1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অভিনব উদ্ভাবন

১২ জুলাই ২০১৩

আজকাল স্মার্টফোনের সাহায্যে ৩৬০ ডিগ্রি ‘প্যানোরামা' ছবি তোলা যায় বটে, তবে তার জন্য চাই অনেক কসরত৷ জার্মান এক তরুণ শূন্যে বল ছুড়ে এক ধাক্কায় তুলে দিচ্ছে সেই ছবি৷

https://p.dw.com/p/193qc
ছবি: DW

ইয়োনাস ফাইল খেলতে চায় না, ফটো তুলতে চায়৷ না, আসলে বল ছুড়তে চায়৷ বলের মধ্যে বসানো আছে ৩৬টি ক্যামেরা৷ প্রতিটির শক্তি দুই মেগাপিক্সেল৷ সে জানালো, তার তৈরি প্যানোরামা বল-ক্যামেরা শূন্যে ছোড়া হয়৷ সবচেয়ে উপরে পৌঁছালেই ৩৬টি মোবাইল ক্যামেরার শাটার একসাথে চালু হয়৷ ফলে সেই অবস্থায় চারিপাশের সব দৃশ্য ধরা পড়ে৷ মানুষের ভিড়, গাছের উড়ন্ত পাতা – এই সব৷

তাক লাগানোর মতো ছবি সেটা৷ জার্মানির রাজধানী বার্লিনের ব্রান্ডেনবুর্গ গেটের ৩৬০ ডিগ্রি দৃশ্য৷ বল সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছালেই সেন্সর ক্যামেরাগুলিকে ছবি তোলার নির্দেশ দেয়৷ তারপর সব ছবি জুড়ে তৈরি হয় প্যানোরামা৷ একেবারে আলাদা দৃষ্টিকোণ থেকে জার্মানির সুবিখ্যাত এই তোরণের এমন আশ্চর্য ছবি কেউ দেখেনি৷ বলের ক্যামেরা থেকে ছবিগুলি সরাসরি চলে যায় ল্যাপটপের মধ্যে, ওয়্যারলেস পদ্ধতিতে৷

ইয়োনাস ফাইল আসলে একটি থিসিস লেখার সময় এই বল-ক্যামেরা তৈরি করেছিলো৷ টোঙ্গায় ছুটি কাটানোর সময় তার মাথায় আইডিয়াটা আসে৷ পরিবারকে দেখানোর জন্য সেখানে ৩৬০ ডিগ্রি প্যানোরামা ছবি তুলতে চেয়েছিল সে৷

Fotografie Landschaft Digitale Spiegelreflexkamera
সাধারণ ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে সহজে প্যানোরামা ছবি তোলা কঠিনছবি: Fotolia/The Blowfish Inc

বার্লিনেও দিব্যি তোলা যায় এমন ছবি – সাধারণ ক্যামেরা যা পারে না৷ ইয়োনাস ফাইল বললো, ‘‘ছবি তোলার এই পদ্ধতি অনেক সময় নেয়৷ নির্দিষ্ট জায়গায় ফোকাস করে ছবি তোলা শুরু হয়৷ তারপর ধীরে ধীরে ঘুরতে হয়৷ বেশ ধৈর্য চাই৷ সময়ও অনেক লাগে৷ তবে সাথের লোকজন বিরক্ত হয়৷ টোঙ্গায় গিয়ে তাই মাথায় আইডিয়া এলো৷ শূন্যে বল ছুড়লে একেবারেই প্যানোরামা ছবি তুললে কেমন হয়?''

এই মডেল তৈরি করতে প্রায় আড়াই বছর লেগেছে৷ সবুজ ফোমের টুকরো বলের মধ্যে ক্যামেরাগুলিকে রক্ষা করে৷ তবে সফটওয়্যার, ইলেকট্রনিক ও কাঠামোর রহস্য ফাঁস করতে চান না ইয়োনাস৷ কেউ যদি নকল করে ফেলে? ইয়োনাস ফাইল বললো, ‘‘এভাবে দিব্যি অতীতে ফিরে যাওয়া যায়৷ যে কোনো জায়গায় গিয়ে শূন্যে ক্যামেরা ছুড়লেই হলো৷ পরে সেই ছবি দেখে আবার যেন সেখানে ফিরে যাওয়া যায়৷ এ যেন অনেকটা ঝুলিতে স্মৃতি ভরে ফেলার মতো৷''

সাধারণ মানুষকে কিন্তু এমন ক্যামেরার জন্য অপেক্ষা করতে হবে৷ আপাতত সাধারণ ক্যামেরাই তাদের ভরসা৷ অর্থাৎ অনেক ক্যামেরা লাগানো এই আশ্চর্য সবুজ বল এখনো বাজারে আসে নি৷ উদ্ভাবক হিসেবে ইয়োনাস ফাইল এখনো এর দাম নিয়েও ভাবেনি৷ আপাতত সে বলটিকে আরও মজবুত করে তুলতে ব্যস্ত৷ কারণ প্রতিবার মাটিতে পড়লে সেটি অক্ষত থাকবে, এমন গ্যারেন্টি এখনো দেওয়া যায় না৷

এসবি/ডিজি