1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফ্রান্সে ধর্মঘট অব্যাহত, তেল সংকটের মুখে বিমানবন্দর

১৬ অক্টোবর ২০১০

পঞ্চম দিনের মতো ধর্মঘটে নেমেছে ফরাসি পরিবহণ এবং তেল শ্রমিকরা৷ আন্দোলনে যোগ দিয়েছে উচ্চ-বিদ্যালয়সমূহের ছাত্র-ছাত্রীরাও৷ পরিস্থিতি বেশ সংকটজনক৷ তবে নিরাপত্তা কর্মীদের সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী৷

https://p.dw.com/p/Pfk6
Paris, France, ফ্রান্স, ধর্মঘট, বিমান, বন্দর
ফাইল ছবিছবি: AP

শ্রমিকদের অবসর বয়স এবং অবসর ভাতা সংক্রান্ত সংস্কারে ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজির পরিকল্পনার বিরুদ্ধেই মূলত এই আন্দোলন৷ ২০১৮ সালের মধ্যে অবসরের বয়সসীমা ৬০ থেকে ৬২ বছর করতে চান সার্কোজি৷ এমনকি এই সংস্কার প্রস্তাবের অধিকাংশ নীতিমালাই জাতীয় সংসদে অনুমোদিত হয়ে গেছে৷ সরকার আশা করছে, চলতি মাসের শেষ নাগাদ এটি সিনেটে অনুমোদন পেয়ে যাবে৷ তবে এই প্রস্তাবের বিপক্ষে কঠোর অবস্থান শ্রমিক ইউনিয়ন এবং বিরোধী সমাজবাদী দলের৷ তাদের অভিযোগ, সার্কোজি অর্থনৈতিক খাতের ব্যর্থতার দায়ভার শ্রমিকদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন৷ তাই তাদের প্রস্তাব, শ্রমিকদের উপর নয় বরং কর বাড়ানো হোক ধনী জনগোষ্ঠীর উপর৷

সর্বশেষ পরিস্থিতি

চলমান ধর্মঘট এবং গণ বিক্ষোভ আরো প্রকট হয়ে উঠছে৷ রাষ্ট্রীয় রেল সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার নির্ধারিত ট্রেনের প্রায় অর্ধেকই বন্ধ ছিল৷ ফ্রান্সের ২৩০টিরও বেশি শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আন্দোলনকারীরা৷ এক হিসাবে, শনিবারের বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে দশ লাখেরও বেশি মানুষ৷ বিক্ষোভকে আরো উত্তাল করেছে উচ্চ-বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশ গ্রহণ৷ অব্যাহত ধর্মঘটের ফলে ফ্রান্সের ১২টি তেল শোধনাগারের ১০টিই বন্ধ হয়ে গেছে৷ এর আগে শুক্রবার বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়৷ এতে ২০ জন পুলিশ সদস্য আহত হন৷ আটক করা হয় আড়াই শতাধিক বিক্ষোভকারীকে৷ আশঙ্কা করা হচ্ছে, ধর্মঘট চলতে থাকলে প্যারিসের প্রধান বিমান বন্দরের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেল সোমবার কিংবা মঙ্গলবারেই ফুরিয়ে যাবে৷ ফলে বিঘ্নিত হতে পারে অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহণ সেবা৷

সরকারের অবস্থান

সার্কোজি সরকারের অবস্থান এখনও অনড়৷ আন্দোলনের ফলে সংস্কার পরিকল্পনা থেকে পিছু হটার তেমন কোন লক্ষণ এখনও চোখে পড়ছে না৷ তবে আন্দোলনের ফলে যেন ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা না বাড়ে সেব্যাপারে সতর্ক রয়েছে সরকার৷ শনিবারের বিক্ষোভ শুরুর আগেই পুলিশকে সংযত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ব্রাইস হর্টেফক্স৷ বিশেষ করে আগের দিন বেশ কিছু শহরে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের কারণেই এমন সতর্ক বার্তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা