1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে পাহাড় কাটা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ

১৬ জুন ২০১০

পাহাড় কাটা বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার৷ পাহাড়ে অপরিকল্পিত বসতি গড়ে তোলার বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাহাড় ধসের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনও দায়ি৷

https://p.dw.com/p/Ns8I
প্রকৃতির সঙ্গে খেলা করলে তার পরিণতি মোটেই ভাল হয় নাছবি: DW / Golam Mustofa Sarowar

কক্সবাজারে পাহাড় ধসের পর বুধবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়৷ বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী ছাড়াও পরিবেশবিদ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন৷ তাঁরা জানান, নির্বিচারে পাহাড় কাটা, পাহাড়ে অপরিকল্পিতভাবে বসতি গড়ে তোলা এবং জলবায়ুর পরিবর্তন পাহাড় ধসের অন্যতম কারণ৷ মাটির পাহাড় মানুষের বৈরী আচরণের কারণে দুর্বল হয়ে পড়ছে৷ আর জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অধিক বৃষ্টি ও অনাবৃষ্টি পাহাড়ের চাপ সইবার ক্ষমতা কমিয়ে দিয়েছে৷ জলবায়ু ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত এখনই পাহাড় ও প্রকৃতির ওপর অত্যাচার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দেন৷

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক জানান, পাহাড় কাটা বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে আইন-শৃংখলাবাহিনী ও জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷ আর মাটির পাহাড়কে বেশী সহনশীল করতে পাহাড়ে শুরু হচ্ছে বনায়ন কর্মসূচি৷

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী জানান, এরপর থেকে সভা সেমিনার করে জলবায়ু তহবিলের অর্থ খরচ করা হবেনা৷ যারা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতির শিকার, তাদের জন্য অর্থব্যয় করা হবে৷

কক্সবাজারে পাহাড়ে ধ্বসে এ পর্যন্ত ৫৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷ এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন