1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে ন্যায়পাল নিয়োগ জরুরি

১০ জুলাই ২০১০

মানবাধিকার লংঘন, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি আর সরকারের বিভিন্ন স্তরে জবাবদিহিতা না থাকায় দিন দিনই বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছে সরকার৷ এই পরিস্থিতিতে সাংবিধানিক ন্যায়পাল নিয়োগ জরুরি বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷

https://p.dw.com/p/OG0p
রাজপথে আইন শৃংখলাবাহিনীর বেপরোয়া আচরণে বিব্রত সরকারছবি: AP

তাঁরা বলছেন, একজন ন্যায়পাল থাকলে সরকারকে মুখোমুখি হতে হবে না অনেক বিব্রতকর পরিস্থিতির৷

নিরাপত্তা হেফাজতে মৃত্যু, রাজপথে আইন শৃংখলাবাহিনীর বেপরোয়া আচরণ, সরকারি প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতির প্রতিকার না পাওয়ার মত বিষয়গুলো দিন দিনই সাধারণ মানুষকে করে তুলছে উদ্বিগ্ন৷ অনেক ক্ষেত্রেই জবাবদিহিতার বাইরে চলে যাচ্ছে এসব ঘটনা৷ এসবের প্রতিকার পেতে একজন সাংবিধানিক ন্যায়পাল অবশ্য দরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ এ্যাডভোকেট আনিসুল হক মনে করেন, সংবিধানের ৭৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ন্যায়পাল নিয়োগ দেয়া যায়৷ এবং নিয়োগের পরিস্থিতি এখনো বিদ্যমান৷

সংবিধানে সুনির্দিষ্ট বাধ্যবাধকতা থাকলেও স্বাধীনতার পর থেকে কোন সরকারই আমলে নেয়নি ন্যায়পাল নিয়োগের কথা৷ সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. এম জহির মনে করেন, ন্যায়পাল সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে৷ সরকারি প্রতিষ্ঠানকে আনবে জবাবদিহিতার মধ্যে৷

মানবাধিকার লংঘন এবং প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির কারণে সরকারের প্রতি আস্থা হারায় সাধারণ মানুষ- এমন দাবি করে বিশেষজ্ঞরা বললেন, রাষ্ট্রীয় কাঠামোর প্রতি এই আস্থাহীনতাই জন্ম দেয় সামাজিক অনাচার ও রাজনৈতিক সহিংসতার৷ বর্তমান সরকার তার নির্বাচনী ইশতেহারে ন্যায়পাল নিয়োগের কথা বলেছে৷ তাই তাদের উচিত অচিরেই ন্যায়পাল নিয়োগ দেয়া৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: জাহিদুল হক