1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাকস্বাধীনতা নিয়ে দুই বাংলাদেশি সম্পাদক

২১ জুন ২০১৭

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার নানা দিক নিয়ে ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের ফেসবুক লাইভে খোলামেলা কথা বলেছেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী এবং নিউএজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবির৷

https://p.dw.com/p/2f6Gl
ফেসবুক লাইভে তৌফিক ইমরোজ খালিদী এবং নুরুল কবিরছবি: DW/S. Niloy

বাংলাদেশে গণমাধ্যম কতটা স্বাধীন, এই স্বাধীনতা সাংবাদিকরা কতটা কাজে লাগাতে পারেন – এমন প্রশ্ন নানা মহলে, নানাভাবে প্রায়ই আলোচিত হয়৷ ডয়চে ভেলের জাহিদুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ফেসবুক লাইভে এ সব প্রসঙ্গই উঠে আসে৷

ডয়চে ভেলের আয়োজনে অনুষ্ঠানরত ‘গ্লোবাল মিডিয়া ফোরাম'-এ অংশ নিতে জার্মানির বন শহরে এসেছেন তৌফিক ইমরোজ খালিদী এবং নুরুল কবির৷ মিডিয়া ফোরামের কর্মসূচির অংশ হিসাবে বিকালে দৃষ্টিনন্দন রাইন নদীতে একটি রিভার ক্রুজে অংশ নেন তাঁরা৷ সেখান থেকেই প্রচার করা হয় দেশের প্রথিতযশা দুই সম্পাদকের সুদীর্ঘ আলোচনা৷

<iframe src="https://www.facebook.com/plugins/video.php?href=https%3A%2F%2Fwww.facebook.com%2Fdwbengali%2Fvideos%2F10154595583615978%2F&show_text=0&width=560" width="560" height="315" style="border:none;overflow:hidden" scrolling="no" frameborder="0" allowTransparency="true" allowFullScreen="true"></iframe>

সম্পাদনার টেবিলে বসলে চাপ অনুভব করেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, ‘‘পেশাদারিত্বের চাপ অনুভব করি, যেন মানুষকে সঠিকভাবে তথ্য পরিবেশন করতে পারি৷''

সরকার বা অন্য কোনো পক্ষ থেকে চাপ রয়েছে কিনা, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘সব সরকারই চাপ দিতে চায়৷ বাংলাদেশ সরকার থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সব সরকারই চাপ দেন৷''

কারণ হিসাবে তিনি জানান, সব সরকারই তাদের খারাপ খবরগুলো ছাপা না হোক, সেটা চায়৷

এ রকম চাপ সাংবাদিকরা কীভাবে অতিক্রম করতে পারেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলেন তিনি৷

তৌফিক ইমরোজ খালিদীর সঙ্গে সহমত পোষণ করে নুরুল কবির যোগ করেন, ‘‘একটা দেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সেই দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে৷''

এই প্রশ্নে তিনি বাংলাদেশের সরকারব্যবস্থার সাংবিধানিক কাঠামো, ক্ষমতাসীন দল এবং সংসদের বাইরে থাকা প্রধান বিরোধী দলের সমালোচনা করেন৷

ঘুরে ফিরে আলোচনায় আসে ৫৭ ধারার প্রসঙ্গও৷ এটা নিয়ে অত্যন্ত খোলামেলা মতামত দেন এই দুই সম্পাদক৷ এই ধারার অপপ্রয়োগ থেকে বাঁচতে সাংবাদিকরা কী করতে পারেন, এটা বাতিল হলে পরবর্তীতে কী হবে– আলোচনা হয় সে প্রসঙ্গেও৷

আলোচনার মাঝে নেয়া হয় দর্শকদের প্রশ্নও৷ সেসব প্রশ্নের জবাবও দেয়া হয়৷

দেশ নিয়ে আলোচনা করতে করতে শেষের দিকে তাঁরা রাইন নদী নিয়েও কথা বলেন৷ এক পর্যায়ে উঠে আসে বাংলাদেশের বুড়িগঙ্গার সঙ্গে রাইন নদীর তুলনা৷

এনএস/এসিবি

এ বিষয়ে আপনার কিছু বলার থাকলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য