1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শপথ ভঙ্গের অভিযোগ

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২১ জুন ২০১৪

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে শপথ ভঙ্গের অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর৷ সংলাপ ও নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবকে রাষ্ট্রপতির মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এই অভিযোগ করেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/1CNWv
Abdul Hamid Präsident Bangladesh 29.10.2013
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ (ফাইল ফটো)ছবি: Getty Images

বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ জাতিসংঘের সদর দপ্তরে সংস্থাটির মহাসচিব বান কি মুনকে বলেন, ‘‘৫ জানুয়ারির নির্বাচনের ফলাফল বাংলাদেশের জনগণ মেনে নিয়েছে৷ আর সংলাপ হবে সরকারের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার ঠিক আগে৷''

তিনি বাংলাদেশের অবস্থা স্বাভাবিক এবং স্থিতিশীল রয়েছে বলে জাতিসংঘ মহাসচিবকে আশ্বস্ত করেন৷

শনিবার রাজধানী ঢাকায় দু'টি অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘জাতিসংঘের মহাসচিবকে আশ্বস্ত করে রাষ্ট্রপতি যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার মাধ্যমে তিনি জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন৷ এটা রাষ্ট্রপতির শপথ ভঙ্গের সামিল৷''

তাঁর মতে, রাষ্ট্রপতির এই বক্তব্য ‘আওয়ামী লীগের নেতাদের' ভার্সন৷ কিন্তু শপথ নেয়ার পর রাষ্ট্রপতি কোনো দলের থাকেন না৷ তিনি সবার৷

রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতি সংলাপ, নির্বাচন নিয়ে যে তথ্য দিয়েছেন, তাতে জনগণের আশা ভঙ্গ হয়েছে৷ জনগণ দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়৷ আর রাষ্ট্রপতি দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করবেন - এটাই সবাই আশা করেন৷''

বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে ‘বেটার' মনে করা হয়৷ যখন তিনি রাষ্ট্রপতির শপথ নেন, তখন নিরপেক্ষ থাকার শপথ নেন৷ আর এখন বিদেশে গিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিবকে বলছেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছে৷''

রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম প্রশ্ন রাখেন, ‘‘কোথায় দেখলেন ৫ জানুয়ারির নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছে? গোটা দেশের মানুষ নির্বাচন বর্জন করেছে৷''

তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনকেও বলেছিল, এটি সাংবিধানিক ধারা রক্ষার নির্বাচন৷ এখন রাষ্ট্রপতি আওয়ামী লীগ নেতাদের ভাষাই কথা বলছেন৷''

সর্বশেষ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে রিট প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘‘এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই৷ আমরা চাই রাজনৈতিক বিষয়ের রাজনৈতিক সমাধান৷ আদালতের নির্দেশে সব হলে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন না৷ কারণ আদালত তাঁকে ‘রং হেডেড' বলেছিলেন৷ আইন করে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বৈধতা দেওয়া যাবে না৷''

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘ক্ষমতার স্বাদ নিচ্ছেন, সুইস ব্যাংকে টাকা পাঠাচ্ছেন, কানাডা-মালয়েশিয়ায় বাড়ি করছেন, এত সহজে কেউ ক্ষমতা ছাড়তে চায় না৷ কিন্তু জনগণ ঝেঁটিয়ে বিদায় করবে৷ প্রস্তুতি নিন৷''

তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘হতাশার কোনো স্থান নেই৷ ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে৷ এবার তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে৷''

উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এখনো দেশের বাইরে আছেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য