1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তরুণদের রাজনীতি ভাবনা

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৫ মে ২০১৩

বাংলাদেশের তরুণরা মনে করেন রাজনৈতিক চিন্তার বন্ধ্যাত্বের কারণে দেশ আরো গভীর সংকটে পড়তে যাচ্ছে৷ আর এই সংকট সহজে কাটবেনা৷ এজন্য রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব৷

https://p.dw.com/p/18drv
ছবি: Getty Images

তাদের মতে রাজনৈতিক সংকটের সাময়িক কোনো সমাধান নেই৷ সমাধান হতে পারে আগামী নির্বাচন কিভাবে হবে তার৷ তবে তারপর আবার সংকট ফিরে আসবে৷

বাধন অধিকারী একজন তরুণ সাংবাদিক ও লেখক৷ তিনি দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকটকে হঠাৎ কোনো সংকট মনে করেন না৷ তিনি মনে করেন এই সংকট ১৯৭১ সালে বালাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই চলছে৷ কারণ বাংলাদেশের রাজনীতিতে মুক্তিযুদ্ধ ও এর বিরোধিতা নিয়ে কিছু অমীমাংসিত ইস্যু আছে৷ এই সব ইস্যুর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সংকট থাকবে৷ তাঁর মতে, বিষয়টি নিয়ে দেশের রাজনীতিবিদ শুধু না, সাধারণ মানুষের মধ্যেও দুটি ধারা লক্ষণীয়৷ কিন্তু রাজনীতবিদরা এই ইস্যু নিয়ে সৎ নন৷ তারা কেউ কেউ একটি অস্পষ্ট অবস্থান নিয়ে আছেন৷ আবার কেউ কেউ নির্বাচনি বৈতরণি পার হতে এই ইস্যুকে ব্যবহার করছেন৷ ফলে সংকট দীর্ঘায়িত হচ্ছে এবং এর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সংকট থাকবে৷

আরেক তরুণ জাহিদ জন মনে করেন, রাজনীতিবিদরা দেশের সাধারণ মানুষের চিন্তাকে বোঝার চেষ্টা করেন না অথবা বোঝেন না৷ তিনি বলেন আগামী নির্বাচন যদি সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হয় এবং সব দল যদি অংশগ্রহণ করে তাতে রাজনীতিতে গুণগত কোনো পরিবর্তন হবেনা৷ নতুন একটি সরকার আসবে৷ আর তা নিশ্চিত করেই বলা যায় সেই সরকার হবে আওয়ামী লীগ অথবা বিএনপি'র, জনগণের সরকার নয়৷ জনগণ একটি চক্রবন্দি হয়ে পড়েছে৷ তারা বের হতে চাইলেও কোনো উপায় নেই৷ রাজনীতিবিদরা যে দেশের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না তার বড় প্রমাণ হেফাজতে ইসলামের উত্থান৷ জাহিদ জন বলেন একটি বিশাল জনগোষ্ঠী যে এভাবে মৌলবাদী চিন্তায় সংগঠিত হচ্ছে তার খবর তাদের কাছে ছিলনা৷ আর তাদের উত্থানের পর স্রেফ ভোটের হিসাব করেছে বড় দুটি রাজনৈতিক দল৷ তারা চেষ্টা করেছে তাদের নিজের দিকে টেনে ভোটের বাক্স ভরতে৷ যা দেশের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হয়েছে৷

শামিম আজাদ আবিদ মনে করেন রাজনৈতিক দলগুলো এখন সংঘাত এবং সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে আগামী নির্বাচনের জয় পরাজয়কে সামনে রেখে৷ নির্বাচন হয়ে গেলে এই সংঘাত থামবে৷ কিন্তু তারপর আবার যখন নির্বাচন আসবে তার আগে একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে৷ রাজনীতির এই সংস্কৃতি বেশ পুরনো৷ রাজনীতি হলো ক্ষমতায় যাওয়ার প্রতিযোগিতার এক দৌড়৷ এর সঙ্গে সাধারণ মানুষের কোনো সম্পর্ক নেই৷ যদি থাকতো তাহলে হরতালও দেয়া হতনা৷ আবার সভা সামাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞাও আসতনা৷

মুন্নী মুন মনে করেন, হয়তো সংলাপ হবে, নির্বাচনও হবে৷ কিন্তু তাতে সাধারণ মানুষের কিছু হবেনা৷ হবে ক্ষমতার পালা বদল৷ কারণ রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে চিন্তার যে বন্ধ্যাত্ব, তাদের মধ্যে ক্ষমতার যে মোহ এবং নির্বাচন কেন্দ্রীক যে রাজনীতি তাতে আশার কোনো জায়গা নেই৷ বাংলাদেশে যা চলছে তা রাজনীতির ব্যাকরণের বাইরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য