ফেসবুক, টুইটারের ব্যবহার বেড়েছে ৮২ শতাংশ!
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০নিলসন জানায়, ইন্টারনেটের তাবত ওয়েবসাইট আর অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে সামাজিক নেটওয়ার্কিং আর ব্লগিং সাইটগুলো৷ আর এরপরই অবস্থান অনলাইন গেম খেলার সাইটগুলো আর মেসেঞ্জারের৷ সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোর মধ্যে আবার সবচেয়ে জনপ্রিয় ফেসবুক৷ গত ডিসেম্বরে শুধু ফেসবুকে ঢুকেছে বিশ্বের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৬৭ শতাংশ৷
দেশের দিক থেকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটের চর্চা সবচেয়ে বেশি, জানাচ্ছে নিলসন৷ তাদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডিসেম্বরে সামাজিক নেটওয়ার্ক সাইটগুলোতে প্রবেশ করেছে ১৪২.১ মিলিয়ন একক ব্যবহারকারী৷ ব্যবহারকারী বিচারে ৫৭.৫ মিলিয়ন একক ব্যবহারকারী নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে জাপান, ৩১.৩ মিলিয়ন নিয়ে তৃতীয় ব্রাজিল৷
তবে ঠিক কতক্ষন সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটে থাকছে ব্যবহারকারীরা? এই প্রশ্নের উত্তরে সবার উপরে অস্ট্রেলিয়া৷ সেখানকার ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা গড়ে সাত ঘন্টা করে কাটাচ্ছেন ফেসবুক, টুইটারের মতো সাইটগুলোতে৷ অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ইটালির ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে সময়ের এই পরিমান গড়ে ৬ ঘন্টা৷
অনেকেই বলেন, ফেসবুক হচ্ছে ইন্টারনেটে সময় অপচয়ের আদর্শ জায়গা৷ বিষয়টি খানিকটা ব্যাঙ্গাত্মক হলেও বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা৷ বিশেষত, ফেসবুক খুলে ঘন্টার পর ঘন্টা কম্পিউটারের সামনে বসে থাকার পরিমাণ নাকি দিনকে দিন বাড়ছে৷ এই প্রবণতায় সবার সামনে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ সেখানকার ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ফেসবুকে ঢুকে বসে থাকার পরিমাণ এক বছরে বেড়েছে ২০০ শতাংশ৷
তবে হ্যাঁ, এমন লোভনীয় মার্কেট গড়তে ফেসবুকের লেগেছে কিন্তু ৬ বছর৷ তাদের চেয়েও এগিয়ে টুইটার৷ মাত্র, এক বছরে যুক্তরাষ্ট্রে টুইটারের ব্যবহার বেড়েছে ৫৭৯ শতাংশ! এমন রেকর্ড আর কারও ভাগ্যে জোটেনি৷
প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়