প্রার্থী হচ্ছেন জয়?
৩০ জুলাই ২০১৩রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু ডয়চে ভেলেকে জানান, তাঁরা চান সজীব ওয়াজেদ জয় আগামী নির্বাচনে রংপুর থেকে যেন প্রার্থী হন৷ কারণ তিনি রংপুরেরই সন্তান৷ বিশেষ করে পীরগঞ্জের মানুষ চায় তিনি যেন পীরগঞ্জ থেকেই প্রার্থী হন৷ এ নিয়ে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছেন৷ তবে শেখ হাসিনা এখনো এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি৷
রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ডয়চে ভেলেকে আরও জানান, ৩১শে জুলাই প্রধানমন্ত্রীর রংপুর সফরে সফরসঙ্গী হিসেবে সজীব ওয়াজেদ জয় থাকবেন৷ পীরগঞ্জের জনসভায় জয়ের বক্তৃতা দেয়ারও কথা রয়েছে৷ রংপুরের মানুষের দাবি, তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ না হোক ৬টি আসনের যেকোন একটি আসন থেকে যেন নির্বাচন করেন৷ রংপুরবাসীর এই চাওয়াকে জয় নিশ্চয়ই সম্মান দেখাবেন বলে তার আশা৷
এ নিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ ডয়চে ভেলেকে বলেন, জেলা নেতৃবৃন্দ আগামী নির্বাচনে জয় প্রার্থী হবেন বলে যে কথা বলছেন, তা সেখানকার সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা৷ তবে এখনো জয়ের নির্বাচনের ব্যাপারে দলীয়ভাবে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি৷ কারণ নির্বাচনে প্রার্থীতার বিষয়ে এখনো দলীয়ভাবে কাজ শুরু হয়নি৷ নির্বাচনে প্রার্থিতার ব্যাপারে যখন সিদ্ধান্ত নেয় হবে তখন দল অবশ্যই জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে গুরুত্ব দেবে৷
সজীব ওয়াজেদ জয় রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, তাঁর রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়াটাই স্বাভাবিক৷ বরং না হওয়া অনেকটা অস্বাভাবিক৷ কারণ তিনি একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান৷ তাঁর নানা স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান৷ মা শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এবং দু বারের প্রধানমন্ত্রী৷
তিনি জানান, জয় ইতিমধ্যেই আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ নিয়েছেন৷ ২০১০ সালে তিনি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য হন৷ তাই তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তাতো বলাই যায়৷