন্ত্রাসের হুমকি দেয়া – এসব বিষয়ে সারা বিশ্বের মধ্যে জার্মানির আইন বেশ কঠোর৷ হলোকস্ট অস্বীকার করা কিংবা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর জন্য জেল, জরিমানার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷

জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স, এপি)