1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফ্রান্স বোরকা নিষিদ্ধ করার দিকে আরো এক ধাপ এগুলো

১৪ জুলাই ২০১০

মঙ্গলবার প্যারিসের জাতীয় সম্মেলন, অর্থাৎ সংসদ বিতর্কিত বিলটি গ্রহণ করে৷ গ্রীষ্মের ছুটির পর সেনেটের অনুমোদনকে শুধু একটা প্রয়োজনীয় বিধিবদ্ধতা বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/OISm
France, Borka, Paris, বোরকা, ফ্রান্স
ফ্রান্সে এবার বোরকা পরা নিষিদ্ধ হতে চলেছেছবি: picture alliance / dpa

ফ্রান্সের পথঘাট থেকে বোরকা উধাও হতে চলেছে৷ প্রাথমিক সংসদীয় প্রতিবন্ধক অতিক্রম করা সম্ভব হয়েছে৷ বিলটিতে বলা হয়েছে প্রকাশ্য স্থানে মুখাবয়ব গোপন করার উপর নিষেধাজ্ঞার কথা৷ সরকারি দল ইউএমপি'র ভোটেই বিলটি পাস হয়৷ বৃহত্তম বিরোধীদল, অর্থাৎ সমাজতন্ত্রীরা অন্তত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে বোরকা নিষিদ্ধ করার সপক্ষে হলেও, বর্তমান বিলটির সাংবিধানিকতা সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করে৷ এমনকি ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতেও এই বিল টিঁকবে কিনা, সে বিষয়ে তাদের সন্দেহ আছে৷

বস্তুত ফরাসি রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা পরিষদই বিলটি সম্পর্কে দ্বিধা ব্যক্ত করেছিল৷ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন বিলটির সরাসরি বিরোধিতা করে, কেননা তা ব্যক্তিস্বাধীনতা এবং সেই সঙ্গে ধর্মের স্বাধীনতাকে সঙ্কুচিত করে বলে তাদের ধারণা৷ সরকারও সেই অনুযায়ী আইনের খসড়ায় ইসলামের প্রতি কোনো ধরণের উল্লেখ রাখেননি৷ বোরকা, নিকাব গোত্রীয় শব্দগুলি পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয়েছে৷ ফলে বোরকা নিষেধকে এখন যাবতীয় উপায়ে মুখ ঢাকার উপর নিষেধাজ্ঞায় পরিণত করা হয়েছে৷

ফরাসি আইনমন্ত্রী মিশেল আলিয়ট-মারি'র মতে এই আইনের লক্ষ্য হল মানুষের মর্যাদা, সমযোগ্যতা এবং স্বচ্ছতা৷ ফ্রান্সে যারা বাস করবে, তাদের বিশেষ কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে৷ আলিয়ট-মারি বলেন: ‘‘এই আইন আমাদের প্রজাতন্ত্র ও তার আদর্শের জন্য একটি সাফল্য৷ যে কোনো ধরণের নিপীড়ন এবং অবমাননা থেকে স্বাধীনতার আদর্শ৷ আবার ভ্রাতৃত্বের আদর্শ, যাতে এই সমাজে উত্তরোত্তর বাস করা চলে৷''

ফ্রান্সে ৫০ লক্ষ মুসলিমের বাস৷ তাদের মধ্যে ২,০০০-এরও কম মহিলা বোরকা পরেন৷ মুসলিমদের কর্তব্য নাকি সমাজের অঙ্গ হয়ে ওঠা৷ কিন্তু যেখানে বোরকা পরার অর্থদণ্ড ১৫০ ইউরো অবধি হতে পারে, এবং পুরুষদের জন্য মহিলাদের বোরকা পরতে বাধ্য করার অর্থদণ্ড ৩০,০০০ ইউরো অবধি হতে পারে - সেখানে হয়তো বহু মুসলিম মহিলা আর পথেই বেরোবেন না৷

প্রতিবেদন: আনে ক্রিস্টিনে হেকমান, অনুবাদ: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই