1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফেসবুকে পর্নোগ্রাফি ছড়ানোর দায়ে ১১ জন আটক

২৯ আগস্ট ২০১০

ফেসবুকে শিশু পর্নোগ্রাফি ছড়াতে গিয়ে ধরা পড়লেন এক স্কুল শিক্ষক৷ ক্যানাডীয় এই শিক্ষকের বয়স ৪০৷ জানা গেছে, ভ্যাংকুভারের সেইন্ট জর্জ স্কুলে সমাজ বিজ্ঞান পড়াতেন তিনি৷ নাম ক্রিস্টোফার চালর্স ইঙ্গভাল্ডসন৷

https://p.dw.com/p/OymE
pornography, Internet, Facebook, ফেসবুক, শিশু, পর্নোগ্রাফি,
শিশু পর্নোগ্রাফি বিরোধী ইইউ উদ্যোগের প্রতীকী পোস্টারছবি: picture-alliance/dpa/ Montage DW

ইন্টারনেট ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় এই মাধ্যমটিতে শিশু পর্নোগ্রাফি ছড়ানোর দায়ে আটক হওয়া দ্বিতীয় ক্যানাডীয় ইঙ্গভাল্ডসন৷ এর আগে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার কেলোনা থেকে আটক করা হয়েছিল অপর এক ক্যানাডীয় নাগরিককে৷ তবে জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি৷ ইঙ্গভাল্ডসনকে ইতিমধ্যেই বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁর স্কুল থেকে৷ কারণ তাঁর বিরুদ্ধে পাওয়া গেছে চার দফা অভিযোগ৷ তবে বেশ কড়া শর্ত সাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন ইঙ্গভাল্ডসন৷

ইন্টারনেটের সাথে কোন সম্পর্ক রাখতে পারবেন না তিনি৷ এছাড়া কিশোরদের সাথেও কোন যোগাযোগ থাকা চলবে না৷ সেপ্টেম্বরের ২১ তারিখ আবারো আদালতে হাজির হতে হবে তাঁকে৷ ক্যানাডীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধি অনুযায়ী, দোষী সাব্যস্ত হলে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে ইঙ্গভাল্ডসনের৷ রয়্যাল ক্যানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের মুখপাত্র স্টিভ হোল্মস জানিয়েছেন, একই অপরাধে আটক অপর ক্যানাডীয় নাগরিকেরও সমান দণ্ড হতে পারে৷ তদন্ত চলছে পুরোদমে৷

এদিকে, শুধু ক্যানাডাতেই নয়, অনলাইনে শিশু পর্নোগ্রাফি ছড়ানোর সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে অস্ট্রেলীয় এবং ব্রিটিশ পুলিশও৷ গত মার্চ মাস থেকে ‘প্রোজেক্ট ওশান' নামে অভিযান শুরু করে অস্ট্রেলীয় কেন্দ্রীয় পুলিশ -এএফপি৷ তাদের উদ্যোগে সহযোগিতা করছে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দপ্তর এফবিআই৷ এএফপি'র সহকারী কমিশনার নিল গাওঘান বলেন, ‘‘তাঁদের দেওয়া অভিযোগের পর তাৎক্ষণিকভাবেই পদক্ষেপ নিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ৷ প্রাথমিকভাবে সন্দেহভাজনদের অনলাইন অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে ফেসবুক৷ কিন্তু দেখা যাচ্ছে, মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আবারো ভিন্ন পরিচয়ে গ্রুপ তৈরি করে ফেলছে অপরাধ চক্রের এসব সন্দেহভাজন সদস্যরা৷''

এপর্যন্ত এই চক্রের প্রধানসহ ছয়জন আটক হয়েছে ব্রিটেনে৷ এছাড়া তিনজন অস্ট্রেলিয়ায় এবং ক্যানাডায় আটক হলো দু'জন৷ ইতিমধ্যে ব্রিটিশ আদালত চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে চক্রের প্রধান হিসেবে খ্যাত আয়ান গ্রিনকে৷ ৪৫ বছর বয়সি গ্রিন ওয়েস্ট সাসেক্সের বাসিন্দা৷ জানা গেছে, এসব অপকর্মের কাজে গ্রিন ব্যবহার করতেন ১১ টি ভিন্ন ভিন্ন অ্যাকাউন্ট৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম