1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশের সোনার ফসল

৭ এপ্রিল ২০১১

সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি প্রায় দ্বিগুণ হবে৷ আর এই খাত খেকে বছরে আয় হবে ১০ হাজার কোটি টাকা৷ ৭০ লাখ টন পাটের ব্যাগের বাজার উন্মুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশের সামনে৷

https://p.dw.com/p/10p5E
পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা আবার বাড়ছেছবি: picture-alliance/ dpa

আর গাড়ি তৈরিতেও পাটের ব্যবহার বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন বিজেএমসি'র পরিচালক মো. শামসুল হক৷ তিনি জানান এজন্য বন্ধ পাটকলগুলো দ্রুত চালু করা হচ্ছে৷

পাটের সুদিন ফিরে এসেছে৷ বিশ্বব্যাপী সিনথেটিক আর প্লাস্টিকের ব্যাহার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে৷ যা বাংলাদেশের পাটের বাজারকে বিস্তৃত করছে৷ সারা বিশ্বে ৭০ লাখ টন পাটের ব্যাগের নতুন চাহিদা তৈরি হচ্ছে৷ আর এই চাহিদার বড় অংশই যোগান দিতে হবে বাংলাদেশকে৷ বিজেএমসি'র পরিচালক মো. শামসুল হক বলেন একারণে বাংলাদেশের পাট সেনালী আঁশ আবার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান খাতে পরিণত হবে৷

Jutetasche
পাটের তৈরি থলে বিদেশেও জনপ্রিয় হয়ে উঠছেছবি: picture-alliance/ dpa

তিনি বলেন চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশের বন্ধ হয়ে যাওয়া পাটকলগুলো আবার চালু করা হচ্ছে৷ ইতিমধ্যেই ২টি পাটকল চালু করা হয়েছে৷ শিগগিরই আদমজি জুট মিলসহ আরো কয়েকটি পাটকল চালু হবে৷

শামসুল হক জানান, প্রচলিত পাটজাত পণ্য ছাড়াও পাটের বিকল্প ব্যবহার বাড়ছে৷ এমনি পাট থেকে এখন গাড়ির যন্ত্রাংশও তৈরি হচ্ছে৷

বাংলাদেশ থেকে এখন বছরে ৬ লাখ টন পাট ও পাটজাতপণ্য রফতানি হচ্ছে৷ বছরে আয় হচ্ছে ৪ হাজার কোটি টাকা৷ বিজেএমসি'র পরিচালক জানান, এই রফতানি এবং বৈদেশিক মুদ্রা দ্বিগুণ হতে খুব বেশি দিন লাগবে না৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী