1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সমানাধিকারের প্রয়াস

৬ জুলাই ২০১৩

ফরাসিরা নিজের দেশকে মনে করেন মানবাধিকারের জন্মভূমি৷ সেখানে নারীর অধিকার খর্ব হওয়া একেবারে নতুন কিছু নয়৷ কর্মক্ষেত্রে পুরুষকে আরো ছুটি দিয়ে নারীর অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে একটা জায়গায় বড় পরিবর্তন আনতে চায় সরকার৷

https://p.dw.com/p/192rd
Schoolteacher Monique Revel (R) and teacher assistant Audrey Bras (L) take care of two-year-old children at a kindergarten in Firmi, central southern France, on January 14, 2013. French government is expected to announce in the coming days schooling for toddlers (children less than three years). AFP PHOTO / ERIC CABANIS (Photo credit should read ERIC CABANIS/AFP/Getty Images)
Kindergarten in Frankreichছবি: Eric Cabanis/AFP/Getty Images

এ লক্ষ্যে সন্তান লালন-পালনের জন্য বাবা যাতে আরো বেশি করে ছুটি নেন, সে ব্যবস্থা করা হবে৷ ফ্রান্সের নারী অধিকার বিষয়ক মন্ত্রী নাজাত ভালো-বেলকাসেম জানিয়েছেন, শিগগিরই তিনি মন্ত্রীপরিষদে এমন এক বিল উত্থাপন করবেন যা পাশ হলে ভবিষ্যতে পুরুষরা সন্তান লালন-পালনের ভার তাঁদের স্ত্রী বা পার্টনারের ওপর ছেড়ে নিশ্চিন্তে অফিস করতে পারবেননা৷ সন্তানকে দেখাশোনা করতে মায়ের মতো ছুটি নিতে হবে বাবাকেও৷ ফলে মায়েরা তখনও কাজে গিয়ে আয় করার সুযোগ পাবেন৷

Frankreich will Wunsch nach drei Kindern fördern
সন্তান লালন-পালনের দায়িত্ব কি শুধু নারীদের?ছবি: AP

দেখা গেছে, সন্তানকে বেশি সময় দিতে গিয়ে ফ্রান্সের মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় অনেক কম আয় করেন৷ চাকুরিজীবীদের মধ্যে নারীদের মোট আয় তাই মাত্র ২৭ শতাংশ, বাকি ৭৩ শতাংশই পুরুষদের৷ আর্থিক ও উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থা ওইসিডি-র বাকি ৩৩টি দেশের আর কোনোটিতে নারী-পুরুষের আয়ের ব্যবধান এতটা নয়৷ ফরাসি সরকার মনে করছে, পুরুষরা সন্তান লালন-পালনে সময় দেয়ার জন্য আরো বেশি ছুটি নিলে সন্তানের মা সেই সময় উপার্জন করে ২৭ আর ৭৩-এর ব্যবধান অনেক কমিয়ে আনতে পারবেন৷

এছাড়া, উচ্চপদে মেয়েদের তুলে আনাতেও অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা বিলটি ভালো ভূমিকা রাখতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থী তালিকায় নারীদের নাম আরো বাড়বে বলেও আশা করা হচ্ছে৷ এসব পরিবর্তন আশা করার কারণ আছে৷ সন্তান লালন-পালনের জন্য ফ্রান্সের মাত্র ৩ শতাংশ পুরুষ ছুটি নেন৷ ২০০৭ সালে জার্মানিও ছিল একই অবস্থায়৷ তারপর ফ্রান্স আজ যা ভাবছে, তা করেই অবস্থা অনেকটা বদলে ফেলেছে জার্মানি৷ জার্মানি পারলে ফ্রান্স পারবেনা কেন?

এসিবি/ডিজি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য