1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফেসবুকের বিরুদ্ধে যৌনব্যাধি ছড়ানোর অভিযোগ

২৯ মার্চ ২০১০

যৌনবাহিত রোগ সিফিলিস এর বিস্তার বাড়াতে সহায়তা করছে ফেসবুক, এমনটাই দাবি ব্রিটেনের এক প্রফেসর-এর৷ তাঁর মতে, ব্রিটেনের যেসব অঞ্চলে ফেসবুক জনপ্রিয়, সেসব এলাকার মেয়েদের মধ্যে বাড়ছে এই রোগ৷

https://p.dw.com/p/MgVj
ফাইল ফটোছবি: AP Graphics

ব্রিটেনে ফেসবুক নিয়ে ইদানিং আলোচনা একটু বেশিই হচ্ছে৷ এর কারণও আছে - আর তা হচ্ছে, ফেসবুকের মাধ্যমে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে এক তরুণীকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনা ঘটেছে সেখানে, মাত্র কয়েকদিন আগেই৷ ফলে, ফেসবুক নিয়ে চিন্তা একটু বেশীই দেশটিতে৷

ব্রিটেনের টিস'সাইড এলাকার জনস্বাস্থ্য বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর পেটার কেলি জানিয়েছেন, তাঁর কর্মীরা ফেসবুকের সঙ্গে যুবতীদের মধ্যে ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণের একটি সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছে৷ তিনি বলেন, সিফিলিস একটি বিধ্বংসী রোগ৷ অরক্ষিত যৌনাচারের মাধ্যমে এই রোগ ছড়ানোর মাত্রা খুব বেশী৷ আর ইদানিংকালে যুবতী বা কম বয়সী মহিলাদের মধ্যে এই রোগের মাত্রা বাড়ছে৷

Facebok Logo
ফেসবুক অবশ্য এই দাবিকে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়েছেছবি: picture-alliance/ dpa

কেলি আরো বলেন, কারা কারা এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তা আমি নাম ধরে বলতে পারছি না, তবে আমার কাছে পরিসংখ্যান রয়েছে৷ আর উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে এসব আক্রান্তের মধ্যে অনেকেই ফেসবুক বা সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইট থেকে সঙ্গী খুঁজে নিয়েছিলেন৷

কেলির দাবি, সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো অসতর্ক যৌনতার পথ সহজ করে দিচ্ছে৷

ব্রিটেনের টিস'সাইড এলাকায় গত বছর ৩০টি সিফিলিস রোগে আক্রান্ত হবার ঘটনা নথিভুক্ত রয়েছে৷ তবে এই রোগে আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশী বলেও মত অনেকের৷

অবশ্য ফেসবুকের এক মুখপাত্র এই খবরকে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়েছেন৷ তাঁর কথায়, ফেসবুকের বর্তমানে ৪০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী রয়েছে৷ আমাদের এই ওয়েবসাইট অসতর্ক যৌনতার প্রতি মানুষের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টির জন্য নয়, বরং এটি এমনই এক জায়গা যেখানে বন্ধুরা, পরিবারের সদস্যরা এবং সহকর্মীরা একে অপরের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন, একইসঙ্গে নানা কিছু শেয়ারও করতে পারে৷

Skepsis gegenüber dem E-Learning
শিশুদের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ছে (ফাইল ফটো)ছবি: PA/dpa

এদিকে, এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ১৩ বছরের কম বয়সী এক চতুর্থাংশ শিশুরই নাকি ফেসবুক বা এধরণের ওয়েবসাইটে একাউন্ট রয়েছে৷ আর এদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ শিশুর শোবার ঘরেই রয়েছে কম্পিউটার! অথচ ১৩ বছরের নিচের বয়সীদের ফেসবুকে প্রবেশ নিষিদ্ধ৷ তারপরও শিশুদের এমন ফেসবুক ব্যবহার নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা৷ কারণ, অনেকেই মনে করেন শিশুদের জন্য নিরাপদ কোন ব্যবস্থা এখনো তৈরি হয়নি ফেসবুকে৷ আর তাই শিশুরা নানা ধরণের নিগ্রহের শিকার হতে পারে সেখানে, একইসঙ্গে মানসিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হবার আশঙ্কা রয়েছে ফেসবুক থেকে৷

প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী