1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বন জলবায়ু আলাপ-আলোচনার সমাপ্তি

১২ জুন ২০১০

পরিবেশ আবার ইতিবাচক, সেটুকুই যা লাভ৷ যদিও কার্বন নির্গমন হ্রাসের আন্তর্জাতিক চুক্তি সম্ভবত এ’বছর আর স্বাক্ষরিত হবে না৷ জাতিসংঘের জলবায়ু সংক্রান্ত বিদায়ী মধ্যস্থ ইভো ডে বোয়ের ‘‘গুরুত্বপূর্ণ প্রগতির'' কথা বলেছেন৷

https://p.dw.com/p/Np1s
বন বৈঠকে জাতিসংঘের জলবায়ু সংক্রান্ত বিদায়ী মধ্যস্থ ইভো ডে বোয়েরছবি: picture alliance / landov

তবুও, বন'এ গত দু'সপ্তাহের আলাপ-আলোচনায় অনেক দেশের প্রতিনিধিরাই এক নতুন আস্থার কথা বলেছেন, যা নাকি কোপেনহেগেনে গতবছরের শীর্ষবৈঠক থেকে সম্পূর্ণ আলাদা৷ জাতিসংঘের জলবায়ু সংক্রান্ত বিদায়ী মধ্যস্থ ইভো ডে বোয়ের ‘‘গুরুত্বপূর্ণ প্রগতির'' কথা বলেছেন৷ বিভিন্ন দেশ নাকি পরষ্পরের প্রতি কথা না বলে পরষ্পরের সঙ্গে কথা বলেছে৷ ডে বোয়ের আরো বলেন যে, বন আলাপ-আলোচনায় দৃশ্যত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্থানশীল দেশগুলির অবস্থানের মধ্যে দূরত্ব কিছুটা হ্রাস পেয়েছে - বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য দরিদ্র দেশগুলির প্রতি আর্থিক সাহায্যের ক্ষেত্রে৷ এছাড়া অরণ্য সুরক্ষণ এবং কৃষিকেও ভবিষ্যৎ চুক্তিতে বিবেচনা করার প্রশ্নে প্রগতি অর্জিত হয়েছে৷

তবে অর্থসংস্থান এবং নির্গমন হ্রাসের লক্ষাবলী নিয়ে অচলাবস্থা অপরিবর্তিতই রয়েছে৷ এবং ঠিক এই প্রতিবন্ধকগুলির কারণেই প্রধানত কোপেনহেগেন সম্মেলন ব্যর্থ হয়৷ অর্থের প্রসঙ্গটাই ধরা যাক: ইউরোপীয় ইউনিয়ন পুনরায় উন্নয়নশীল দেশগুলির প্রতি সাত বিলিয়ন ইউরো ‘ফাস্ট স্টার্ট ফাইনান্স'-এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে৷ তবে এর নধ্যে কতোটা ‘নতুন অর্থ' হবে, এবং কতোটা চলতি উন্নয়ন সাহায্যের বাজেটগুলি থেকে ‘রিসাইকল' করা হবে, তা এখনও অজানা৷

Klimaverhandlungen unter dem Dach der Vereinten Nationen UNO
বন বৈঠকের ভেন্যু হোটেল মারিটিমছবি: Picture-alliance/dpa

কার্বন নির্গমন হ্রাসের লক্ষাবলীর ক্ষেত্রে বন সম্মেলনে জাতিসংঘ যে বিবরণ প্রকাশ করেছে, তা অনুযায়ী ২০২০ সাল অবধি নির্গমন বস্তুত বেড়ে চলবে, যদি বর্তমানের বিভিন্ন ফাঁক ও ফাঁকিগুলি বন্ধ না করা হয় এবং বিভিন্ন দেশ তাদের প্রতিশ্রুতির পরিমাণ না বাড়ায়৷ বলতে কি, বিজ্ঞানীদের মতে এই দশকের মধ্যেই নির্গমন ৪০ শতাংশ অবধি কমানো দরকার৷ ওদিকে অভিযোগ উঠেছে যে, শিল্পোন্নত দেশগুলি চীন এবং ভারতের মতো দেশের সদিচ্ছার নিদর্শনগুলিকে স্রেফ ‘‘হজম'' করে ফেলেছে, অথচ তাদের নিজস্ব প্রতিশ্রুতিসমূহ পালন করেনি৷ এছাড়া গোটা প্রক্রিয়াটি স্বেচ্ছারোপিত লক্ষাবলীর দিকে চলেছে, আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক নির্গমন হ্রাসের দিকে নয়৷

কাজেই ডিসেম্বরে মেক্সিকোর কানকুন শীর্ষবৈঠকে সাফল্যের আশা বিশেষ উজ্জ্বল নয়৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই