1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক হতে হবে!

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২১ মার্চ ২০১৬

সরকারি প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, বিশেষ করে ফেসবুক ব্যবহারের কিছু নির্দেশনা জারি করা হয়েছে৷ এই নির্দেশনার উদ্দেশ্য হলো, ফেসবুক ব্যবহারে তাঁদের উৎসাহ এবং কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনা৷

https://p.dw.com/p/1IH40
ফেসবুকে বন্ধু করার অনুরোধ
ছবি: Fotolia/Thesimplify

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এই নির্দেশনায় প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে ব্যক্তিগত ছবি ব্যবহার নিষিদ্ধ এবং কিছু আইন মেনে চলার কথা বলা হয়েছে৷ বলা হয়েছে বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক হতেও৷ তবে নির্দেশনা অম্যান্য করলে সরাসরি কোনো শাস্তির কথা নির্দেশনায় বলা হয়নি৷

বলা বাহুল্য, সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহারে নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা নিশ্চিত করতেই এ নির্দেশনা জারি করা হয়৷ শুধু তাই নয়, সেরা পোস্ট, কমেন্ট বা পেজ খোলার জন্য পুরস্কার দেয়ার কথা বলা হয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এই নির্দেশনায়৷

সুমন আহমেদ সাব্বির

এতে বলা হয়, এবার থেকে সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানে কোনো দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা তিন থেকে পাঁচজনের একটি মডারেটর দল থাকবে৷ আর মডারেটরদের তাদের পেজ সপ্তাহে কমপক্ষে দু'বার হালনাগাদ করতে হবে৷

এছাড়া জাতীয় ঐক্য ও চেতনা পরিপন্থি কোনো ‘কনটেন্ট' প্রাতিষ্ঠানিক পাতায় প্রকাশ করা যাবে না৷ একই সঙ্গে কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে বা ধর্মনিরপেক্ষতা নীতির পরিপন্থি কোনো কনটেন্টও প্রকাশ করা যাবে না৷

এই নির্দেশনা অনুযায়ী, বাংলাদেশে বসবাসকারী আদিবাসী, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা বা সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক বা হেয়প্রতিপন্নমূলক কনটেন্ট প্রকাশ করা যাবে না৷ একইভাবে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রকে হেয় প্রতিপন্ন করে এবং লিঙ্গ বৈষম্য বা এ সংক্রান্ত বিতর্কমূলক কোনো কনটেন্ট প্রকাশ না করার বিষয়েও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে নির্দেশনায়৷

এখানেই শেষ নয়৷ সরকারি কর্মচারীদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টকে এই নির্দেশনার বাইরে রাখা হলেও, অ্যাকাউন্ট পরিচালনায় দায়িত্বশীল আচরণ ও অনুশাসন মেনে চলতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷ কনটেন্ট ও বন্ধু নির্বাচনে সতর্কতা অবলম্বন এবং অপ্রয়োজনীয় ট্যাগিং না করতেও সরকারি কর্মচারীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এতে৷

এ ব্যাপারে সরাসরি কোনো শাস্তির কথা বলা না হলেও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহারে দেশে প্রচলিত আইন ও বিধি বিধানের পাশাপাশি অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ১৯২৩, সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা ১৯৭৯, সরকারি কর্মচারি শৃঙ্খলা বিধিমালা ১৯৮৫ , তথ্য অধিকার আইন ২০০৯, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এবং কপিরাইট আইন ২০০০ প্রযোজ্য হবে৷

এই নির্দেশনা নিয়ে তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ এবং সাইবার অ্যাট হোমের প্রধান সুমন আহমেদ সাবির ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আপাতত এই নির্দেশনাকে ইতিবাচকই মনে হচ্ছে৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহারে দায়িত্বহীনতা হামেশাই লক্ষ্য করা যায়৷ অথচ সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সরকারে যারা কাজ করেন, তাদের দায়িত্বশীলতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ তবে পুরো বিষয়টি বুঝতে এর কার্যকারিতা দেখা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে৷''

তিনি আরো বলেন, ‘‘এই নির্দেশনা শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য কেন? চাইলে সকলেই এটি অনুসরণ করতে পারেন৷''

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৪ নভেম্বর মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ একটি নির্দেশনা জারি করেছিল৷ তাতে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিজের ফেসবুক পাতায় ‘একান্ত ব্যক্তিগত' কোনো বিষয় প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য