‘ফ্লাইবোর্ড নিয়ে প্রতিবেদনটি সত্যি মজার' | পাঠক ভাবনা | DW | 18.09.2013
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘ফ্লাইবোর্ড নিয়ে প্রতিবেদনটি সত্যি মজার'

বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও পরিবেশ সংক্রান্ত টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘অন্বেষণ'-এর ২১তম পর্বে আবর্জনা থেকে প্লাস্টিক তৈরি, বাতিল কারখানায় সাংস্কৃতিক উৎসব ও ফ্লাইবোর্ডিং-এর কেরামতি নিয়ে রিপোর্ট উপভোগ করলাম৷

সবগুলো পরিবেশনাই ছিল বস্তুনিষ্ঠ, সমসাময়িক এবং মজার৷ যা এক কথায় দারুণ! ডয়চে ভেলের বাংলা ওয়েবসাইট থেকে সবগুলো প্রতিবেদনের উপর আরও বিস্তারিত তথ্য পেলাম, যার উপর কিছু মতামত পেশ করছি৷ আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে৷

সুপারহিরো হয়ে উঠুন ‘ফ্লাইবোর্ড' নিয়ে – প্রতিবেদনটি সত্যি মজার৷ সাধারণ মানুষ বিষয়টিকে কখনো উপভোগ করতে পারবে না৷ কিন্তু খেলা দেখে ‘এনজয়' করতে পারবে৷ আমর মতো গরিবের জন্য কোনো গাছের উপর থেকে লাফ দিয়ে পানিতে পড়ে খেলা আর ফ্লাইবোর্ড নিয়ে খেলা – সমান কথা বলেই মনে হয়েছে৷ আপাতত এটাকেই সান্তনা হিসেবে আমরা ভেবে নিতে পারি৷

আলু থেকে প্লাস্টিক তৈরির চেষ্টা ইমরানের – আবু বিন ইমরানের দুটো বিষয় দেশের উপকারে আসবে বলে আমার বিশ্বাস৷ আবু বিন ইমরানের কর্মকাণ্ড ভালো লাগলেও ভিডিও দৃশ্যটুকু ভালো লাগেনি৷ মনে হচ্ছিল তিনি রবোটের মতো দাঁড়িয়ে কথা বলছেন৷ একটু ইজিভাবে কথাগুলো বললে আরও প্রাণবন্ত হতো৷ তবে আবু বিন ইমরানের এই কাজকে আমরা স্বাগত জানাই৷

জঞ্জাল থেকে প্লাস্টিক তৈরির দৃষ্টান্ত নিয়ে তথ্য চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান থেকে আগেই পেয়েছিলাম, কিন্তু একটি বিষয় পরিষ্কার হতে পারছি না৷ আপেল কিভাবে রিসাইকেল হবে৷ বিষয়টিকে আরও বিস্তারিত করা যেত৷

এটা অবশ্যই আনন্দের যে, আবর্জনা থেকে সুন্দরভাবে প্লাস্টিক তৈরি হচ্ছে এবং দেশের নানা ভাবে তা কাজে লাগছে৷ সব দেশেই উক্ত বিষয়টি মডেল হতে পারে, বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশে৷

জার্মানির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী লুকাস ব়্যুবেনাখ-এর কর্মকাণ্ড থেকে অনুপ্রাণিত হলাম৷ এ ধরণের বাস্তবমুখী শিক্ষা সবার জন্য হওয়া উচিত৷ কিন্তু কতজনের ভাগ্যে এটা জোটে সেটা ভাবার বিষয়, কেননা আমরা এমন সুযোগ কমই পেয়ে থাকি৷ নবীন শিক্ষার্থীরা জার্মানিতে পড়াশোনা করার জন্য এই অনুষ্ঠান থেকে উৎসাহিত হবে বলেই আমার ধারণা৷

বাতিল কারখানায় সংগীত উৎসব উক্ত ফিচার সত্যিই মজার৷ পৃথিবীর কোনো কিছুই ফেলনা নয়৷ যে কোনো জায়গা মানুষের জন্য অনেক কিছু হয়ে উঠতে পারে, এটা তারই প্রমাণ৷ আয়োজনটি অভিনব এবং একদম অজানা৷ তরুণ সমাজ এটা খেকে ‘আইডিয়া' নিতে পারে এবং হাতের কাছে যার যা আছে কাজে লাগানো যেতে পারে৷ এ ধরনের মজার খবর আরও চাই৷

যুগের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে অন্বেষণ হয়ে উঠছে যুগোপযোগী একটি তথ্য মাধ্যম এবং দর্শক-শ্রোতার প্রিয় অনুষ্ঠান৷ উক্ত অনুষ্ঠানে উঠে আসছে মজার সব খবর৷ একদিকে যেমন জানতে পারছি, অপরদিকে নানা ধরনের বিষয় সচক্ষে দেখার সৌভাগ্য হচ্ছে৷

- কচু খেত, ঢাকা থেকে বহুদিন পরে একটি ই-মেলে আমাদের টিভি অনুষ্ঠান অন্বেষণ সম্পর্কে প্রকৌশলী মোঃ মঞ্জুরুল আলম রিপন তাঁর মতামতমত জানিয়েছেন৷ অনেক ধন্যবাদ৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন