1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত!

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

তিনজন জেএমবি জঙ্গির একজন ফের আটক হওয়ার পর, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে৷ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অভিযোগ করেছেন, বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতেই ‘ক্রসফায়ারের’ ঘটনা ঘটানো হয়৷

https://p.dw.com/p/1BEb1
Munition Kugel GESPIEGELT
প্রতীকী ছবিছবি: Fotolia/Scanrail

ময়নসিংহের ত্রিশাল থেকে প্রিজনভ্যানে হামলা এবং পুলিশকর্মী হত্যা করে তিনজন জেএমবি জঙ্গিকে তার সহযোগীরা ছিনিয়ে নেয় রবিবার সকালে৷ তাদের মধ্যে একজন হাফেজ মাহমুদ ওরফে রাকিব হাসানকে ঐ দিন বিকেলেই টাঙ্গাইল থেকে ফের আটক করা হয়৷ রাকিব জেএমবির শূরা সদস্য এবং মৃতু্যদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি৷ কিন্তু সোমবার ভোররাতে টাঙ্গাইলের সখীপুরে ‘বন্দুকযুদ্ধে' নিহত হন তিনি৷ সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোখলেসুর রহমান দাবি করেন, ‘‘রাকিবকে নিয়ে পলাতক বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান চলাকালে উপজেলার বেলতৈল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে৷'' তিনি বলেন, ‘‘জঙ্গিদের সহযোগীরা পুলিশের দিকে গুলি ছুড়তে শুরু করলে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়৷ এক পর্যায়ে রাকিব গুলিবিদ্ধ হন৷''

Bangladesh Bus Gefängnis
প্রিজনভ্যানে হামলা এবং পুলিশকর্মী হত্যা করে তিনজন জেএমবি জঙ্গিকে তাদের সহযোগীরা ছিনিয়ে নেয় রবিবার সকালেছবি: Reuters

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘আসামিদের নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যে ধরনের নিরাপত্তা থাকা দরকার ছিল, সেটি ছিল না৷ এটি সরকারের চরম ব্যর্থতা৷ পরবর্তী সময়ে একজন আসামিকে ধরে আবার ক্রসফায়ারে দেওয়া হলো৷ এ ক্রসফায়ারের ফলে মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছে, এর ভেতর কী লুকিয়ে ছিল? ক্রসফায়ার দেওয়া মানে গোটা বিষয়টাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা৷''

আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘‘অনেক আগে থেকেই বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠীর সম্পর্ক রয়েছে৷ সাম্প্রতিক সময়ে আল-কায়েদা প্রধানের ভিডিওবার্তা ও জঙ্গি আসামি ছিনতাই একই সূত্রে গাথা৷'' তিনি বলেন, 'বিএনপি-জামায়াত-জাওয়াহিরি-জেমএবি এরা একই সূত্রে গাঁথা৷ সামপ্রতিক কার্যক্রম সেই বিষয়টি আরো পরিষ্কার করেছে৷''

এদিকে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিচালক নূর খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এটি স্পষ্ট যে জেএমবি সদস্য রাকিব পুলিশ হেফাজতে নিহত হয়েছেন৷ আটক কাউকে নিরাপত্তা দেয়া রাষ্ট্র ও পুলিশের দায়িত্ব৷ সেক্ষেত্রে পুলিশ ব্যর্থ হয়েছে৷ আর সে যদি ক্রসফায়ারে নিহত হয়ে থাকে তাহলে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়৷ কারণ অপরাধী ও জঙ্গি হলেও তাকে বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা করা যায় না৷'' তিনি বলেন, ‘‘‘জেএমবি'-র এই শূরা সদস্যের কাছ থেকে অনেক তথ্য পাওয়া যেত, যা পুলিশের কাজে লাগত৷ তাই তাকে আটকের পর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উচিত ছিল৷ তা না করায় তার কাছ থেকে আর তথ্য পাওয়ার সুযোগ রইল না৷''
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোখলেসুর রহমান অবশ্য দাবি করেন, ‘‘রাকিব ক্রসফায়ার নয়, বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে৷ পুলিশ জীবন বাঁচাতে পাল্টা গুলি ছুড়েছে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য