1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফেসবুক তরুণ-তরুণীদের আত্মপীড়ন বাড়াচ্ছে

২৯ জুন ২০১০

রাগ, ক্ষোভ কিংবা হতাশার কারণে নিজেরই হাতে পায়ে ছুরি চালিয়ে দেয়া৷ তরুণ-তরুণীদের মাঝে এই প্রবণতা নাকি ইদানিং বাড়ছে৷ সেই বাড়ার সঙ্গে আবার যুক্ত হচ্ছে ফেসবুকের নাম৷

https://p.dw.com/p/O5aL
ছবি: picture alliance/dpa

ফেসবুকে শতাধিক বন্ধু থাকা সত্ত্বেও তরুণ-তরুণীরা নিজেদের নিঃসঙ্গ আর সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন বোধ করে৷ মোটের ওপর অনলাইনে বন্ধুদের নানা মন্তব্য তাদেরকে আরো হতাশ করে তোলে৷ তাই, হতাশা কাটাতে অনেক সময় নাকি নিজেদের উপরই ছুরি চালায় তারা৷

লন্ডনের দ্যা সান জানাচ্ছে, গত পাঁচ বছরে তরুণীদের মাঝে এই প্রবণতা বেড়েছে ৫০ শতাংশ৷ ২০০৫ সালে হাসপাতালগুলোতে হাতে পায়ে ছুরি চালানো তরুণদের সংখ্যা ছিল ৮৩০ জন৷ গত বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,২৪৪ জনে৷ এই সংখ্যা অবশ্য শুধু যুক্তরাজ্যের জন্যই প্রযোজ্য৷

শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় কাজ করে ইয়ংমাইন্ডস নামের একটি প্রতিষ্ঠান৷ সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী সারাহ ব্রিনেন জানালেন, ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তরুণ-তরুণীরা সাইবার আক্রমণেরও শিকার হচ্ছে৷ আবার, ফেসবুকের মতো সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতে নিজেদের ভালোভাবে সাজিয়ে রাখতেও আগ্রহী তারা৷

সারাহ'র মতে, ইন্টারনেটে শত শত বন্ধু থাকা সত্ত্বেও তরুণ-তরুণীরা নিজেদের নিঃসঙ্গ মনে করে যা বিস্ময়কর৷

অবশ্য সেটা খুব যে বিস্ময়কর তাও নয়৷ কেননা, ফেসবুক বন্ধু আর বাস্তবিক বন্ধুর মধ্যে ফারাক বিস্তর৷ দ্যা সান এর তথ্য অনুযায়ী, হাতে পায়ে ছুরি চালিয়ে নিজের ক্ষতি করছে এমন তরুণ-তরুণীদের বেশিরভাগের বয়স ২০ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে৷ তাদের মধ্যেই গত পাঁচ বছরে এই প্রবণতা বেড়েছে ৭৩ শতাংশ৷

সারাহ মনে করেন, মূলত নেতিবাচক মানসিকতা কাটাতে কিংবা নিজেকে শাস্তি দিতে তারা এমন কাজ করছে৷ তাছাড়া বাড়তি মানসিক চাপ কাটাতেও এটাকে ভালো পন্থা মনে করছে তরুণ-তরুণীরা৷

তবে, শুধু ফেসবুক নয় স্কুলে বাড়তি চাপ কিংবা বাস্তব বন্ধুদের চাপে পড়েও অনেকে আত্মপীড়নের পথ বেছে নিচ্ছে বলেও জানিয়েছেন সারাহ৷

এদিকে, ফেসবুক কিন্তু এমন দায় নিজের কাঁধে নিতে রাজি নয়৷ বরং সংস্থাটির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিভিন্ন বয়সিদের মাঝে ফেসবুকের ব্যবহার বাড়ায়, সংস্থাটির সঙ্গে এধরণের কাজের যোগসুত্র স্থাপন সহজ৷ তাঁর মতে, এভাবেতো তরুণ-তরুণীদের আত্মপীড়নের সঙ্গে মোবাইল মেসেজ, চ্যাটিং এবং ই-মেইলকেও জোড়া সম্ভব৷

সে যাই হোক, এতসব অভিযোগ কাটিয়েই ফেসবুকে এগিয়ে চলেছে তার নিজস্ব গতিতে৷ সম্প্রতি সংস্থাটি জানিয়েছে, শীঘ্রই ভারতের হায়দ্রাবাদে কার্যালয় খুলবে তারা৷ মূলত নানা ভাষায় ফেসবুকের অবস্থান আরো জোরালো করতে কাজ করবে এই কার্যালয়৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক