1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে উপকূলে ৭ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস

৮ অক্টোবর ২০১০

বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে৷ এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলাগুলাতে ৬ থেকে ৭ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হয়েছে৷ সঙ্গে রয়েছে অবিরাম বৃষ্টি আর ঝড়ো হাওয়া৷

https://p.dw.com/p/PZf8
জলোচ্ছাসে বিধ্বস্ত বাড়ি-ঘরছবি: DW

ঘর চাপা পড়ে আর নৌকা ডুবিতে ৭ জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে বরগুনা সাতক্ষীরা ও বঙ্গোপসাগরে৷ প্রায় দেড়শ' জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন৷ আবহাওয়া অধাদফতরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, উপকূল ছাড়াও সারাদেশে এর প্রভাব পড়েছে৷

দেশের উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, চাদপুর, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠী, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, ফেনী , নোয়াখালি, লক্ষ্মীপুর, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে৷ ভেসে গেছে ঘরবাড়ি, ফসলের ক্ষেত, গবাদিপশু ও মাছের ঘের৷ ওই সব এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ ভেঙ্গে যাওয়ায় পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে৷ আরো অনেক বাধ ঝুঁকির মুখে রয়েছে৷ আইলা ও সিডর দুর্গত এলাকার মানুষ আবারো প্রাকৃতিক দুর্যোগে চরম বিপদের মধ্যে পড়েছে৷ এসব এলাকার লাখ লাখ মানুষ এখন পানি বন্দি৷ স্থানীয়ভাবে ত্রাণ এবং উদ্ধার তৎপরতা তেমন নেই বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ তবে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমীন এবং বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমান জানিয়েছেন তারা ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা শুরু করছেন৷

উপকূলীয় জেলাগুলোর নৌ ও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে৷ ঝড়ো আবহাওয়ার কারণে মাওয়া এবং দৌলতদিয়া ফেরী চলাচল বন্ধ থাকায় দু'পাশে কয়েক হাজার যানবাহন আটকা পড়েছে৷

অবিরাম বৃষ্টির কারণে ঢাকার নিম্নাঞ্চলসহ অধিকাংশ এলাকার রাস্তাঘাট ডুবে গেছে৷ নগরীর প্রায় অর্ধেক এলাকায় যানবাহন চলাচল করতে পারছেনা সড়ক ডুবে যাওয়ার কারণে৷ আবহাওয়া অধিদফতর বলছে শনিবার পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন