1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘ইসরায়েল ইস্যু’

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৩০ মে ২০১৬

বাংলাদেশের সঙ্গে ইসরায়েলের কোনো কূটনৈতিক বা রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই৷ তবুও গত কয়েকদিনে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইসরায়েল ইস্যু বড় হয়ে উঠছে৷ বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে শুরু৷ সজীব ওয়াজেদ জয়ও এসেছেন আলোচনায়৷

https://p.dw.com/p/1IxEy
ইসরায়েলের পতাকা
ছবি: picture-alliance/ dpa/dpaweb

হ্যাঁ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এবং বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও চট্টগ্রামকেন্দ্রিক রজনীতিবিদ আসলাম চৌধুরী যে এখন আলোচনায় তার কারণ ইসরায়েলের লিকুদ পার্টির নেতা মান্দি এন সাফাদি৷

গত ২৩মে আসলাম চৌধুরীকে ঢাকায় আটক করে পুলিশ৷ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি গত মার্চে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ইসরায়েলের লিকুদ পার্টির নেতা মান্দি এন সাফাদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন৷ বাংলাদেশের পুলিশ দাবি করছে, সাফাদি ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে যুক্ত৷ সাফাদির সঙ্গে বৈঠক করে আসলাম চৌধুরী বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে উত্‍খাতের পরিকল্পনা করছিলেন৷

Bangladesch Facebook-Seite von Sajeeb Wazed
ছবি: facebook.com/sajeeb.a.wazed

আসলাম চৌধুরীকে প্রথম দফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়েছে৷ সেই মামলায় পুলিশ আবারো রিমান্ড চেয়েছে, যার শুনানি হবে ৬ জুন৷

সাফাদি এরই মধ্যে বিবৃতি দিয়ে বৈঠকের কথা স্বীকার করে বলেছেন, ‘‘আমরা দু'জনই বিজেপির আমন্ত্রণে দিল্লি গিয়েছিলাম৷ এবং আমাদের আলোচনা ছিল মানবাধিকার নিয়ে৷ কোনো রাজনৈতিক বিষয় আলোচনায় স্থান পায়নি৷''

এদিকে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসিসহ বাংলাদেশের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে সাফাদির ওয়াশিংটনে আরেকটি বৈঠকের খবর ছাপা হয়েছে৷

একটি ইউটিউব ভিডিও-র বরাতে বলা হয়েছে সাফাদি দাবি করেছেন, বেশ কিছুদিন আগে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে ওয়াশিংটনে তার বৈঠক হয়েছে৷ তবে তখন তিনি জানতেন না, জয় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ছেলে৷ তবে সাফাদি সুনির্দিষ্টভাবে বৈঠকের স্থান, সময় এবং তারিখ জানাননি৷

এই খবরের প্রতিবাদ জানিয়ে জয় বলেছেন, ‘‘আমার সাথে সাফাদির কোনো সময়ই সাক্ষাৎ হয়নি৷ এটা ওয়াশিংটনেও না বা অন্য কোনো জায়গায়ও না৷ সে মিথ্যা বলছে৷ সে যে বিএনপির জন্য মিথ্যা বলতে সম্মত হয়েছে সেটা দিয়ে এও প্রমাণ হচ্ছে, সে বিএনপির সাথে ষড়যন্ত্রে জড়িত৷ না হলে আর কী কারণে সে বিএনপির হয়ে মিথ্যা বলবে?''

ড. সফিউল আলম ভুইয়া

তিনি আরো বলেন, ‘‘বিএনপি এমনই এক বোকার দল, এমনকি তারা যখন মিথ্যা বলে তখনও বোকামিপূর্ণ ভুল করে৷ আমি চাই বিএনপি এবং সাফাদি একটা প্রশ্নের জবাব দিক৷ ওয়াশিংটনের ঠিক কোথায় সে আমার সাক্ষাৎ পেয়েছে? কোন অনুষ্ঠানে? কার অফিসে?''

‘‘প্রথমত, বোকামিপূর্ণ ভুল তারা করেছে, কারণ, আমি গত ৩-৪ বছরে ওয়াশিংটনে কোনো অনুষ্ঠান বা কারো অফিসে যাইনি৷ যে মিটিংগুলো আমার হয়েছে সেগুলো সবই সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে এবং একান্ত ব্যক্তিগত৷ তাহলে, কোথায় তার সাথে আমার সাক্ষাত হতে পারে?''

‘‘এটাও খুবই লজ্জাজনক যে বিবিসি বাংলা আসলেই সেই ভুয়া ইন্টারভিউটি ঘটনার সত্যতা যাচাই ছাড়াই প্রচার করেছে৷ এ ঘটনা সংবাদের উত্‍স হিসেবে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে৷''

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. সফিউল আলম ভুইয়া ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইসরায়েল কোনো ফ্যাক্টর না হলেও এখন আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে৷ বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী ইসরায়েলে লিকুদ পার্টির নেতা সাফাদির সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠক করেছেন৷ সেটা আমি দোষের কিছু মনে করিনা৷ তবে সে আলোচনায় কী হয়েছে তা আমাদের জানা নেই৷ যদি বাংলাদেশের সরকার উত্‍খাতের কোনো পরিকল্পণা হয়ে থাকে তাহলে তা অবশ্যই গ্রহনযোগ্য নয় এবং বিচারযোগ্য অপরাধ৷ পুলিশ যেহেতু আসলাম চৌধুরীকে আটক করেছে, এখন পুলিশেরই কাজ হলো এটা প্রমাণ করা৷''

সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘বিবিসি যে প্রতিবেদনটি করেছে তা সাংবাদিকতার মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ নয়৷ তারা কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই একজনের দাবী ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে৷ বিবিসি বাংলা বিভাগ এর আগেও বাংলাদেশ দিয়ে একপেশে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷''

তিনি অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘বাংলাদেশের কাছে ইসরায়েল গুরুত্বপূর্ন না হলেও এখন নানা কারণে ইসরায়েল বাংলাদেশের রাজনীতিতে আলোচিত৷''

প্রিয় পাঠক, এই ইস্যুতে কে ঠিক বলছেন বলে আপনার মনে হয়? জানান নীচে মন্তব্যের ঘরে...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য