হাসিবুল কবির শেখের মন্তব্য: ‘‘বাংলাদেশের জন্য ‘পারফেক্ট প্রধানমন্ত্রী' শেখা হাসিনা৷'' তিনি আরো লিখেছেন, ‘‘জামায়েত এবং বিএনপি দেশে যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছে, তা বন্ধ হওয়া উচিত৷ বিশেষ করে জামায়েত এবং শিবিরকে সারা দেশে নিষিদ্ধ করে দেওয়া উচিত৷ কারণ আমরা শান্তির পৃথিবী চাই৷''
পাঠক খান রাহাত রহমানও প্রায় একই মত পোষণ করেন৷ তবে হাসিবুল কবির শেখের মন্তব্যে পাল্টা মন্তব্য জুলফিকার আলীর৷ তাংর কথায়, ‘‘আপনি আওয়ামী লীগের একজন যুক্তিহীন সাপোর্টার৷ এমনকি আপনি কোনটা ভালো, কোনটা মন্দ – সেটা বিচারের ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেছেন৷''
-
আইএস কী, কোথায় এবং কেন?
ইসলামিক স্টেট বা আইএস আসলে কী?
আল কায়েদা থেকে তৈরি হওয়া সুন্নি মুসলমানদের জঙ্গি সংগঠন আইএস৷ সাদ্দাম পরবর্তী সময়ে ইরাকে এবং বাশার আল আসাদের আমলে সিরিয়ায় সুন্নিদের হতাশা থেকেই জন্ম সংগঠনটির৷ আইএস-এর পতাকায় লেখা থাকে, ‘মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর নবী’ এবং ‘আল্লাহ ছাড়া আর কোনো সৃষ্টিকর্তা নেই৷’
-
আইএস কী, কোথায় এবং কেন?
আইএস কোথায় সক্রিয়?
শরিয়া আইন অনুযায়ী পরিচালিত হবে এমন রাষ্ট্র, বা ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে চায় আইএস৷ সিরিয়া এবং ইরাকেই প্রত্যক্ষভাবে সক্রিয় তারা৷ দুটি দেশেই রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সুযোগে বেশ বড় অঞ্চল দখল করে নিয়েছে আইএস৷
-
আইএস কী, কোথায় এবং কেন?
আইএস কেন আলাদা?
মূলত নিষ্ঠুরতার জন্য৷ শত্রুপক্ষ এবং নিরীহ মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়াতে তারা এমন বর্বরতা এবং নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করে যা আগে কেউ করেনি৷ জবাই করে ভিডিও প্রচার, পুড়িয়ে মারা, বাবার সামনে মেয়েকে জবাই করা এবং তার তার ভিডিও প্রচার, মেয়েদের যৌনদাসী বানানো আর পণ্যের মতো বিক্রি করা – এসব নিয়মিতভাবেই করছে আইএস৷ কোনো অঞ্চল দখলে নেয়ার পর সেখানে শাসন প্রতিষ্ঠায় মন দেয় আইএস৷
-
আইএস কী, কোথায় এবং কেন?
অন্য জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক
আইএস যদিও শুধু সিরিয়া এবং ইরাকেই সক্রিয়, তবে বিশ্বের অন্যান্য ইসলামি জঙ্গি সংগঠনগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন নয়৷ নাইজেরিয়ার জঙ্গি সংগঠন বোকো হারাম কয়েকদিন আগেই জানিয়েছে, আইএস-কে তারা সমর্থন করে৷ দুটি সংগঠনের মধ্যে একটি জায়গায় মিলও আছে৷ আইএস-এর মতো বোকো হারামও নিষ্ঠুরতা এবং বর্বরতার প্রতিভূ হয়ে উঠেছে৷ অন্য ধর্মের নারীদের প্রতি দুটি সংগঠনের দৃষ্টিভঙ্গি এবং আচরণই মধ্যযুগীয়৷
-
আইএস কী, কোথায় এবং কেন?
আইএস-এর অনুসারী কারা?
অনুসারী সংগ্রহের সাফল্যেও আইএস অন্য সব জঙ্গি সংগঠনের চেয়ে আলাদা৷ এ পর্যন্ত অন্তত ২০ হাজার বিদেশী যোদ্ধা আইএস-এ যোগ দিয়েছে৷ তাদের মধ্যে ৪ হাজারই পশ্চিম ইউরোপ এবং উত্তর অ্যামেরিকার৷
-
আইএস কী, কোথায় এবং কেন?
আইএস-কে রুখতে অন্য দেশগুলো কী করছে?
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বেশ কিছু পশ্চিমা এবং আরব দেশ সিরিয়া ও ইরাকে আইএস ঘাঁটির ওপর বিমান থেকে বোমা হামলা চালাচ্ছে৷ বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ পর্যন্ত সিরিয়ায় ১৪২২ এবং ইরাকে ২২৪২ বার হামলা হয়েছে৷ কোনো কোনো সরকার দেশের অভ্যন্তরেও কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছে৷ সিরিয়া ফেরত অন্তত ৩০ জন সন্দেহভাজন জঙ্গির বিচার শুরু করবে জার্মানি৷ গত মাসে সৌদি পুলিশও ৯৩ জন সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে৷
লেখক: লুইস অসবোর্ন/এসিবি
ব্রিটিশ জঙ্গিরা বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের বিস্তারে ইন্ধন জোগাচ্ছে বলে ডেভিড ক্যামেরনকে সতর্ক করে দিয়েছেন শেখ হাসিনা৷ এর উত্তরে শরীফুল ইসলাম ইমনের মন্তব্য: ‘‘আমাদের দেশের নামে এই রকম অপবাদ দিয়ে উনি কী চাচ্ছেন?''
হাসিনার সরকার আজ নিজেই জঙ্গিবাদ, উনি অপরকে জঙ্গিবাদ ইন্ধন জোগানোর কথা বলেন কী করে? – প্রশ্ন পাঠকবন্ধু শফিক রাজের৷
প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে জিনাত মহল মিশোরের মন্তব্য, ‘‘নিজ দেশকে করেছেন নিজদলীয় সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য....ব্রিটেন নিয়ে না ভেবে নিজের পালিত জঙ্গিদের দমন করার চেষ্টা করুন৷''
ডয়চে ভেলের ফেসবুকবন্ধু মাহবুব আলম অবশ্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে গর্ববোধ করেন বলে জানিয়েছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী একজন সাহসী নারী৷''
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ