1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফেসবুক বান্ধবীকে অপহরণ, ধর্ষণ এবং হত্যার জন্য কারাদণ্ড

১০ মার্চ ২০১০

১৭ বছর বয়সি সেই মেয়েটির নাম অ্যাশলেই হল৷ স্কুলের ছাত্রী৷ কতো রকম শখ ছিল তার৷ এর মধ্যে অ্যাশলেই সবচেয়ে পছন্দ ছিল বন্ধুত্ব পাতাতে৷ আর চ্যাট করতেও দারুণ ভালবাসতো সে৷ সেভাবেই ফেসবুকে একদিন তার আলাপ হলো পিটার’এর সঙ্গে৷

https://p.dw.com/p/MOZP
নিজের পরিচয় গোপন করে চ্যাট করে থাকে অনেক তরুণ-তরুণীছবি: zartbitter e.V.

আলাপ হওয়ার সময়, অ্যাশলেই'কে পিটার নিজের নাম বলেছিল ‘পিটার কার্টরাইট'৷ বলেছিল সে নেহাতই এক ছাত্র, বয়েস ১৯ বছর৷ সবটাই কিন্তু ছিল ভাঁওতা৷ লন্ডনে বসবাসকারী পিটার'এর আসল নাম ‘পিটার চ্যাপম্যান'৷ বয়েস ৩৫৷ শুধু তাই নয়, ১৫ বছর বয়স থেকেই তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনা হয়েছে, বহুবার৷ এমনকি পিটার'এর যখন ১৯ বছর বয়স, তখন দুজন যৌন কর্মীকে ধর্ষণ করার কারণে তার সাত বছরের কারাদণ্ডও হয়৷

কিন্তু, সে সব তো আর অ্যাশলেই জানতো না৷ তাই নিজের নতুন তরুণ বন্ধু ‘পিটার কার্টরাইট'এর সঙ্গে সামনা-সামনি আলাপ করতে সানন্দেই রাজি হয়ে গিয়েছিল সে৷ আর জনপ্রিয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুক মারফত ঠিক হয়েছিল, পিটার'এর বাবা এসে অ্যাশলেই'কে নিয়ে যাবে তাদের বাড়িতে৷ সেটা ছিল গত বছরের ২৫শে অক্টোবর৷

স্বাভাবিকভাবেই সেদিন ১৯ বছর বয়সি পিটার কার্টরাইট'এর বাবা আসেনি৷ এসেছিল ৩৩ বছর বয়সি পিটার চ্যাপম্যান নিজে৷ এসেই গাড়িতে তুলে নিয়েছিল অ্যাশলেই'কে৷ ধর্ষণ করেছিল তাকে৷ তবে এখানেই শেষ নয়৷ নিজের যৌন তাড়না মেটানোর পর, নিষ্ঠুর হাতে অপ্রাপ্তবয়স্ক সেই তরুনী'কে হত্যাও করেছিল পিটার৷ সেজফিল্ড'এর অদূরে একটা মাঠে ফেলে রেখে এসেছিল অ্যাশলেই'এর লাশ৷

পুলিশ অবশ্য এর পরপরই গ্রেপ্তার করে পিটার চ্যাপম্যান'কে৷ তখন নিজের অপরাধ স্বীকার না করলেও, পিটার'এর বিরুদ্ধে অ্যাশলেই'কে অপহরণ, ধর্ষণ এবং হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়৷ সোমবার, সেই মামলার শুনানি শুরু হওয়ার ঠিক আগ-মুহূর্তে হঠাৎ করেই নিজের সব দোষ স্বীকার করে পিটার চ্যাপম্যান৷ বিচারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে৷ জানান টেসাইড ক্রাউন কোর্ট'এর সরকারি আইনজীবী গ্র্যাহ্যাম রিডস৷

প্রতিবেদক : দেবারতি গুহ

সম্পাদনা : সঞ্জীব বর্মন